আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭০৫
২০৮৮. আবুল হাসান আলী ইবনে আবু তালিব কুরাইশী হাশিমী (রাযিঃ)- এর মর্যাদা
৩৪৪০। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) .... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, ফাতিমা (রাযিঃ) যাঁতা চালানোর কষ্ট সম্পর্কে একদিন (আমার নিকট) অভিযোগ প্রকাশ করলেন। এরপর নবী কারীম (ﷺ)- এর নিকট কিছু সংখ্যক যুদ্ধবন্দী আসল। ফাতিমা (রাযিঃ) (এক জন গোলাম পাওয়ার আশা নিয়ে) নবী কারীম (ﷺ)- এর খেদমতে গেলেন। কিন্তু তাঁকে না পেয়ে, আয়েশা (রাযিঃ)- এর কাছে তাঁর কথা বলে আসলেন। নবী কারীম (ﷺ) যখন ঘরে আসলেন তখন ফাতিমা (রাযিঃ)- এর আগমন ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আয়েশা (রাযিঃ) তাঁকে অবহিত করলেন। (আলী (রাযিঃ) বলেন) নবী কারীম (ﷺ) আমাদের এখানে আসলেন, যখন আমরা বিছানায় শুয়ে পড়েছিলাম। তাঁকে দেখে আমি উঠে বসতে চাইলাম। কিন্তু তিনি বললেন, তোমরা নিজ নিজ অবস্থায় থাক এবং তিনি আমাদের মাঝখানে এমনভাবে বসে পড়লেন যে আমি তাঁর পদদ্বয়ের শীতলতা আমার বক্ষে অনুভব করলাম। তিনি বললেন, আমি কি তোমরা যা চেয়েছিলে তার চেয়েও উত্তম জিনিস শিক্ষা দিবনা? (তা হল) তোমরা যখন ঘুমানোর উদ্দেশ্যে বিছানায় যাবে তখন চৌত্রিশ বার “আল্লাহু আকবার” তেত্রিশবার “সুবহানাল্লাহ” তেত্রিশবার “আল্ হামদুলিল্লাহ” পড়ে নিবে। এটা খাদিম (যা তোমরা চেয়েছিলে) অপেক্ষা অনেক উত্তম।
