আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
৩৪০৯। মুহাম্মাদ ইবনে মিসকীন (রাহঃ) .... আবু মুসা আশ‘আরী (রাযিঃ) বর্ণিত যে, তিনি একদিন ঘরে উযু করে বের হলেন এবং (মনে মনে স্থির করলেন) আমি আজ সারাদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাথে কাটাব, তার থেকে পৃথক হব না। তিনি মসজিদে গিয়ে নবী কারীম (ﷺ)- এর খবর নিলেন, সাহাবীগণ বললেন, তিনি এদিকে বেরিয়ে গেছেন। আমিও ঐ পথ ধরে তাঁর অনুগমন করলাম। তাঁর খুঁজে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকলাম। তিনি শেষ পর্যন্ত আরীস কূপের নিকট গিয়ে পৌছলেন। আমি (কূপে প্রবেশের) দরজার নিকট বসে পড়লাম। দরজাটি খেজুরের শাখা দিয়ে তৈরী ছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন তাঁর প্রয়োজন (ইস্তিনজা) সেরে উযু করলেন। তখন আমি তাঁর নিকটে দাঁড়ালাম এবং দেখতে পেলাম তিনি আরীস কূপের কিনারার বাঁধের মাঝখানে বসে হাঁটু পর্যন্ত পা দু’টি খুলে কূপের ভিতরে ঝুলিয়ে রেখেছেন,আমি তাঁকে সালাম দিলাম এবং ফিরে এসে দরজায় বসে রইলাম এবং মনে মনে স্থির করে নিলাম যে, আজ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর দারোয়ানরূপে (পাহারাদারের) দায়িত্ব পালন করব।
এ সময় আবু বকর (রাযিঃ) এসে দরজায় ধাক্কা দিলেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কে? তিনি বললেন, আবু বকর! আমি বললাম থামুন, (আমি আপনার জন্য অনুমতি নিয়ে আসি) আমি গিয়ে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আবু বকর (রাযিঃ) ভিতরে আসার অনুমতি চাচ্ছেন। তিনি বললেন, ভিতরে আসার অনুমতি দাও এবং তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও। আমি ফিরে এসে আবু বকর (রাযিঃ)- কে বললাম, ভিতরে আসুন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আপনাকে জান্নাতের সুসংবাদ দিচ্ছেন। আবু বকর (রাযিঃ) ভিতরে আসলেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর ডানপাশে কূপের কিনারায় বসে দু’পায়ের কাপড় হাটু পর্যন্ত উঠায়ে নবী কারীম (ﷺ)- এর ন্যায় কূপের ভিতর পা ঝুলিয়ে দিয়ে বসে পড়েন। আমি ফিরে এসে (দরজার পাশে) বসে পড়লাম। আমি (ঘর হতে বের হওয়ার সময়) আমার ভাইকে উযু করছে অবস্থায় রেখে এসেছিলাম। তারও আমার সাথে মিলিত হওয়ার কথা ছিল। তাই আমি (মনে মনে) বলতে লাগলাম, আল্লাহ যদি তার (ভাইয়ের) মঙ্গল চান তবে তাকে নিয়ে আসুন।
এমন সময় এক ব্যক্তি দরজা নাড়তে লাগল। আমি বললাম, কে? তিনি বললেন, আমি উমর ইবনে খাত্তাব। আমি বললাম, অপেক্ষা করুন, (আমি আপনার জন্য অনুমতি নিয়ে আসি)। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর খেদমতে সালাম পেশ করে আরয করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! উমর ইবনে খাত্তাব (ভিতরে আসার) অনুমতি চাচ্ছেন। তিনি বললেন তাকে ভিতরে আসার অনুমতি দাও এবং তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও। আমি এসে তাকে বললাম, ভিতরে আসুন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আপনাকে জান্নাতের সুসংবাদ দিচ্ছেন। তিনি ভিতরে আসলেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর বামপাশে হাটু পর্যন্ত কাপড় উঠায়ে কূপের ভিতর দিকে পা ঝুলিয়ে দিয়ে বসে গেলেন। আমি আবার ফিরে আসলাম এবং বলতে থাকলাম আল্লাহ যদি আমার ভাইয়ের মঙ্গল চান, তবে যেন তাকে নিয়ে আসেন।
এরপর আর এক ব্যক্তি এসে দরজা নাড়তে লাগল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম কে? তিনি বললেন, আমি উসমান ইবনে আফফান। আমি বললাম, থামুন (আমি অনুমতি নিয়ে আসছি) নবী কারীম (ﷺ)- এর খেদমতে গিয়ে জানালাম। তিনি বললেন, তাকে ভিতরে আসতে বল এবং তাকেও জান্নাতের সু-সংবাদ দিয়ে দাও। তবে (দুনিয়াতে তার উপর) কঠিন পরীক্ষা হবে। আমি এসে বললাম, ভিতরে আসুন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আপনাকে জান্নাতের সু-সংবাদ দিচ্ছেন; তবে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হয়ে। তিনি ভিতরে এসে দেখলেন, কূপের কিনারায় খালি জায়গা নাই। তাই তিনি নবী কারীম (ﷺ)- এর সম্মুখে অপর এক স্থানে বসে পড়লেন।
শরীক (রাহঃ) বলেন, সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যাব (রাহঃ) বলেছেন, আমি এর দ্বারা (পরবর্তী কালে) তাদের কবর এরূপ হবে এই অর্থ করেছি।
হাদীসের ব্যাখ্যাঃ
কোন কোন বর্ণনায় সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণিত হলেও এটি মূলত একটি দীর্ঘ হাদীছ। এতে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একাকী বি’রে আরীসে গিয়েছিলেন। বি’রে আরীস অর্থ আরীসের কুয়া। আরীস ছিল এক ইহুদির নাম। সে এ কুয়াটির মালিক ছিল। কুয়াটি ছিল কুবা মসজিদের উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রাচীরঘেরা একটি বাগানের ভেতর। কুয়াটির নামে বাগানটিরও নাম হয়ে যায় বি'রে আরীস। বর্তমানে কুয়াটির কোনও চিহ্ন নেই। তার উপর দিয়ে প্রশস্ত রাস্তা চলে গেছে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বাগানে যাওয়ার পর হযরত আবূ মূসা আশ'আরী রাযি. তাঁকে খুঁজতে খুঁজতে সেখানে চলে যান এবং বাগানটির দরজায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য প্রহরীর কাজ করতে থাকেন। তারপর সেখানে যথাক্রমে হযরত আবূ বকর সিদ্দীক রাযি., হযরত উমর ফারুক রাযি. ও হযরত উছমান গনী রাযি.-ও উপস্থিত হন। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদের তিনজনকেই হযরত আবূ মূসা রাযি.-এর মাধ্যমে জান্নাতের সুসংবাদ দেন। সেইসঙ্গে হযরত উছমান রাযি. সম্পর্কে একটি ভবিষ্যদ্বাণীও করেন। তাতে জানান যে, তাঁকে একটি কঠিন মসিবতের সম্মুখীন হতে হবে। হাদীছটিতে আছে, আরীস কুয়ার তীরে তাঁরা সকলেই পা ঝুলিয়ে বসেছিলেন। তার একদিকে বসেছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর ডান পাশে হযরত আবু বকর সিদ্দীক রাযি. ও বাম পাশে হযরত উমর রাযি.। অপরদিকে তাঁদের মুখোমুখি হয়ে হযরত উছমান রাযি. একা বসেছিলেন। বিখ্যাত তাবি'ঈ হযরত সা'ঈদ ইবনুল মুসায়্যিব রহ. এর ব্যাখ্যা করেছেন যে, এটা ছিল তাঁদের কবর কীভাবে হবে সেদিকে ইঙ্গিত। তাঁদের কবর এভাবেই হয়েছে। মসজিদে নববীর পাশে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে তাঁর পাশাপাশি প্রথম দুই খলীফার কবর হয়েছে। হযরত উছমান গনী রাযি.