আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ
হাদীস নং: ৫৪৪
২৪৮. যে তাহার ভাইকে ভালবাসিল, তাহাকে উহা জানাইয়া দিবে
৫৪৪। হযরত মুজাহিদ (রাহঃ) বলেনঃ নবী করীম (ﷺ) সাহাবীগণের মধ্যকার একজন একদা আমার সহিত সাক্ষাত করিলেন এবং আমার পশ্চাৎ দিক হইতে আমার কাঁধে ধরিলেন। তখন তিনি বলিলেনঃ ওহে! আমি তোমাকে ভালবাসি। রাবী বলেনঃ আমি বলিলাম, যে সত্তার (সন্তুষ্টির) জন্য আপনি আমাকে ভালবাসেন, তিনি যেন আপনাকে ভালবাসেন। তখন তিনি বলিলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যদি একথা না বলিতেন যে, যখন কেহ কাহাকেও ভালবাসে, তখন তাহার উচিত সে যাহাকে ভালবাসে তাহাকে উহা অবহিত করা অন্যথায় আমি তোমাকে উহা অবহিত করিতাম না। রাবী বলেনঃ অতঃপর তিনি আমাকে বিবাহের একটি প্রস্তাব দিলেন এবং বলিলেনঃ ওহে! আমার কাছে একটি বালিকা আছে, তবে সে এক চক্ষু বিশিষ্টা।
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بِشْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي عُبَيْدِ اللهِ، عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ: لَقِيَنِي رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَخَذَ بِمَنْكِبِي مِنْ وَرَائِي، قَالَ: أَمَا إِنِّي أُحِبُّكَ، قَالَ: أَحَبَّكَ الَّذِي أَحْبَبْتَنِي لَهُ، فَقَالَ: لَوْلاَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: إِذَا أَحَبَّ الرَّجُلُ الرَّجُلَ فَلْيُخْبِرْهُ أَنَّهُ أَحَبَّهُ مَا أَخْبَرْتُكَ، قَالَ: ثُمَّ أَخَذَ يَعْرِضُ عَلَيَّ الْخِطْبَةَ قَالَ: أَمَا إِنَّ عِنْدَنَا جَارِيَةً، أَمَا إِنَّهَا عَوْرَاءُ.
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছটির মূল বিষয় হলো, কেউ কাউকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসলে তাকে তা জানিয়ে দেওয়া চাই।
হযরত আনাস রাযি. বর্ণিত এক হাদীসে আছে যে, এক সাহাবী নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জনৈক গমনরত ব্যক্তি সম্পর্কে যখন জানালেন যে, তিনি তাকে ভালোবাসেন, তখন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সে সম্পর্কে অবগত করতে বললেন। তখন সাহাবী উঠে ওই ব্যক্তির কাছে গেলেন এবং তাকে বললেন- إِنِّي أُحِبُّكَ فِي اللَّهِ (আমি তোমাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি)।
উত্তরে সে ব্যক্তি বললেন- أَحَبَّكَ الَّذِي أَحْبَبْتَنِي لَهُ (তুমি যার জন্য আমাকে ভালোবাস, তিনিও তোমাকে ভালোবাসুন)।
এর দ্বারা জানা গেল, কাউকে ভালোবাসলে কী বলে তাকে সে সম্পর্কে অবহিত করবে এবং সেই ব্যক্তি তার উত্তরে কী বলবে। আরবী জানলে তো আরবীতে বলাই ভালো, নয়তো নিজ ভাষায়ই বলবে।
ভালোবাসার ব্যক্তিকে ভালোবাসা সম্পর্কে অবহিত করা, এ নববী শিক্ষাটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিভিন্ন হাদীছ দ্বারা জানা যায়, আল্লাহর জন্য পরস্পরে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলা ঈমানের দাবি। এর দ্বারা ঈমান পরিপূর্ণতা পায়। তবে এক মুসলিমের অন্য মুসলিমকে ভালোবাসলেই কাজ শেষ হয়ে যায় না। সে ভালোবাসাকে স্থায়ী ও গভীর করার চেষ্টাও জরুরি। অন্যথায় যে-কোনও সময় সে সম্পর্ক ভেঙ্গেও যেতে পারে; বরং তার পরিবর্তে জন্ম নিতে পারে শত্রুতা, যা ঈমান-আমলের জন্য ধ্বংসাত্মক।
