আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ
হাদীস নং: ৫০০
২২৭- গভীর রাতে রোগীকে দেখতে যাওয়া।
৫০০। হযরত সা'দ (রাযিঃ)-এর কন্যা আয়েশা বর্ণনা করেন যে, তাঁহার পিতা বলিয়াছেনঃ একবার আমি মক্কায় কঠিন পীড়ায় আক্রান্ত হইলাম। নবী করীম (ﷺ) আমাকে দেখিতে আসিলেন। তখন আমি বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি উত্তরাধিকার সূত্রে বিশাল সম্পত্তি রাখিয়া যাইতেছি অথচ আমার একটি মাত্র কন্যাকে উত্তরাধিকারীরূপে রাখিয়া যাইতেছি। আমি কি আমার দুই-তৃতীয়াংশ সম্পত্তির ব্যাপারে ওসীয়্যাত করিয়া এক-তৃতীয়াংশই কেবল রাখিয়া যাইতে পারি? জবাবে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ না। অতঃপর তিনি (আমার পিতা) বলিলেন, তার কি আমি অর্ধেক সম্পত্তির ব্যাপারে ওসীয়্যাত করিয়া অর্ধেক তাহার জন্য রাখিয়া যাইব? জবাবে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ফরমাইলেনঃ না, তাহা হইতে পারে না। অতঃপর আমি বলিলাম, তবে কি আমি এক-তৃতীয়াংশের ব্যাপারে ওসীয়্যাত করিয়া দুই-তৃতীয়াংশ তাহার জন্য রাখিয়া যাইব? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ এক-তৃতীয়াংশ । এক-তৃতীয়াংশও তো অনেক বেশী। অতঃপর তিনি তাঁহার পবিত্র হস্ত আমার কপালে রাখিলেন এবং আমার মুখমণ্ডল ও পেটে হাত বুলাইলেন এবং বলিলেনঃ হে আল্লাহ্! সা'দকে রোগমুক্ত করুন এবং তাঁহার হিজরতকে পূর্ণ করিয়া দিন! হযরত সা'দ বলেনঃ এখনও যখনই আমি সে কথা স্মরণ করি তখন নবী করীম (ﷺ) -এর পবিত্র হস্তের শীতল স্পর্শ আমার হৃৎপিণ্ডে অনুভব করি।
حَدَّثَنَا الْمَكِّيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا الْجُعَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ سَعْدٍ ، أَنَّ أَبَاهَا ، قَالَ : " اشْتَكَيْتُ بِمَكَّةَ شَكْوَى شَدِيدَةً ، فَجَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُنِي ، فَقُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، إِنِّي أَتْرُكُ مَالا ، وَإِنِّي لَمْ أَتْرُكْ إِلا ابْنَةً وَاحِدَةً ، أَفَأُوصِي بِثُلُثَيْ مَالِي ، وَأَتْرُكُ الثُّلُثَ ؟ ، قَالَ : لا ، قَالَ : أُوصِي النِّصْفَ ، وَأَتْرُكُ لَهَا النِّصْفَ ؟ ، قَالَ : لا ، قَالَ : فَأَوْصِي بِالثُّلُثِ ، وَأَتْرُكُ لَهَا الثُّلُثَيْنِ ؟ ، قَالَ : الثُّلُثُ ، وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ ، ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ عَلَى جَبْهَتِي ، ثُمَّ مَسَحَ وَجْهِي وَبَطْنِي ، ثُمَّ قَالَ : اللَّهُمَّ اشْفِ سَعْدًا ، وَأَتِمَّ لَهُ هِجْرَتَهُ ، فَمَا زِلْتُ أَجِدُ بَرْدَ يَدِهِ عَلَى كَبِدِي فِيمَا يَخَالُ إِلَيَّ حَتَّى السَّاعَةِ " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছটিতে হযরত সা'দ রাযি. নিজ ঘটনা বর্ণনা করেন যে, তিনি বিদায় হজ্জের বছর মক্কা মুকার্রামায় কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। সংবাদ পেয়ে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে দেখতে আসেন। কোনও সাহাবী অসুস্থ হলে তাকে দেখতে আসা তাঁর সাধারণ অভ্যাস ছিল। তিনি অন্যদেরকেও রোগী দেখতে যাওয়ার প্রতি উৎসাহিত করেছেন। এটা তাঁর সুন্নত এবং এর অনেক ফযীলত।
হযরত সা'দ রাযি. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দেখতে আসলেন। আমি তাঁকে জানালাম যে, আমার ওয়ারিশ তো মাত্র আমার এক কন্যা। অন্যদিকে আমার সম্পদ প্রচুর। এ অবস্থায় আমি কি আমার সম্পদের তিন ভাগের দুইভাগ সদকা করে দিতে পারি? নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করলেন। তারপর তিনি অর্ধেকের কথা বললেন। তাও নিষেধ করলেন। শেষে যখন তিন ভাগের একভাগের কথা বললেন, তখন পরিমাণ হিসেবে এটাকেও বেশিই সাব্যস্ত করলেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও অনুমতি দিয়ে দিলেন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. কেউ অসুস্থ হয়েছে জানলে তাকে দেখতে যাওয়া উচিত। এটা প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত।
খ. উল্লেখযোগ্য কোনও কাজ করতে চাইলে সে ব্যাপারে বিজ্ঞজনের সংগে পরামর্শ করা উচিত, যেমন হযরত সা'দ ইবন আবূ ওয়াক্কাস রাযি. তার সম্পদ দান করে দেওয়ার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের সংগে পরামর্শ করেছেন।
গ. মুমূর্ষু ব্যক্তি যদি তার সম্পদ দান করতে চায় বা সে সম্পর্কে অসিয়ত করতে চায়, তবে তা সর্বোচ্চ এক–তৃতীয়াংশের ভেতর করতে পারে, এর বেশি করা জায়েয নয়। উত্তম হল এক–তৃতীয়াংশেরও নিচে রাখা
হযরত সা'দ রাযি. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দেখতে আসলেন। আমি তাঁকে জানালাম যে, আমার ওয়ারিশ তো মাত্র আমার এক কন্যা। অন্যদিকে আমার সম্পদ প্রচুর। এ অবস্থায় আমি কি আমার সম্পদের তিন ভাগের দুইভাগ সদকা করে দিতে পারি? নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করলেন। তারপর তিনি অর্ধেকের কথা বললেন। তাও নিষেধ করলেন। শেষে যখন তিন ভাগের একভাগের কথা বললেন, তখন পরিমাণ হিসেবে এটাকেও বেশিই সাব্যস্ত করলেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও অনুমতি দিয়ে দিলেন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. কেউ অসুস্থ হয়েছে জানলে তাকে দেখতে যাওয়া উচিত। এটা প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত।
খ. উল্লেখযোগ্য কোনও কাজ করতে চাইলে সে ব্যাপারে বিজ্ঞজনের সংগে পরামর্শ করা উচিত, যেমন হযরত সা'দ ইবন আবূ ওয়াক্কাস রাযি. তার সম্পদ দান করে দেওয়ার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের সংগে পরামর্শ করেছেন।
গ. মুমূর্ষু ব্যক্তি যদি তার সম্পদ দান করতে চায় বা সে সম্পর্কে অসিয়ত করতে চায়, তবে তা সর্বোচ্চ এক–তৃতীয়াংশের ভেতর করতে পারে, এর বেশি করা জায়েয নয়। উত্তম হল এক–তৃতীয়াংশেরও নিচে রাখা
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