-এর কবর তাঁদের থেকে আলাদা, একটু দূরে আল-বাকী' কবরস্থানে। হযরত আবু বকর সিদ্দীক রাযি. ও হযরত উমর রাযি. যে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পাশে বসেছিলেন, তাতে দেখা যাচ্ছে হযরত আবূ বকর রাযি. বসেছেন ডানদিকে এবং হযরত উমর রাযি. বামদিকে। এর দ্বারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক ও ঘনিষ্ঠতার ইঙ্গিত মেলে। অর্থাৎ দু'জনই অনেক ঘনিষ্ঠ এবং হযরত আবু বকর রাযি. সে ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন। কেননা তিনি ডানদিকে আর হযরত উমর রাযি, বামদিকে। বামদিকের উপর যেমন ডানদিকে শ্রেষ্ঠত্ব, হযরত উমর রাযি.-এর উপর হযরত আবু বকর রাযি.-এর শ্রেষ্ঠত্ব সেরকমই। তারপরও তাঁরা দু'জন তাঁর সর্বাপেক্ষা ঘনিষ্ঠ। তাঁর দুই হাত স্বরূপ। একজন ডানহাত, একজন বামহাত। বিভিন্ন হাদীছে দেখা যায়, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের সঙ্গে হযরত আবু বকর সিদ্দীক রাযি. ও উমর ফারুক রাযি.-এর নামও একত্রে উল্লেখ করতেন। বলতেন, আমি, আবূ বকর ও উমর। এ হাদীছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত উছমান রাযি, সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, তিনি কোনও কঠিন বিপদে পড়বেন। কী সে কঠিন বিপদ? অন্য হাদীছে এর ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। হযরত আব্দুল্লাহ ইবন উমর রাযি. থেকে বর্ণিত- ذَكَرَ رَسُولُ اللهِ ﷺ فِتْنَة ، فَقَالَ : يُقْتَلُ هذَا فِيْهَا مَظْلُومًا لِعُثْمَانَ ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ফিতনার কথা বর্ণনা করেন। তাতে তিনি বলেন, সে ফিতনায় ওই ব্যক্তি মজলুমরূপে নিহত হবে। তিনি এটা বলেছিলেন উছমানকে লক্ষ্য করে।’ (জামে' তিরমিযী: ৩৭০৮) হযরত উছমান রাযি.-ও বুঝতে পেরেছিলেন তা কোনও কঠিন বিপদই হবে। তাই নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাঁকে কোনও কঠিন বিপদে পড়ার কথা জানালেন, তখন সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠলেন, আল্লাহ তা'আলাই সাহায্যকারী। অপর এক বর্ণনায় আছে, তিনি বলেছিলেন, হে আল্লাহ! আমাকে ধৈর্যধারণের তাওফীক দিয়ো। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ ভবিষ্যদ্বাণী সত্য প্রমাণিত হয়। হযরত উছমান রাযি.-এর খেলাফতকালের শেষদিকে তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দানা বাঁধে। সে বিদ্রোহ ছিল আব্দুল্লাহ ইবন সাবা নামক এক দুর্বৃত্তকারীর ষড়যন্ত্রের ফল। লোকটি নানা মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে মানুষকে তাঁর বিরুদ্ধে উত্তেজিত করে তোলে। তার প্ররোচনায় মানুষ তাঁর অপসারণের দাবি তোলে। অথচ তিনি ছিলেন সত্যনিষ্ঠ ও সঠিক পথে প্রতিষ্ঠিত খলীফা। তিনি ন্যায়ের উপর ছিলেন। তিনি যে ন্যায়ের উপর থাকবেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে ভবিষ্যদ্বাণীও করে গিয়েছিলেন। হযরত মুররা ইবন কা'ব রাযি. হযরত উছমান রাযি.-এর শাহাদাতের পর এরকম এক হাদীছ বর্ণনা করেন। তাতে আছে- وَذَكَرَ الْفِتَنَ فَقَرَّبَهَا، فَمَرَّ رَجُلٌ مُقَنَّعٌ فِي ثَوْب فَقَالَ : هَذَا يَوْمَئِذٍ عَلَى الْهُدَى، فَقُمْتُ إِلَيْهِ فَإِذَا هُوَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ قَالَ : فَأَقْبَلْتُ عَلَيْهِ بِوَجْهِهِ، فَقُلْتُ : هَذَا؟ قَالَ : نَعَمْ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিভিন্ন ফিতনার কথা উল্লেখ করেন এবং সেগুলো নিকটবর্তী বলে জানান। এ সময় একটি কাপড় দিয়ে মাথা ঢাকা অবস্থায় এক ব্যক্তি কাছ দিয়ে যাচ্ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিকে ইঙ্গিত করে বললেন, এই ব্যক্তি সেদিন হিদায়াতের উপর থাকবে। আমি উঠে তার কাছে গেলাম। দেখি তিনি উছমান ইবন আফফান। আমি তার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বললাম, ইনি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হাঁ। (জামে' তিরমিযী: ৩৭০৪) বস্তুত চক্রান্তকারীরাও জানত তিনি হিদায়াতের উপর আছেন। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্যই ছিল ফিতনা সৃষ্টি করা। সে লক্ষ্যে তারা তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অপবাদ ও মিথ্যা অভিযোগ দাঁড় করাতে থাকে। তাতে তারা সফলও হয়ে যায়। ক্রমে মিশর, বসরা, কূফা প্রভৃতি অঞ্চলে বিদ্রোহীরা সংঘবদ্ধ হতে থাকে। পরিশেষে হিজরী ৩৫ সনে ৪ হাজার বিদ্রোহী মদীনা মুনাউওয়ারায় এসে সমবেত হয়। তারা হযরত উছমান রাযি.-কে তাঁর গৃহে অবরুদ্ধ করে ফেলে। দীর্ঘ ২ মাস ২০ দিন তিনি অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকেন। এ সময়ে সাহাবায়ে কেরামের অনেকেই তাঁর কাছে বিদ্রোহীদের প্রতিরোধ করার অনুমতি চান। কিন্তু মদীনা মুনাউওয়ারায় রক্তপাত হবে, এটা তিনি কিছুতেই মানতে পারছিলেন না। পরিশেষে যুলহিজ্জা মাসের ১২ তারিখ জুমু'আর দিন তারা তাঁর উপর হামলা চালায়। পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতরত অবস্থায় তারা তাঁকে শহীদ করে দেয়। এভাবে তিনি নিজ রক্তের বিনিময়ে এ পবিত্র নগরকে ব্যাপক রক্তপাত থেকে হেফাজত করেন। হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ এ হাদীছ দ্বারা আমরা যা-কিছু জানতে পারি তার কয়েকটি নিম্নরূপ- ক. সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে হযরত আবূ বকর সিদ্দীক রাযি. ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সর্বাপেক্ষা ঘনিষ্ঠ। খ. হযরত উমর রাযি. এ উম্মতের দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি। গ. হযরত আবূ মূসা আশ'আরী রাযি. যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি কতটা নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন, তাও এ হাদীছ দ্বারা জানা যায়। ঘ. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেককেই তাদের জীবিত অবস্থায় জান্নাতের সুসংবাদ শুনিয়েছেন। হযরত আবু বকর সিদ্দীক রাযি., হযরত উমর ফারুক রাযি. ও হযরত উছমান গনী রাযি. তাদের অন্যতম। ঙ. কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইলে তার অনুমতি নেওয়া জরুরি। চ. কেউ কোনও কল্যাণ ও বরকতপূর্ণ বিষয় অর্জন করতে পারলে নিজ ভাইয়ের জন্যও আকাঙ্ক্ষা থাকা চাই যাতে তারও তা অর্জিত হয়। ছ. নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেসব বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তার প্রত্যেকটি সত্য প্রমাণিত হয়েছে। এটাও তাঁর নবুওয়াতের সত্যতার একটি দলীল। জ. হযরত উছমান রাযি. কতটা শান্তিপ্রিয় ও সহনশীল ব্যক্তি ছিলেন, এ হাদীছ দ্বারা আমরা তাও জানতে পারি।

তাহকীক:
তাহকীক নিষ্প্রয়োজন