আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৫৪
২০৮১. নবী কারীম (ﷺ)- এর উক্তিঃ আবু বকর (রাযিঃ)- এর দরজা ব্যতীত সব দরজা বন্ধ করে দাও। এ বিষয়ে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) নবী কারীম (ﷺ) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন
৩৩৯২। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম (ﷺ) একদিন সাহাবীদের উদ্দেশ্যে খুতবা প্রদানকালে বললেন, আল্লাহ তাঁর এক প্রিয় বান্দাকে পার্থিব ভোগ বিলাস এবং তাঁর নিকট রক্ষিত নিআমতসমুহ এ দু’য়ের মধ্যে যে কোন একটি গ্রহণ করার ইখতিয়ার দান করেছেন এবং ঐ বান্দা আল্লাহর নিকট রক্ষিত নিআমতসমুহ গ্রহণ করেছে। রাবী বলেন, তখন আবু বকর (রাযিঃ) কাঁদতে লাগলেন। তাঁর কান্না দেখে আমরা আশ্চর্যান্বিত হলাম। নবী কারীম (ﷺ) এক বান্দার খবর দিচ্ছেন যাকে এভাবে ইখতিয়ার দেওয়া হয়েছে (তাতে কান্নার কী কারণ থাকতে পারে?)
কিন্তু পরে আমরা বুঝতে পারলাম, ঐ বান্দা স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ছিলেন এবং আবু বকর (রাযিঃ) আমাদের মধ্যে সর্বাধিক জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন। তখন নবী কারীম (ﷺ) বললেন, যে ব্যক্তি তার ধন সম্পদ দিয়ে, তার সাহচর্য দিয়ে আমার উপর সর্বাধিক ইহসান করেছে সে ব্যক্তি হল আবু বকর (রাযিঃ)। আমি যদি আমার রব ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরং্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করতাম, তবে অবশ্যই আবু বকরকে করতাম। তবে তাঁর সাথে আমার দ্বীনি ভ্রাতৃত্ব, আন্তরিক মহব্বত রয়েছে। মসজিদের দিকে আবু বকরের দরজা ব্যতীত অন্য কোন দরজা খোলা রাখা যাবে না।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন