আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ

আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ

হাদীস নং: ১০৪৫
৪৭৫- কিভাবে সালামের উত্তর দিবে?
১০৪৫. মু’আবিয়া ইব্‌ন কুর্‌রা বলেন, আমার পিতা একদা আমাকে বলিলেনঃ বৎস যখন কোন ব্যক্তি তোমার নিকট দিয়া অতিক্রমকালে তোমাকে বলে, আস্‌সালামু আলাইকুম’, তখন তুমিও আলাইকা (এবং তোমার উপর) বলিও না, কেননা, ইহাতে মনে হয়, তুমি কেবল তাহাকেই বুঝি সালাম দিতেছ, অথচ সে একা নহে, বরং তুমি বলিবে আস্‌সালামু আলাইকুম!১
حَدَّثَنَا مَطَرٌ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا بِسْطَامٌ قَالَ‏:‏ سَمِعْتُ مُعَاوِيَةَ بْنَ قُرَّةَ قَالَ‏:‏ قَالَ لِي أَبِي‏:‏ يَا بُنَيَّ، إِذَا مَرَّ بِكَ الرَّجُلُ فَقَالَ‏:‏ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ، فَلاَ تَقُلْ‏:‏ وَعَلَيْكَ، كَأَنَّكَ تَخُصُّهُ بِذَلِكَ وَحْدَهُ، فَإِنَّهُ لَيْسَ وَحْدَهُ، وَلَكِنْ قُلِ‏:‏ السَّلامُ عَلَيْكُمْ‏.‏

হাদীসের ব্যাখ্যা:

১. ‘আস্‌সালামু আলাইকা’ মানে তোমার উপর সালাম (শান্তি) বর্ষিত হউক, বহুবচনে ‘আস্‌সালামু আলাইকুম’ তোমাদের উপর সালাম বর্ষিত হউক! মানুষ যদি একান্তই একা থাকে, তখনও তাহার সাথে অন্তত কিরামুন কাতিবীন ফেরেশতা দুইজনে তো থাকেনই, সুতরাং সালামের সময় কার্পণ্য না করিয়া একবচনের স্থলে বহুবচনের শব্দ ব্যবহার করাই বিধেয়। এ ছাড়া সম্মানার্থেও একবচনের স্থলে বহুবচনের ব্যহারের প্রচলন আরবীতে রহিয়াছে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান