আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬১০
২০৭৫. ইসলাম আগমনের পর নবুওয়্যাতের নিদর্শনসমূহ
৩৩৫২। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) .... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর দরবারে উপস্থিত ছিলাম। তিনি কিছু গণীমতের মাল বন্টন করছিলেন। তখন বানু তামীম গোত্রের জুলখোয়াইসিরাহ নামে এক ব্যক্তি এসে হাযির হল এবং বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি (বন্টনে) ইনসাফ করুন। তিনি বললেন, তোমার দুর্ভাগ্য! আমি যদি ইনসাফ না করি, তবে ইনসাফ করবে কে? আমি তো নিষ্ফল ও ক্ষতিগ্রস্ত হব যদি আমি ইনসাফ না করি। উমর (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি আমাকে অনুমতি দিন আমি এর গর্দান উড়িয়ে দেই। তিনি বললেন, একে যেতে দাও। তার এমন কিছু সঙ্গী সাথী রয়েছে তোমাদের কেউ তাদের নামাযের তুলনায় নিজের নামায এবং রোযা তুচ্ছ বলে মনে করবে। এরা কুরআন পাঠ করে, কিন্তু কুরআন তাদের কণ্ঠনালীর নিম্নদেশে প্রবেশ করে না। তারা দ্বীন থেকে এমন ভাবে (দ্রুত) বেরিয়ে যাবে যেমন তীর ধনুক থেকে বেরিয়ে যায়।
তীরের অগ্রভাগের লোহা দেখা যাবে কিন্তু (শিকারের) কোন চিহ্ন পাওয়া যাবে না। কাঠের অংশটুকু দেখলে তাতেও কিছু পাওয়া যাবে না। মধ্যবর্তী অংশটুকু দেখলে তাতেও কিছু পাওয়া যাবে না। তার পালক দেখলে তাতেও কোন চিহ্ন পাওয়া যায় না। অথচ তীরটি শিকারী জন্তুর নাড়িভুঁড়ি ভেদ করে রক্তমাংস অতিক্রম করে বেরিয়ে গেছে। এদের নিদর্শন হল এমন একটি কাল মানুষ যার একটি বাহু মেয়ে লোকের স্তনের ন্যায় অথবা গোশত টুকরার ন্যায় নড়াচড়া করবে। তারা লোকদের মধ্যে বিরোধ কালে আত্মপ্রকাশ করবে। আবু সাঈদ (রাযিঃ) বলেন, আমি সাক্ষ দিচ্ছি যে, আমি স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট থেকে একথা শুনেছি। আমি এ-ও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) এদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। আমিও তাঁর সঙ্গে ছিলাম। তখন আলী (রাযিঃ) ঐ ব্যক্তিকে তালাশ করে বের করতে আদেশ দিলেন। তালাশ করে যখন আনা হল, আমি মনোযোগের সহিত লক্ষ করে তাঁর মধ্যে ঐ সব চিহ্নগুলি দেখতে পেলাম, যা নবী কারীম (ﷺ) বলেছিলেন।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন