আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭৭৫
২১১০. আয়িশা (রাযিঃ)- এর ফযীলত
৩৫০৪। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব (রাহঃ) .... উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকেরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে হাদীয়া প্রদানের জন্য আয়েশা (রাযিঃ)- এর গৃহে তাঁর অবস্থানের দিন তালাশ করতেন। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, একদিন আমার সতীনগণ উম্মে সালামা (রাযিঃ)- এর নিকট সমবেত হয়ে বললেন, হে উম্মে সালামা। আল্লাহর কসম, লোকজন তাদের হাদীয়াসমূহ প্রেরণের জন্য আয়েশা (রাযিঃ)- এর গৃহে অবস্থানের দিন তালাশ করেন। আয়েশা (রাযিঃ)- এর ন্যায় আমরাও কল্যাণ আকাঙ্ক্ষা করি। আপনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে বলুন, তিনি যেন লোকদের বলে দেন, তারা যেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যেদিন যেখানেই অবস্থান করেন সেখানেই তারা হাদীয়া পাঠিয়ে দেন।
উম্মে সালামা (রাযিঃ) বলেন, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করলেন। উম্মে সালামা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার কথা শুনে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। পরে আমার গৃহে অবস্থানের জন্য পুনরায় আসলে আমি ঐ কথা তাঁকে বলি। এবারও তিনি মুখ ফিরিয়ে নিলেন। তৃতীয়বারেও আমি ঐ কথা তাঁকে বললাম, তিনি বললেন, হে উম্মে সালামা! আয়েশা (রাযিঃ)- এর ব্যাপারে তোমরা আমাকে কষ্ট দিবে না। আল্লাহর কসম, তোমাদের মধ্যে আয়েশা (রাযিঃ) ব্যতীত অন্য কারো শয্যায় শায়িত অবস্থায় আমার উপর ওহী নাযিল হয়নি।
উম্মে সালামা (রাযিঃ) বলেন, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করলেন। উম্মে সালামা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার কথা শুনে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। পরে আমার গৃহে অবস্থানের জন্য পুনরায় আসলে আমি ঐ কথা তাঁকে বলি। এবারও তিনি মুখ ফিরিয়ে নিলেন। তৃতীয়বারেও আমি ঐ কথা তাঁকে বললাম, তিনি বললেন, হে উম্মে সালামা! আয়েশা (রাযিঃ)- এর ব্যাপারে তোমরা আমাকে কষ্ট দিবে না। আল্লাহর কসম, তোমাদের মধ্যে আয়েশা (রাযিঃ) ব্যতীত অন্য কারো শয্যায় শায়িত অবস্থায় আমার উপর ওহী নাযিল হয়নি।