যেসব কাজ দ্বারা পারস্পরিক মহব্বত ও ভালোবাসা অধিকতর গভীর ও স্থায়ী হয়, তার একটি হচ্ছে ভালোবাসার কথা জানিয়ে দেওয়া। এতে করে যাকে ভালোবাসা হয় সে খুশি হয়। তাতে তার অন্তরেও ভালোবাসা জন্মায়। ভালোবাসা যখন উভয়দিক থেকেই হয়, তখন তা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায় এবং তা সাধারণত স্থায়ী হয়।
হাদীছ থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. যাকে ভালোবাসা হয় তাকে ভালোবাসার কথা জানিয়ে দেওয়া চাই।
খ. যাকে ভালোবাসার কথা জানানো হয়, তার উচিত সে ভালোবাসার মূল্যায়ন করা এবং এই দু'আর মাধ্যমে তাকে সম্বর্ধিত করা যে- তুমি যার জন্য আমাকে ভালোবাস, সেই আল্লাহ তাআলাও তোমাকে ভালোবাসুন ।
গ. ভদ্রতা ও সৌজন্যবোধও যে ইসলামী শিক্ষার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এ হাদীছ দ্বারা তা উপলব্ধি করা যায়।
হযরত আনাস রাযি. বর্ণিত এক হাদীসে আছে যে, এক সাহাবী নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জনৈক গমনরত ব্যক্তি সম্পর্কে যখন জানালেন যে, তিনি তাকে ভালোবাসেন, তখন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সে সম্পর্কে অবগত করতে বললেন। তখন সাহাবী উঠে ওই ব্যক্তির কাছে গেলেন এবং তাকে বললেন- إِنِّي أُحِبُّكَ فِي اللَّهِ (আমি তোমাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি)।
উত্তরে সে ব্যক্তি বললেন- أَحَبَّكَ الَّذِي أَحْبَبْتَنِي لَهُ (তুমি যার জন্য আমাকে ভালোবাস, তিনিও তোমাকে ভালোবাসুন)।
এর দ্বারা জানা গেল, কাউকে ভালোবাসলে কী বলে তাকে সে সম্পর্কে অবহিত করবে এবং সেই ব্যক্তি তার উত্তরে কী বলবে। আরবী জানলে তো আরবীতে বলাই ভালো, নয়তো নিজ ভাষায়ই বলবে।
ভালোবাসার ব্যক্তিকে ভালোবাসা সম্পর্কে অবহিত করা, এ নববী শিক্ষাটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিভিন্ন হাদীছ দ্বারা জানা যায়, আল্লাহর জন্য পরস্পরে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলা ঈমানের দাবি। এর দ্বারা ঈমান পরিপূর্ণতা পায়। তবে এক মুসলিমের অন্য মুসলিমকে ভালোবাসলেই কাজ শেষ হয়ে যায় না। সে ভালোবাসাকে স্থায়ী ও গভীর করার চেষ্টাও জরুরি। অন্যথায় যে-কোনও সময় সে সম্পর্ক ভেঙ্গেও যেতে পারে; বরং তার পরিবর্তে জন্ম নিতে পারে শত্রুতা, যা ঈমান-আমলের জন্য ধ্বংসাত্মক।
যেসব কাজ দ্বারা পারস্পরিক মহব্বত ও ভালোবাসা অধিকতর গভীর ও স্থায়ী হয়, তার একটি হচ্ছে ভালোবাসার কথা জানিয়ে দেওয়া। এতে করে যাকে ভালোবাসা হয় সে খুশি হয়। তাতে তার অন্তরেও ভালোবাসা জন্মায়। ভালোবাসা যখন উভয়দিক থেকেই হয়, তখন তা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায় এবং তা সাধারণত স্থায়ী হয়।
হাদীছ থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. যাকে ভালোবাসা হয় তাকে ভালোবাসার কথা জানিয়ে দেওয়া চাই।
খ. যাকে ভালোবাসার কথা জানানো হয়, তার উচিত সে ভালোবাসার মূল্যায়ন করা এবং এই দু'আর মাধ্যমে তাকে সম্বর্ধিত করা যে- তুমি যার জন্য আমাকে ভালোবাস, সেই আল্লাহ তাআলাও তোমাকে ভালোবাসুন ।
গ. ভদ্রতা ও সৌজন্যবোধও যে ইসলামী শিক্ষার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এ হাদীছ দ্বারা তা উপলব্ধি করা যায়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
