আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ
হাদীস নং: ৫৮৬
২৬৭. অনুচ্ছেদঃ ধীরেসুস্থে কাজ করা
৫৮৬. হযরত আব্দুর রহমান ইব্ন আবু বাকরা আশাজ্জ আব্দুল কায়েস প্রমুখাৎ বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁহাকে (আশাজ্জকে) লক্ষ্য করিয়া বলিলেনঃ তোমার মধ্যে এমন দুইটি অভ্যাস রহিয়াছে যাহা আল্লাহ্র কাছে অত্যন্ত প্রিয়! আমি বলিলাম, তাহা কি কি ইয়া রাসূলাল্লাহ্! বলিলেনঃ সহিষ্ণুতা ও লজ্জা। আমি বলিলাম, এই দুইটি অভ্যাস পূর্ব হইতেই আমার মধ্যে ছিল না; নতুনভাবে দেখা যাইতেছে (ইয়া রাসূলাল্লাহ্!)? বলিলেনঃ না পূর্ব হইতেই রহিয়াছে। আমি বলিলাম, আল্লাহ্রই সকল প্রশংসা যিনি আমার মধ্যে জন্মগতভাবেই এমন দুইটি অভ্যাস প্রদান করিয়াছে, যাহা আল্লাহ্র কাছে প্রিয়।
بَابُ التُّؤَدَةِ فِي الأمُورِ
حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، قَالَ: حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَشَجِّ عَبْدِ الْقَيْسِ قَالَ: قَالَ لِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم: إِنَّ فِيكَ لَخُلُقَيْنِ يُحِبُّهُمَا اللَّهُ، قُلْتُ: وَمَا هُمَا يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ: الْحِلْمُ وَالْحَيَاءُ، قُلْتُ: قَدِيمًا كَانَ أَوْ حَدِيثًا؟ قَالَ: قَدِيمًا، قُلْتُ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَبَلَنِي عَلَى خُلُقَيْنِ أَحَبَّهُمَا اللَّهُ.
হাদীসের ব্যাখ্যা:
অন্য বর্ণনায় হাদীসটি কিছুটা ভিন্নভাবে বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে হাদীস ও তার ব্যাখ্যা পেশ করা হলো।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আব্দুল কায়স গোত্রের আশাজ্জ রাযি.–কে বললেন, নিশ্চয়ই তোমার মধ্যে দু'টি স্বভাব আছে, যা আল্লাহ পসন্দ করেন। সহনশীলতা ও ধীরস্থিরতা।
এ হাদীছটিতে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আশাজ্জ রাযি.-এর দু'টি সদগুণের প্রশংসা করে বলেন যে, এ দু'টি আল্লাহ তা'আলা পসন্দ করেন। গুণদু'টি হল- الحِلْمُ وَالْأَنَاةُ (সহনশীলতা ও ধীরস্থিরতা)। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রশংসা করলে হযরত আশাজ্জ রাযি. জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এ দু'টি গুণ কি আমার মধ্যে নতুন জন্ম নিয়েছে, নাকি আগে থেকেই ছিল? তিনি বললেন, আগে থেকেই ছিল। তখন তিনি এই বলে আল্লাহ তা'আলার শোকর আদায় করলেন যে, সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাকে এমন দু'টি স্বভাব দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, যা তিনি পসন্দ করেন।
হযরত আশাজ্জ রাযি.-এর চরিত্রে সহনশীলতা ও ধীরস্থিরতার গুণ বিদ্যমান ছিল। এ কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর প্রশংসা করেছেন। বোঝা গেল এ দু'টি প্রশংসনীয় গুণ, যা প্রত্যেক মুমিনের অর্জন করা উচিত।
এক বর্ণনায় আছে-
الْأَنَاةُ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى، وَالْعَجَلَةُ مِنَ الشَّيْطَانِ
‘ধীরস্থিরতা আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে আর তাড়াহুড়া করাটা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। (জামে' তিরমিযী: ২০১২; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর ৫৭০২; তাবারানী, মাকারিমুল আখলাক: ২৭; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ৩৫৯৮)
