আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭৪২
২০৯৯. আম্মার ও হুযাইফা (রাযিঃ)- এর মর্যাদা
৩৪৭০। মালিক ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... আলকামা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি সিরিয়ায় গমন করলাম (সেখানে পৌছে) দু’রাকআত (নফল) নামায আদায় করে দুআ করলাম, হে আল্লাহ্, আপনি আমাকে একজন নেক্কার সাথী মিলিয়ে দিন। তারপর আমি একটি জামাআতের নিকট এসে তাদের নিকট বসলাম। তখন একজন বৃদ্ধ লোক এসে আমার পাশেই বসলেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম ইনি কে? তারা উত্তরে বললেন, ইনি আবু দারদা (রাযিঃ)। আমি তখন তাঁকে বললাম, একজন নেক্কার সাথীর জন্য আমি আল্লাহর নিকট দুআ করেছিলাম। আল্লাহ্ আপনাকে মিলিয়ে দিয়েছেন। তিনি বললেন, তুমি কোথাকার বাসিন্দা? আমি বললাম, আমি কুফার বাসিন্দা।
তিনি বললেন, (নবী কারীম (ﷺ)- এর জুতা, বালিশ এবং উযুর পাত্র বহনকারী সর্বক্ষণের সহচর ইবনে উম্মে আব্দ (রাযিঃ) কি তোমাদের ওখানে নেই? তোমাদের মাঝে কি ঐ ব্যক্তি নেই যাকে আল্লাহ্ শয়তান থেকে নিরাপদ করে দিয়েছেন? (অর্থাৎ আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাযিঃ)) তোমাদের মধ্যে কি নবী কারীম (ﷺ)- এর গোপন তথ্য অভিজ্ঞ লোকটি নেই? যিনি ব্যতীত অন্য কেউ এই রহস্য জানেন না (অর্থাৎ হুযাইফা (রাযিঃ)) তারপর তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) সূরা وَاللَّيْلِ কিভাবে পাঠ করতেন? তখন আমি তাঁকে সূরাটি পড়ে শুনালামঃ وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَى ‘ وَالنَّهَارِ إِذَا تَجَلَّى ‘ وَالذَّكَرِ وَالأُنْثَى তিনি বললেন, আল্লাহর কসম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে সূরাটি সরাসরি এ ভাবেই শিক্ষা দিয়েছিলেন।
* প্রচলিত কিরআতে সূরাটির এ অংশে আছেঃ وَمَا خَلَقَ الذَّكَرَ وَالأنْثَى কিন্তু আবদুল্লাহ ইবনে আবু দারদা (রাযিঃ)-এর কিরাআতে وَمَا خَلَقَ শব্দটি নাই। অবশ্য এতে অর্থের কোন ব্যতিক্রম ঘটেনি।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন