আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ
হাদীস নং: ৯৫৫
৪৩০. উপবিষ্ট ব্যক্তির উদ্দশ্যে দাঁড়ানো
৯৫৫. হযরত জাবির (রাযিঃ) বলেন, একদা নবী করীম (ﷺ) অসুস্থ হইয়া পড়িলেন। আমরা তাঁহার পশ্চাতে নামায পড়িলাম অথচ তিনি তখন উপবিষ্ট অবস্থায় ছিলেন আর আবু বকর (রাযিঃ) (মুকাব্বির হিসাবে) তাঁহার তাকবিরাদি জামাআতের লোকজনকে শুনাইয়া যাইতেছিলেন। তিনি আমাদের দিকে তাকাইলেন এবং আমাদিগকে দণ্ডায়মান অবস্থায় দেখিতে পাইলেন। তিনি আমাদিগকে বসিবার জন্য ইঙ্গিত করিলেন। তখন আমরাও বসিয়া পড়িলাম এবং উপবিষ্ট অবস্থায়ই তাঁহার সাথে নামায পড়িলাম। যখন তিনি সালাম ফিরাইলেন, তখন বলিলেনঃ তোমরা তো পারস্যবাসী ও রোমবাসীদের মত কার্য শুরু করিয়া দিয়াছিলেন, তাহারা তাহাদের রাজা-বাদশাহদের সম্মুখে দণ্ডয়মান অবস্থায় থাকে অথচ তাহারা (রাজা-বাদশাহগণ) থাকে উপবিষ্ট অবস্থায়। তোমরা এরূপ করিও না। তোমরা তোমাদের ইমামগণের অনুসরণ করিবে। ইমাম যদি দণ্ডায়মান অবস্থায় নামায পড়েন, তবে তোমরাও দণ্ডায়মান অবস্থায় নামায আদায় করিবে, আর তাহারা যদি উপবিষ্ট অবস্থায় নামায পড়েন, তবে তোমরাও উপবিষ্ট অবস্থায়ই নামায আদায় করিবে। ১
بَابُ قِيَامِ الرَّجُلِ لِلرَّجُلِ الْقَاعِدِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: اشْتَكَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم، فَصَلَّيْنَا وَرَاءَهُ وَهُوَ قَاعِدٌ، وَأَبُو بَكْرٍ يُسْمِعُ النَّاسَ تَكْبِيرَهُ، فَالْتَفَتَ إِلَيْنَا فَرَآنَا قِيَامًا، فَأَشَارَ إِلَيْنَا فَقَعَدْنَا، فَصَلَّيْنَا بِصَلاَتِهِ قُعُودًا، فَلَمَّا سَلَّمَ قَالَ: إِنْ كِدْتُمْ لَتَفْعَلُوا فِعْلَ فَارِسَ وَالرُّومِ، يَقُومُونَ عَلَى مُلُوكِهِمْ وَهُمْ قُعُودٌ، فَلاَ تَفْعَلُوا، ائْتَمُّوا بِأَئِمَّتِكُمْ، إِنْ صَلَّى قَائِمًا فَصَلُّوا قِيَامًا، وَإِنْ صَلَّى قَاعِدًا فَصَلُّوا قُعُودًا.
হাদীসের ব্যাখ্যা:
১. হযরত আমাদের এক রিওয়ায়েতের মাধ্যমে জানান যে, একবার ঘোড়ার পিঠ হইতে পড়িয়া গিয়া হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ডানপার্শ্ব ছিলিয়া যায়। এই সময় তিনি এক নামায বসিয়া পড়ান এবং উত্তমরূপে হুকুম দেন। কিন্তু বুখারী ও মুসলিমের বর্ণিত অপর এক রিওয়ায়েতের দ্বারা জানা যায় যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অস্তিম রোগের সময়ও একবার তিনি বসিয়া নামায পড়ান অথচ মুক্তাদীগণ দণ্ডায়মান অবস্থায় নামায আদায় করেন, কিনতু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন মানা করেন নাই। এই জন্য ইমাম আযম আবূ হানীফা, ইমাম মালিক ও ইমাম শাফিয়ী (র)-এর মতে, ইমাম যদি উপবিষ্ট অবস্থায়ও নামায পড়ান আর মুক্তাদীগণ দণ্ডায়মান থাকেন তবে ইহা দুরস্ত আছে।
