আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৯৬
২০৮৬. উসমান ইবনে আফফান আবু আমর কুরাইশী (রাযিঃ) এর ফযীলত ও মর্যাদা।
৩৪৩১। আহমদ ইবনে শাবীব ইবনে সাঈদ (রাহঃ) .... উবাইদুল্লাহ ইবনে আদী ইবনে খিয়ার (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, মিসওয়ার ইবনে মাখরামা ও আব্দুর রহমান ইবনে আসওয়াদ ইবনে আব্দ ইয়াগুস (রাহঃ) আমাকে বললেন যে, উসমান (রাযিঃ)-এর সাথে তাঁর (বৈপিত্রিয় ভাই) অলীদের বিষয় আলোচনা করতে তোমাকে কি সে বাঁধা দেয়? জনগণ তার সম্পর্কে নানারূপ কথাবার্তা বলছে। উসমান (রাযিঃ) যখন নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে বের হলেন। তখন আমি তাঁর নিকটে গিয়ে বললাম, আপনার সাথে আমার একটি প্রয়োজন আছে এবং তা আমি আপনার কল্যাণের জন্যই বলবো।
উসমান (রাযিঃ) বললেন, ওহে, আমি তোমার থেকে আল্লাহর নিকট পানাহ চাচ্ছি। আমি তাদের কাছে ফিরে আসলাম। তৎক্ষণাৎ উসমান (রাযিঃ)- এর দূত এসে হাযির হল। আমি তার খেদমতে গেলাম। তিনি (আমাকে দেখে) বললেন, বল, তোমার নসিহত (উপদেশ) কি? আমি বললাম, আল্লাহ মুহাম্মাদ (ﷺ)- কে সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন। কুরআনে কারীম তাঁর (ﷺ) উপর অবতীর্ণ করেছেন। আপনি ঐ সকল (মহামানব)- এর অন্যতম যাঁরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আহবানে সাড়া দিয়েছেন।
আপনি (হাবসা ও মদীনা) উভয় (স্থানে) হিজরত করেছেন এবং আপনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাহচর্য লাভ করেছেন এবং তাঁর চরিত্র মাধুর্য প্রত্যক্ষ করেছেন। (আপনার ভাই) অলীদ সম্পর্কে জনগণ নানারূপ কথাবার্তা বলাবলি করছে। (সে বিষয় অতি সত্বর ব্যবস্থা করা কর্তব্য)। উসমান (রাযিঃ) আমাকে বললেন তুমি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাক্ষাত লাভ করেছ? আমি বললাম না। তবে তাঁর ইলম আমার পর্দানশীন কুমারীগণের কাছে যখন পৌছেছে তখন আমার কাছে অবশ্যই পৌছেছে। উসমান (রাযিঃ) হামদ ও সানা বর্ণনা করে বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ মুহাম্মাদ (ﷺ)- কে সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ডাকে সাড়া দানকারীদের মধ্যে আমিও ছিলাম। তাঁর আনীত শরীয়তের উপর আমিও ঈমান এনেছি। (হাবসা এবং মদীনায়) আমি উভয় হিজরত করেছি, যেমন তুমি বলছ।
আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাহচর্য লাভ করেছি, তাঁর হাতে বায়‘আত করেছি। আল্লাহর কসম, আমি তাঁর নাফরমানী করিনি ও তাঁর সাথে বিশ্বাসঘাতকতাও করিনি। অবশেষে আল্লাহ তাঁর রাসূলকে দুনিয়া হতে নিয়ে গিয়েছেন। তারপর আবু বকর (রাযিঃ)- এর সাথে অনুরূপ সম্পর্ক ছিল। এরপর উমর (রাযিঃ)- এর সঙ্গেও অনুরূপ সম্পর্ক ছিল। তারপর আমার কাঁধে খিলাফতের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমার কি ঐ সকল অধিকার নেই যা তাঁদের ছিল? আমি বললাম হ্যাঁ, অবশ্যই। তিনি বললেন, তাহলে তোমাদের পক্ষ থেকে কী সব কথাবার্তা আমার নিকট পৌছেছে? অবশ্য অলীদ সম্পর্কে তুমি যা বলছ অতি সত্বর আমি সে সম্পর্কে সঠিক পদক্ষেপ নিব। এ বলে তিনি আলী (রাযিঃ)- কে ডেকে এনে অলীদকে বেত্রাঘাত করার জন্য আদেশ দিলেন। আলী (রাযিঃ) তাকে আশিটি বেত্রাঘাত করলেন।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন