আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
হাদীস নং: ৩৪১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৮৩
২০৮৫. উমর ইবনে খাত্তাব আবু হাফস কুরাইশী-আদাবী (রাযিঃ)- এর ফযীলত ও মর্যাদা
৩৪১৮। আলী ইবনে আব্দুল্লহ ও আব্দুল আযীয ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... সা‘দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে আসার অনুমতি চাইলেন। তখন তাঁর সঙ্গে কুরাইশের কতিপয় মহিলা কথা বলছিলেন এবং তাঁরা বেশী পরিমাণ দাবী-দাওয়া করতে গিয়ে তাঁর আওয়াজের চেয়ে তাদের আওয়াজ উচ্চকণ্ঠ ছিল। যখন উমর ইবনে খাত্তাব প্রবেশের অনুমতি চাইলেন তখন তাঁরা (মহিলাগণ) উঠে দ্রুত পর্দার অন্তরালে চলে গেলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে অনুমতি দিলেন। আর উমর (রাযিঃ) ঘরে প্রবেশ করলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হাঁসছিলেন। উমর (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহ আপনাকে সদা হাস্য রাখুন ইয়া রাসূলাল্লাহ।
নবী কারীম (ﷺ) বললেন, মহিলাদের কাণ্ড দেখে আমি অবাক হচ্ছি, তাঁরা আমার কাছে ছিল, অথচ তোমার আওয়াজ শুনা মাত্রই তারা সব দ্রুত পর্দার অন্তরালে চলে গেল। উমর (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনাকেই অধিক ভয় করা উচিত। তারপর উমর (রাযিঃ) ঐ মহিলাগণকে লক্ষ্য করে বললেন, ওহে নিজ ক্ষতিসাধনকারী মহিলাগণ, তোমরা আমাকে ভয় কর, অথচ আল্লাহর রাসূলকে ভয় কর না? তারা উত্তরে বললেন, আপনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনেক রূঢ় ভাষী ও কঠিন হৃদয়ের। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ ঠিকই হে ইবনে খাত্তাব! যে সত্তার হাতে আমার প্রাণ, তাঁর কসম, শয়তান যখনই কোন পথে তোমাকে দেখতে পায় তখনই তোমার ভয়ে এ পথ ছেড়ে অন্যপথে চলে যায়।
নবী কারীম (ﷺ) বললেন, মহিলাদের কাণ্ড দেখে আমি অবাক হচ্ছি, তাঁরা আমার কাছে ছিল, অথচ তোমার আওয়াজ শুনা মাত্রই তারা সব দ্রুত পর্দার অন্তরালে চলে গেল। উমর (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনাকেই অধিক ভয় করা উচিত। তারপর উমর (রাযিঃ) ঐ মহিলাগণকে লক্ষ্য করে বললেন, ওহে নিজ ক্ষতিসাধনকারী মহিলাগণ, তোমরা আমাকে ভয় কর, অথচ আল্লাহর রাসূলকে ভয় কর না? তারা উত্তরে বললেন, আপনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনেক রূঢ় ভাষী ও কঠিন হৃদয়ের। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ ঠিকই হে ইবনে খাত্তাব! যে সত্তার হাতে আমার প্রাণ, তাঁর কসম, শয়তান যখনই কোন পথে তোমাকে দেখতে পায় তখনই তোমার ভয়ে এ পথ ছেড়ে অন্যপথে চলে যায়।
باب مَنَاقِبُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَبِي حَفْصٍ الْقُرَشِيِّ الْعَدَوِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
3683 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الحَمِيدِ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ سَعْدٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَاهُ، قَالَ: ح حَدَّثَنِي عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ الحَمِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: اسْتَأْذَنَ عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعِنْدَهُ نِسْوَةٌ مِنْ قُرَيْشٍ يُكَلِّمْنَهُ وَيَسْتَكْثِرْنَهُ، عَالِيَةً أَصْوَاتُهُنَّ عَلَى صَوْتِهِ، فَلَمَّا اسْتَأْذَنَ عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ قُمْنَ فَبَادَرْنَ الحِجَابَ، فَأَذِنَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَخَلَ عُمَرُ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَضْحَكُ، فَقَالَ عُمَرُ: أَضْحَكَ اللَّهُ سِنَّكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «عَجِبْتُ مِنْ هَؤُلاَءِ اللَّاتِي كُنَّ عِنْدِي، فَلَمَّا سَمِعْنَ صَوْتَكَ ابْتَدَرْنَ الحِجَابَ» فَقَالَ عُمَرُ: فَأَنْتَ أَحَقُّ أَنْ يَهَبْنَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، ثُمَّ قَالَ عُمَرُ: يَا عَدُوَّاتِ أَنْفُسِهِنَّ أَتَهَبْنَنِي وَلاَ تَهَبْنَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقُلْنَ: نَعَمْ، أَنْتَ أَفَظُّ وَأَغْلَظُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِيهًا يَا ابْنَ الخَطَّابِ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا لَقِيَكَ الشَّيْطَانُ سَالِكًا فَجًّا قَطُّ، إِلَّا سَلَكَ فَجًّا غَيْرَ فَجِّكَ»