বলা হয়ে থাকে, তাড়াহুড়া করাটা শয়তানের প্ররোচনায় হয়ে থাকে পাঁচটি ক্ষেত্র ছাড়া- অতিথি উপস্থিত হলে খাবার পরিবেশন করা, কেউ মারা গেলে তার দাফন-কাফন করা, কন্যাসন্তান বালেগা হলে তার বিবাহ সম্পন্ন করা, দেনা পরিশোধ করা এবং কোনও গুনাহ হয়ে গেলে তা থেকে তাওবা করা।
প্রকাশ থাকে যে, তাড়াহুড়া নিন্দনীয় দুনিয়াবী কাজে। দীনের কাজে বিলম্ব করতে নেই। সুযোগ হওয়া মাত্রই করে ফেলা উচিত। হযরত উমর রাযি. বলেন, ধীরস্থিরতা সব কাজেই ভালো, তবে আখিরাতের কাজে নয়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. কোনও কাজে তাড়াহুড়া করতে নেই। ধীরস্থিরভাবে করলেই কাজ সুন্দর ও সঠিক হয়।
খ. অন্যের প্রতি সহনশীল থাকা একান্ত কর্তব্য। এটা পারস্পরিক সুসম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষে সহায়ক।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আব্দুল কায়স গোত্রের আশাজ্জ রাযি.–কে বললেন, নিশ্চয়ই তোমার মধ্যে দু'টি স্বভাব আছে, যা আল্লাহ পসন্দ করেন। সহনশীলতা ও ধীরস্থিরতা।
এ হাদীছটিতে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আশাজ্জ রাযি.-এর দু'টি সদগুণের প্রশংসা করে বলেন যে, এ দু'টি আল্লাহ তা'আলা পসন্দ করেন। গুণদু'টি হল- الحِلْمُ وَالْأَنَاةُ (সহনশীলতা ও ধীরস্থিরতা)। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রশংসা করলে হযরত আশাজ্জ রাযি. জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এ দু'টি গুণ কি আমার মধ্যে নতুন জন্ম নিয়েছে, নাকি আগে থেকেই ছিল? তিনি বললেন, আগে থেকেই ছিল। তখন তিনি এই বলে আল্লাহ তা'আলার শোকর আদায় করলেন যে, সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাকে এমন দু'টি স্বভাব দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, যা তিনি পসন্দ করেন।
হযরত আশাজ্জ রাযি.-এর চরিত্রে সহনশীলতা ও ধীরস্থিরতার গুণ বিদ্যমান ছিল। এ কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর প্রশংসা করেছেন। বোঝা গেল এ দু'টি প্রশংসনীয় গুণ, যা প্রত্যেক মুমিনের অর্জন করা উচিত।
এক বর্ণনায় আছে-
الْأَنَاةُ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى، وَالْعَجَلَةُ مِنَ الشَّيْطَانِ
‘ধীরস্থিরতা আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে আর তাড়াহুড়া করাটা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। (জামে' তিরমিযী: ২০১২; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর ৫৭০২; তাবারানী, মাকারিমুল আখলাক: ২৭; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ৩৫৯৮)
বলা হয়ে থাকে, তাড়াহুড়া করাটা শয়তানের প্ররোচনায় হয়ে থাকে পাঁচটি ক্ষেত্র ছাড়া- অতিথি উপস্থিত হলে খাবার পরিবেশন করা, কেউ মারা গেলে তার দাফন-কাফন করা, কন্যাসন্তান বালেগা হলে তার বিবাহ সম্পন্ন করা, দেনা পরিশোধ করা এবং কোনও গুনাহ হয়ে গেলে তা থেকে তাওবা করা।
প্রকাশ থাকে যে, তাড়াহুড়া নিন্দনীয় দুনিয়াবী কাজে। দীনের কাজে বিলম্ব করতে নেই। সুযোগ হওয়া মাত্রই করে ফেলা উচিত। হযরত উমর রাযি. বলেন, ধীরস্থিরতা সব কাজেই ভালো, তবে আখিরাতের কাজে নয়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. কোনও কাজে তাড়াহুড়া করতে নেই। ধীরস্থিরভাবে করলেই কাজ সুন্দর ও সঠিক হয়।
খ. অন্যের প্রতি সহনশীল থাকা একান্ত কর্তব্য। এটা পারস্পরিক সুসম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষে সহায়ক।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
