আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ

আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ

হাদীস নং: ১০২
৫৫-প্রতিবেশী সম্পর্কে তাগিদ
১০২। হযরত আবু শুরায়হ খুযায়ী (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ)-এর প্রমুখাৎ বর্ণনা করেন যে, তিনি ফরমাইয়াছেনঃ যে আল্লাহতে এবং আখিরাতের দিনের প্রতি বিশ্বাস পােষণ করে, তাহার উচিত তাহার প্রতিবেশীর সহিত সদ্ব্যবহার করা এবং যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও কিয়ামতের দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, তাহার উচিত তাহার মেহমানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা এবং যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও আখিরাতের দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, তাহার উচিত যেন সে উত্তম কথা বলে অথবা চুপ করিয়া থাকে।
بَابُ الْوَصَاةِ بِالْجَارِ
حَدَّثَنَا صَدَقَةُ، قَالَ‏:‏ أَخْبَرَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْخُزَاعِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ‏:‏ مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيُحْسِنْ إِلَى جَارِهِ، وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ، وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا أَوْ لِيَصْمُتْ‏.‏

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক হাদীছ। উত্তম চরিত্রের সবকিছুই এর মধ্যে এসে গেছে। এতে বর্ণিত তিনটি বিষয়ের উপর আমল করলে মোটামুটিভাবে বান্দার হক সম্পর্কিত সবকিছুই পালন হয়ে যায়। তাই নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনওটি কাজের হুকুমদানের আগে আল্লাহ ও শেষদিবসে বিশ্বাসের বরাত দিয়েছেন। অর্থাৎ যার এ বিশ্বাস আছে তার এ বিষয়তিনটি পালনে যত্নবান থাকা একান্ত কর্তব্য।

ঈমানের মূল স্তম্ভ সাতটি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, ফিরিশতাদের প্রতি বিশ্বাস, আসমানী কিতাবের প্রতি বিশ্বাস, রাসূলগণের প্রতি বিশ্বাস, শেষদিবসের প্রতি বিশ্বাস, তাকদীরে বিশ্বাস এবং মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের উপর বিশ্বাস। এ হাদীছে তার মধ্যে মাত্র দু'টি অর্থাৎ আল্লাহ ও শেষদিবসের প্রতি বিশ্বাসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর কারণ এ দু'টির উপর যার বিশ্বাস আছে, বাকি পাঁচটিতে বিশ্বাস আপনা-আপনিই তার উপর অবধারিত হয়ে যায়। শরীআতের যাবতীয় বিধানের ভিত্তি মূলত এ দু'টি বিশ্বাসের উপরই। কেননা যার আল্লাহর উপর বিশ্বাস আছে এবং আখেরাতের হিসাব-নিকাশেরও ভয় আছে, সেই তো শরীআত মেনে চলতে সচেষ্ট থাকবে। এরূপ বিশ্বাস থাকলেই সে আল্লাহর প্রেরিত নবী-রাসূলের শিক্ষার দ্বারস্থ হবে। নবী-রাসূলের শিক্ষার উৎস আসমানী কিতাব, যা তাঁরা ফিরিশতাদের মাধ্যমে লাভ করে থাকেন। সুতরাং বিশ্বাসীগণ আসমানী কিতাব ও ফিরিশতাদের উপরও ঈমান রাখবে। আসমানী কিতাবের উপর বিশ্বাস থাকলে তাতে বর্ণিত কোনওকিছুর উপরই অবিশ্বাস করার সুযোগ থাকে না। ফলে তাকদীর ও পুনরুত্থানে বিশ্বাসও অবধারিত হয়ে যায়। ব্যস এভাবে আল্লাহ ও শেষদিবসের বিশ্বাস অন্যসবকিছুর বিশ্বাসকেও অবধারিত করে।

যাহোক এ হাদীছে বলা হয়েছে-যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে। অন্য বর্ণনায় আছে,

