আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ
হাদীস নং: ৩
২- মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার।
৩। আবু আসিম বাহ্ ইবন হাকীমের প্রমুখাৎ, তিনি তদীয় পিতার এবং তদীয় পিতা তদীয় পিতামহের প্রমুখাৎ বর্ণনা করেন, আমি জিজ্ঞাসা করিলামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! সদ্ব্যবহার লাভের সর্বাধিক যােগ্য পাত্র কে? তিনি ফরমাইলেনঃ তােমার মাতা। বলিলাম । তারপর কে? ফরমাইলেন ঃ তােমার মাতা।
আবার বলিলামঃ তারপর কে? ফরমাইলেনঃ তােমার মাতা। পুনরায় প্রশ্ন করিলাম ঃ তারপর কে? ফরমাইলেনঃ তােমার পিতা। অতঃপর যে যত ঘনিষ্ট সে তত বেশী ।
আবার বলিলামঃ তারপর কে? ফরমাইলেনঃ তােমার মাতা। পুনরায় প্রশ্ন করিলাম ঃ তারপর কে? ফরমাইলেনঃ তােমার পিতা। অতঃপর যে যত ঘনিষ্ট সে তত বেশী ।
بَابُ بِرِّ الأُمِّ
حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ، مَنْ أَبَرُّ؟ قَالَ: أُمَّكَ، قُلْتُ: مَنْ أَبَرُّ؟ قَالَ: أُمَّكَ، قُلْتُ: مَنْ أَبَرُّ؟ قَالَ: أُمَّكَ، قُلْتُ: مَنْ أَبَرُّ؟ قَالَ: أَبَاكَ، ثُمَّ الأَقْرَبَ فَالأَقْرَبَ.
হাদীসের ব্যাখ্যা:
ইসলামের দৃষ্টিতে আল্লাহর সবচাইতে বড় ইবাদত হইতেছে নামায। এহেন নামাযের পরপরই জিহাদের মত প্রাণান্তর ও সর্বজন-স্বীকৃত পূর্ণ কর্মের কথা উল্লেখ না করিয়া তাহার পূর্বে হাদীসে পিতার সদ্ব্যবহারের কথা উল্লেখ করায় পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহারের গুরুত্ব যে কত বেশী এবং ইহা যে আল্লাহর কাছে কত বেশী প্রিয়, তাহাই বুঝানাে হইয়াছে। ইহার গুরুত্বের প্রতি লক্ষ্য করিয়াই ইমাম বুখারী ও মুসলিম (র) উভয় মনীষীই তাহাদের সহীহাইনে এ হাদীসখানা বিশেষ গুরুত্ব সহকারে উদ্ধৃত করিয়াছেন। কুরআন শরীফের আয়াতে তাে এই ব্যাপারটা আরাে বেশী গুরুত্বের সাথে বর্ণিত হইয়াছে, যেখানে আয়াতে আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কাহারাে ইবাদত বা পূজা-অর্চনা না করার কথা বলার পরপরেই পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহারের কথা বলা হইয়াছে। বিষয়টির এহেন গুরুত্বের জন্যই ইমাম বুখারী (র) তাহার এই কিতাব “আল-আদবুল মুফরাদ”-এর প্রথম শিরােনামারূপে ইহাকেই বাছিয়া লইয়াছেন।
