আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ
হাদীস নং: ১০৫১
৪৭৮- শিশুদের সালাম দেয়া।
১০৫১. সাবিত বুনানী বলেন, একদা হযরত আনাস ইব্ন মালিক (রাযিঃ) বালকদের পাশ দিয়া অতিক্রমকালে তাহাদিগকে সালাম করিলেন এবং বলিলেন নবী করীম (ﷺ) এইরূপ করিতেন।
بَابُ السَّلامِ عَلَى الصِّبْيَانِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَيَّارٍ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّهُ مَرَّ عَلَى صِبْيَانٍ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ، وَقَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَفْعَلُهُ بِهِمْ.
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছটিতে বলা হয়েছে যে, হযরত আনাস রাযি. কোনও একদিন একদল শিশুর কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদেরকে সালাম দেন। তারপর এ প্রসঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অভ্যাস বর্ণনা করেন যে, তিনিও শিশুদের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদেরকে সালাম দিতেন। যেমন এক বর্ণনায় আছে-
كَانَ رَسُول اللَّه صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَزُور الْأَنْصَار فَيُسَلِّم عَلَى صِبْيَانِهِمْ وَيَمْسَح عَلَى رُءُوسهمْ وَيَدْعُو لَهُمْ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন। তখন তিনি তাদের শিশুদের সালাম দিতেন, তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেন এবং তাদের জন্য দু'আ করতেন।(নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা: ১০০৮৮)
হযরত আনাস রাযি.-এরই অন্য বর্ণনায় আছে যে, তিনি বলেন-
مَرَّ عَلَيْنَا رَسُولُ اللهِ ﷺ، وَنَحْنُ صِبْيَانٌ ، فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا صِبْيَانُ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমরা ছিলাম একদল শিশু। তিনি বললেন, হে শিশুরা! তোমাদের প্রতি সালাম।(মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ২৫৭৭৫; ইবনুস সুন্নী, আমালুল-ইয়াওম ওয়াল-লায়লাহ: ২২৭)
এমনকি শিশুরা খেলাধুলায় লিপ্ত থাকলেও তখন তাদেরকে তিনি সালাম দিতেন। হযরত আনাস রাযি. থেকেই বর্ণিত আছে-
أَتَى رَسُولُ اللهِ ﷺ عَلَى غِلْمَانِ يَلْعَبُوْنَ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ
'রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদল বালকের কাছে আসলেন। তারা খেলছিল। তিনি তাদের সালাম দিলেন’।(সুনানে আবূ দাউদ ; ৫২০২)
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে শিশুদেরকে সালাম দিতেন মূলত তাদেরকে ইসলামী আদব-কায়দা শেখানোর উদ্দেশ্যে। এর দ্বারা বোঝা গেল যদিও সাধারণ নিয়ম হল ছোট বড়কে সালাম দেবে, কিন্তু ছোটদের শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে বড়দেরই উচিত আগে আগে তাদের সালাম দেওয়া। তাছাড়া এর আরও অনেক উপকারিতা আছে। যেমন বড়ত্বের অহমিকা বিলোপ, অন্তরে বিনয় ও কোমলতা সৃষ্টি, ছোটদের প্রতি মমত্বের চর্চা ইত্যাদি।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. শিশু-কিশোরদের অতিক্রমকালে বড়দের উচিত তাদেরকে সালাম দেওয়া, যাতে তারা বড়দেরকে সালাম দেওয়ার প্রশিক্ষণ নিতে পারে।
খ. শিশুদেরকে শৈশব থেকেই ইসলামী আদব-কায়দা শেখানো উচিত।
গ. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমল সর্বাবস্থায় উম্মতের পক্ষে অনুসরণীয়, যদি না তা একান্তই তাঁর জন্য নির্দিষ্ট হয়ে থাকে।
كَانَ رَسُول اللَّه صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَزُور الْأَنْصَار فَيُسَلِّم عَلَى صِبْيَانِهِمْ وَيَمْسَح عَلَى رُءُوسهمْ وَيَدْعُو لَهُمْ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন। তখন তিনি তাদের শিশুদের সালাম দিতেন, তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেন এবং তাদের জন্য দু'আ করতেন।(নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা: ১০০৮৮)
হযরত আনাস রাযি.-এরই অন্য বর্ণনায় আছে যে, তিনি বলেন-
مَرَّ عَلَيْنَا رَسُولُ اللهِ ﷺ، وَنَحْنُ صِبْيَانٌ ، فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا صِبْيَانُ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমরা ছিলাম একদল শিশু। তিনি বললেন, হে শিশুরা! তোমাদের প্রতি সালাম।(মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ২৫৭৭৫; ইবনুস সুন্নী, আমালুল-ইয়াওম ওয়াল-লায়লাহ: ২২৭)
এমনকি শিশুরা খেলাধুলায় লিপ্ত থাকলেও তখন তাদেরকে তিনি সালাম দিতেন। হযরত আনাস রাযি. থেকেই বর্ণিত আছে-
أَتَى رَسُولُ اللهِ ﷺ عَلَى غِلْمَانِ يَلْعَبُوْنَ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ
'রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদল বালকের কাছে আসলেন। তারা খেলছিল। তিনি তাদের সালাম দিলেন’।(সুনানে আবূ দাউদ ; ৫২০২)
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে শিশুদেরকে সালাম দিতেন মূলত তাদেরকে ইসলামী আদব-কায়দা শেখানোর উদ্দেশ্যে। এর দ্বারা বোঝা গেল যদিও সাধারণ নিয়ম হল ছোট বড়কে সালাম দেবে, কিন্তু ছোটদের শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে বড়দেরই উচিত আগে আগে তাদের সালাম দেওয়া। তাছাড়া এর আরও অনেক উপকারিতা আছে। যেমন বড়ত্বের অহমিকা বিলোপ, অন্তরে বিনয় ও কোমলতা সৃষ্টি, ছোটদের প্রতি মমত্বের চর্চা ইত্যাদি।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. শিশু-কিশোরদের অতিক্রমকালে বড়দের উচিত তাদেরকে সালাম দেওয়া, যাতে তারা বড়দেরকে সালাম দেওয়ার প্রশিক্ষণ নিতে পারে।
খ. শিশুদেরকে শৈশব থেকেই ইসলামী আদব-কায়দা শেখানো উচিত।
গ. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমল সর্বাবস্থায় উম্মতের পক্ষে অনুসরণীয়, যদি না তা একান্তই তাঁর জন্য নির্দিষ্ট হয়ে থাকে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