من كان يؤمن بالله واليوم الآخر فلا يؤذ جاره

(যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষদিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখে, তার কর্তব্য প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেওয়া)। দ্বিতীয়টি অপেক্ষা প্রথমটি উচ্চতর নৈতিকতা।
কষ্টদান হতে বিরত থাকা প্রাথমিক পর্যায়ের নৈতিকতা। এটা তো সকলের করতেই হবে। না করলে গুনাহ হয়। পক্ষান্তরে সদ্ব্যবহার করা যেমন হাসিমুখে কথা বলা, হাদিয়া-তোহফা দেওয়া ইত্যাদি আবশ্যিক কাজ নয়। এসব না করলে গুনাহ হয় না, কিন্তু করলে ছাওয়াব পাওয়া যায়। কষ্ট দেওয়া হতে বিরত থাকাটা বিশেষ প্রশংসনীয় কিছু নয়, যেহেতু তা বাধ্যতামূলক। পক্ষান্তরে সদাচরণ করা একটি প্রশংসনীয় কাজ। এটা ব্যক্তি তার উন্নত চরিত্র ও মহত্ত্ব থেকেই করে থাকে।
কষ্ট দেওয়া হতে বিরত থাকা যেহেতু প্রাথমিক পর্যায়ের চরিত্র, তাই এ সম্পর্কিত হাদীছটি প্রথমে আনা হয়েছে। আর ভালো ব্যবহার করা যেহেতু মহত্ত্ব ও উচ্চতর চরিত্র, তাই এটি পরে আনা হয়েছে।
এমনিতেও লাভ ও লোকসানের মধ্যে প্রথম কাজ হলো লোকসান থেকে বাঁচার চেষ্টা, তারপর দ্বিতীয় পর্যায়ে লাভের চিন্তা করা। এমনিভাবে প্রথম কাজ অনিষ্ট থেকে বাঁচা এবং তারপর কল্যাণলাভে মনোযোগী হওয়া।

প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়া ও তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করার বিষয়ও এরকমই। কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা হচ্ছে ক্ষতি অর্থাৎ গুনাহ হতে বাঁচা। আর তার প্রতি সদাচরণ করা হলো উপকারলাভ ও ছাওয়াব অর্জন করা।

মহান সাহাবীগণ তো বটেই, তাবি'ঈন ও তাবে তাবি'ঈনসহ এ উম্মতের পূর্বসুরীগণ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ শিক্ষা অনুসরণে সদা সচেষ্ট থাকতেন। তাঁদের প্রতিবেশীগণ তাঁদের পক্ষ হতে এতটাই নিরাপদ ও সম্মানজনক জীবনযাপন করতে পারত যে, সে মহান ব্যক্তিবর্গের প্রতিবেশী হতে পেরে তারা নিজেদেরকে গর্বিত বোধ করতেন। তাদের কাছে সে প্রতিবেশিত্ব ছিল অমূল নি'আমত। হযরত সাঈদ ইবনুল আস রাযি. সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, তাঁর এক প্রতিবেশী বিশেষ প্রয়োজনে তার বাড়িটি বিক্রি করতে মনস্থ করল। ক্রেতা বাড়িটির দাম বলল এক লক্ষ দিরহাম। সে বলল, ঠিক আছে, এটা বাড়ির দাম হলো। এখন বল, তুমি সা'ঈদের প্রতিবেশিত্বের দাম কী দেবে? হযরত সাঈদ ইবনুল আস রাযি. এ কথাটি জানতে পেরে প্রতিবেশীর কাছে এক লক্ষ দিরহাম পাঠিয়ে দিলেন এবং তাকে সে বাড়িতেই থাকতে বললেন । এরকমই হয় প্রতিবেশীর সঙ্গে সত্যিকার মুসলিমের আচরণ।

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন من كان يؤمن بالله واليوم الآخر فليكرم ضيفه (যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষদিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখে, তার কর্তব্য অতিথির প্রতি সম্মানজনক আচরণ করা)। অতিথি গরীব-ধনী, আত্মীয়-অনাত্মীয় যেই হোক না কেন তাকে খুশিমনে গ্রহণ করা চাই। এমন কোনও আচরণ তার সঙ্গে করা যাবে না, যা অতিথির পক্ষে মর্যাদাকর নয়। সুতরাং মেজবানের কর্তব্য তার সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাত করা, নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী তার জন্য ভালো মেহমানদারীর ব্যবস্থা করা, সামর্থ্য অনুযায়ী তাকে ভালো জায়গায় থাকতে দেওয়া, তার ওযূ-গোসলের প্রতি লক্ষ রাখা, তাকে সঙ্গ দেওয়া, বিদায়কালে তাকে এগিয়ে দেওয়া, সম্ভব হলে তার পথখরচা দিয়ে দেওয়া ইত্যাদি। কোনও কোনও বর্ণনায় আছে, তার প্রতি সম্মানজনক আচরণের একটি হলো অতিথি যেখানে বসবে, নিজে তার চেয়ে একটু নিচে বসা।

হাদীছে বলা হয়েছে-

من كان يؤمن بالله واليوم الآخر فليقل خيرا او ليسكت

(যে আল্লাহ ও শেষদিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখে তার কর্তব্য ভালো কথা বলা, নয়তো চুপ থাকা)। অর্থাৎ বলবে কেবল সেই কথাই, যা ভালো হয়। বোঝা যাচ্ছে চুপ থাকাটাই আসল। কথা বলার অনুমতি আছে তখনই, যখন কথাটা ভালো হয়। ভালো কথা মানে এমন কথা, যাতে কোনও গুনাহ নেই বরং ছাওয়াব আছে। যেমন সৎকাজের আদেশ করা, অসৎকাজে নিষেধ করা, ভালো পরামর্শ দেওয়া ইত্যাদি। কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে-

لَا خَيْرَ فِي كَثِيرٍ مِنْ نَجْوَاهُمْ إِلَّا مَنْ أَمَرَ بِصَدَقَةٍ أَوْ مَعْرُوفٍ أَوْ إِصْلَاحٍ بَيْنَ النَّاسِ وَمَنْ يَفْعَلْ ذَلِكَ ابْتِغَاءَ مَرْضَاتِ اللَّهِ فَسَوْفَ نُؤْتِيهِ أَجْرًا عَظِيمًا

'মানুষের বহু গোপন কথায় কোনও কল্যাণ নেই। তবে কোনও ব্যক্তি দান সদাকা বা কোনও সৎকাজের কিংবা মানুষের মধ্যে মীমাংসার আদেশ করলে, সেটা ভিন্ন কথা। যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে এরূপ করবে, আমি তাকে মহাপ্রতিদান দেব।৪০

যে কথায় ছাওয়াবও নেই গুনাহও নেই, এরকম প্রয়োজনীয় দুনিয়াবী কথা বলারও অনুমতি আছে। কিন্তু যে কথার কোনও প্রয়োজন নেই, তা বাহ্যত বৈধ হলেও সে কথা পরিহার করা উচিত। কেননা তাতে অন্ততপক্ষে সময় তো নষ্ট হয়। অহেতুক সময় নষ্ট করাও ইসলামী শিক্ষার পরিপন্থী। এক হাদীছে ইরশাদ-

من حسن إسلام المرء تركه ما لا يعنيه

'অহেতুক সবকিছু পরিহার করা কোনও ব্যক্তির ইসলামের সুষ্ঠুতার পরিচায়ক।৪১
অর্থাৎ এর দ্বারা বোঝা যায় সে একজন ভালো মুসলিম, সে নিষ্ঠার সঙ্গে ইসলামের উপর আছে।

