আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ
হাদীস নং: ২৩
১২- মুশরিক পিতার জন্য মাগফিরাতের দু'আ করিতে নাই।
২৩। হযরত ইবন আব্বাস (রাযিঃ) বলেনঃ আল্লাহ্ তা'আলার বাণী ঃ “যদি পিতামাতা দুইজন বা তাহাদের কোন একজন তােমার সম্মুখে বৃদ্ধাবস্থায় উপনীত হন, তবে তুমি তাঁহাদের প্রতি (বিরক্তিসূচক) উফ শব্দটিও উচ্চারণ করিও না এবং তাহাদিগের সহিত ধমকের সুরে কথা বলিও না বরং নম্রভাবে কথা বলিবে এবং দু'আ বলিবে ও প্রভু ! তাহাদের উভয়কে আপনি কৃপা করুন--যেভাবে তাঁহারা আমাকে শৈশবে প্রতিপালন করিয়াছেন।” (কুরআন, ২৪ ঃ ১৭) নির্দেশ-সূরা বারা'আতের “অংশীবাদী (মুশরিক)-দের মাগফিরাত কামনা করিয়া দু'আ করা নবী এবং ঈমানদারদের জন্য মােটেই শােভনীয় নহে--যদিও বা তাহারা হয় তাহাদের নিকটাত্মীয়, যখন তাহাদের কাছে এ ব্যাপারটি সুস্পষ্ট হইয়া গিয়াছে যে, উহারা নিশ্চিতভাবেই জাহান্নামী।” (কুরআন, ৯ ও ১১৩) এই আয়াতের দ্বারা রহিত হইয়া গিয়াছে।
بَابُ لاَ يَسْتَغْفِرُ لأَبِيهِ الْمُشْرِكِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ يَزِيدَ النَّحْوِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي قَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ: (إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِنْدَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلاَهُمَا فَلاَ تَقُلْ لَهُمَا أُفٍّ) إِلَى قَوْلِهِ: (كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا)، فَنَسَخَتْهَا الْآيَةُ فِي بَرَاءَةَ: (مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا لِلْمُشْرِكِينَ وَلَوْ كَانُوا أُولِي قُرْبَى مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُمْ أَصْحَابُ الْجَحِيمِ).
হাদীসের ব্যাখ্যা:
আয়াতে উক্ত পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করার হুকুম সর্বাবস্থায়ই বহাল থাকিবে, কেবল মাগফিরাতের দু'আ এমনি ব্যাপার যাহা মুশরিক পিতামাতার প্রাপ্য নহে; কেননা, আল্লাহ তা'আলা নভাবে কুরআন শরীফে ঘোষণা করিয়াছেনঃ
“নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা'আলা তাহার সহিত শিরক করার গােনাহ ক্ষমা করিবেন না। আর এতদ্ব্যতীত অন্যান্য গােনাহ যাহাকে ইচ্ছা ক্ষমা করিয়া দিবেন। আর যে আল্লাহর সহিত অন্য কাহাকেও শরীক সাব্যস্ত করে, সে ঘােরতর পথভ্রষ্ট।” - সূরা নিসাঃ ৪৮
বিশেষত, এই হাদীসে উদ্ধৃত সূরা বারা'আতের এই আয়াত নাযিল হওয়ার পর তাে উহার কোন অবকাশই রহিল । এই নিষেধাজ্ঞা নবী ও উম্মাত সকলের উপরই সমানভাবে প্রযােজ্য।
“নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা'আলা তাহার সহিত শিরক করার গােনাহ ক্ষমা করিবেন না। আর এতদ্ব্যতীত অন্যান্য গােনাহ যাহাকে ইচ্ছা ক্ষমা করিয়া দিবেন। আর যে আল্লাহর সহিত অন্য কাহাকেও শরীক সাব্যস্ত করে, সে ঘােরতর পথভ্রষ্ট।” - সূরা নিসাঃ ৪৮
বিশেষত, এই হাদীসে উদ্ধৃত সূরা বারা'আতের এই আয়াত নাযিল হওয়ার পর তাে উহার কোন অবকাশই রহিল । এই নিষেধাজ্ঞা নবী ও উম্মাত সকলের উপরই সমানভাবে প্রযােজ্য।
