মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২- ঈমানের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৩০
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কবরের আযাব
১৩০। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, মুর্দাকে যখন কবরে রাখা হয় পর তার নিকট নীল চক্ষুবিশিষ্ট কালো বর্ণের দুইজন ফিরিশতা এসে উপস্থিত হন। তাদের একজন মুনকার এবং অপরজন নাকীর। তারা মৃত ব্যক্তিকে (জীবিত করে) জিজ্ঞেস করেন, এই ব্যক্তি সম্পর্কে তুমি কি বলতে? সে (মু'মিন) ব্যক্তি বলবে, তিনি আল্লাহর বান্দা এবং তাঁর রাসূল। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই। আর হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল। তখন ফিরিশতাদ্বয় বলেন, আমরা পূর্বেই জানতাম যে, তুমি এই কথাই বলবে। এরপর তার কবরকে দৈর্ঘ্যে ও গ্রন্থে সত্তর হাত করে প্রশস্ত করা হয় এবং তথায় তার জন্য আলোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। তারপর তাকে বলা হয়, তুমি ঘুমিয়ে থাক। তখন সে বলে, আমি আমার পরিবার পরিজনদের নিকট প্রত্যাবর্তন করে তাদেরকে এই সুখবর জানাতে চাই। ফিরিশতাগণ বলেন, তুমি এইস্থানে বাসর গৃহে নওসার (দুল) ন্যায় আনন্দের নিদ্রায় বিভোর থাক যাকে তার সর্বাধিক প্রিয় ব্যক্তি ছাড়া কেউ জাগাতে পারে না। অতঃপর সে তার কবরে এইরূপভাবে নিদ্রাগ্ন থাকবে, যে পর্যন্ত না তাকে আল্লাহ পাক এই শয্যাস্থল হতে জাগিয়ে তুলবেন।
আর যদি মৃত ব্যক্তি মুনাফিক হয়, তবে সে বলে, আমি লোকজনকে কিছু একটা বলতে শুনেছি। তাই আমিও তাদের সাথে তাই বলতাম; কিন্তু কিছু জানতাম না। তখন ফিরিশতাগণ বলেন, আমরা পূর্বেই বুঝতে পেরেছিলাম যে তুমি এই ধরনের কথাই বলবে। অতঃপর যমিনকে বলা হয় তার উপর মিলে যাও। অমনি যমিন তার উপর এইরূপভাবে মিলে যাবে যাতে তার এক পাঁজরের হাড় অপর পাঁজরে ঢুকে যাবে। কবরে সে এইভাবেই সাজা ভোগ করতে থাকবে যতদিন না আল্লাহ পাক তাকে এইস্থান হতে তুলে নিবেন। -তিরমিযী
আর যদি মৃত ব্যক্তি মুনাফিক হয়, তবে সে বলে, আমি লোকজনকে কিছু একটা বলতে শুনেছি। তাই আমিও তাদের সাথে তাই বলতাম; কিন্তু কিছু জানতাম না। তখন ফিরিশতাগণ বলেন, আমরা পূর্বেই বুঝতে পেরেছিলাম যে তুমি এই ধরনের কথাই বলবে। অতঃপর যমিনকে বলা হয় তার উপর মিলে যাও। অমনি যমিন তার উপর এইরূপভাবে মিলে যাবে যাতে তার এক পাঁজরের হাড় অপর পাঁজরে ঢুকে যাবে। কবরে সে এইভাবেই সাজা ভোগ করতে থাকবে যতদিন না আল্লাহ পাক তাকে এইস্থান হতে তুলে নিবেন। -তিরমিযী
باب إثبات عذاب القبر - الفصل الثاني
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا قُبِرَ الْمَيِّتُ أَتَاهُ مَلَكَانِ أَسْوَدَانِ أَزْرَقَانِ يُقَالُ لِأَحَدِهِمَا الْمُنْكَرُ وَالْآخَرُ النَّكِيرُ فَيَقُولَانِ مَا كُنْتَ تَقُولُ فِي هَذَا الرجل فَيَقُول مَا كَانَ يَقُول هُوَ عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ فَيَقُولَانِ قَدْ كُنَّا نَعْلَمُ أَنَّكَ تَقُولُ هَذَا ثُمَّ يُفْسَحُ لَهُ فِي قَبْرِهِ سَبْعُونَ ذِرَاعًا فِي سَبْعِينَ ثُمَّ يُنَوَّرُ لَهُ فِيهِ ثُمَّ يُقَالُ لَهُ نَمْ فَيَقُولُ أَرْجِعُ إِلَى أَهْلِي فَأُخْبِرُهُمْ فَيَقُولَانِ نَمْ كَنَوْمَةِ الْعَرُوسِ الَّذِي لَا يُوقِظُهُ إِلَّا أَحَبُّ أَهْلِهِ إِلَيْهِ حَتَّى يَبْعَثَهُ اللَّهُ مِنْ مَضْجَعِهِ ذَلِكَ وَإِنْ كَانَ مُنَافِقًا قَالَ سَمِعت النَّاس يَقُولُونَ فَقُلْتُ مِثْلَهُ لَا أَدْرِي فَيَقُولَانِ قَدْ كُنَّا نَعْلَمُ أَنَّكَ تَقُولُ ذَلِكَ فَيُقَالُ لِلْأَرْضِ الْتَئِمِي عَلَيْهِ فتلتئم عَلَيْهِ فتختلف فِيهَا أَضْلَاعُهُ فَلَا يَزَالُ فِيهَا مُعَذَّبًا حَتَّى يَبْعَثَهُ الله من مضجعه ذَلِك» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