বলা হয়েছে, যদি ভালো কিছু বলার না থাকে তাহলে চুপ থাকবে। অর্থাৎ চুপ থাকাটা হতে হবে ইচ্ছাকৃত, অক্ষমতার কারণে নয়। যেমন এক ব্যক্তি বোবা, সে কথাই বলতে পারে না অথবা বাকশক্তি আছে বটে, কিন্তু কোনওকিছু বলার ক্ষমতা বা সাহস রাখে না, তাই বাধ্য হয়েই চুপ করে আছে, এরূপ চুপ থাকাটা কোনও ছাওয়াবের কাজ নয়। চুপ থাকা ছাওয়াবের কাজ হবে তখনই, যখন তা ইচ্ছাকৃত হয়। যেমন চাইলে সে কোনও শক্ত ও রূঢ় কথা বলতে পারে, তা সত্ত্বেও বলছে না, এ ক্ষেত্রে চুপ থাকাটা একটি ছাওয়াবের কাজরূপে গণ্য হবে। একবার এক সাহাবী আরয করেছিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে এমন আমলের কথা বলে দিন, যা আমাকে জান্নাতে পৌঁছাবে। উত্তরে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একের পর এক বিভিন্ন আমলের কথা বলতে থাকেন। সবশেষে ইরশাদ করেন-

فإن لم تطق ذلك، فكف لسانك إلا من خير

‘যদি তাও না পার, তবে ভালো কথা ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে তোমার জিহ্বা সংযত রাখবে।৪২
অপর এক হাদীছে ইরশাদ من صمت نجا “যে ব্যক্তি নীরবতা অবলম্বন করল সে মুক্তি পেল।"

আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে চুপ থাকাটা গুনাহের কাজও বটে। যেমন কারও সামনে কেউ অন্যায় কিছু বলছে, কিন্তু ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও সে তার প্রতিবাদ করছে না, এটা অন্যায়কে সমর্থন করারই নামান্তর। এরূপ চুপ থাকা নিঃসন্দেহে একটি গুনাহের কাজ। তাই বলা হয়, যে ব্যক্তি সত্য বলার স্থানে চুপ করে থাকে সে এক বোবা শয়তান। (অবশ্য এটি হাদীছ নয়)।

হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ

ক. সেই ব্যক্তিই পরিপূর্ণ মুমিন, যে তার প্রতিবেশীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে ।

খ. অতিথির সঙ্গে সম্মানজনক আচরণ করা ঈমানের দাবি।

গ. প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য নিজ জিহ্বা সংযত রাখা। হয় ভালো কথা বলবে, নয়তো চুপ থাকবে।

ঘ. অন্যায় ও অনুচিত কথা বলা হতে বিরত থাকাও একটি সৎকর্ম

৪০. সূরা নিসা (৪), আয়াত ১১৪

৪১. জামে তিরমিযী, হাদীছ নং ২৩১৭; মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ১৭৩৭; সুনানে ইবন মাজাহ, হাদীছ নং ৩৯৭৬; সহীহ ইবন হিব্বান, হাদীছ নং ২২৯; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর, হাদীছ নং ২৮৮৬; বায়হাকী, শুআবুল ঈমান, হাদীছ নং ৪৬৩২; বাগাবী, শারহুস্ সুন্নাহ, হাদীছ নং ৪১৩২

৪২. বুখারী, আল আদাবুল মুফরাদ, হাদীছ নং ৬৯; সহীহ ইবন হিব্বান, হাদীছ নং ৩৭৪; তহাবী, শারহু মুশকিলিল আছার, হাদীছ নং ২৭৪৩; সুনানু দারা কুতনী, হাদীছ নং ২০৫৫; বায়হাকী, আস্ সুনানুল কুবরা, হাদীছ নং ২১৩১৩; শুআবুল ঈমান, হাদীছ নং ৪৫৮০; বাগাবী, শারহুস্ সুন্নাহ, হাদীছ নং ২৪১৯

৪৩. জামে তিরমিযী, হাদীছ নং ২৫০১; মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ৬৪৮১; সুনানুদ্ দারিমী, হাদীছ নং ২৭৫৫; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর, হাদীছ নং ১১৩; বায়হাকী, শুআবুল ঈমান, হাদীছ নং ৪৬২৯
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
আল-আদাবুল মুফরাদ - হাদীস নং ১০২ | মুসলিম বাংলা