আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
হাদীস নং: ৩৩৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬০৬
২০৭৫. ইসলাম আগমনের পর নবুওয়্যাতের নিদর্শনসমূহ
৩৩৪৮। ইয়াহয়া ইবনে মুসা (রাহঃ) .... হুযাইফা ইবনে ইয়ামান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকজন নবী কারীম (ﷺ)- কে কল্যাণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেন আর আমি তাঁকে অকল্যাণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতাম; এ আশঙ্কায় যেন আমি ঐ সবের মধ্যে নিপাতিত না হই। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা জাহিলীয়্যাতে অকল্যাণকর পরিস্থিতিতে জীবন যাপন করতাম এরপর আল্লাহ আমাদের এ কল্যাণ দান করেছেন। এ কল্যাণকর অবস্থার পর কোন প্রকার অমঙ্গলের আশঙ্কা আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ঐ অমঙ্গলের পর কোন কল্যাণ আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ আছে। তবে তা মন্দ মিশ্রিত। আমি বললাম যে, মন্দ মিশ্রিত কি? তিনি বললেন, এমন একদল লোক যারা আমার আদর্শ ত্যাগ করে অন্যপথে পরিচালিত হবে। তাদের কাজে ভালো-মন্দ সবই থাকবে।
আমি আবার জিজ্ঞাসা করলাম, এরপর কি আরো অমঙ্গল আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন জাহান্নামের দিকে আহবানকারীদের আগমন ঘটবে। যারা তাদের ডাকে সাড়া দিবে তাকেই তাঁরা জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এদের পরিচয় বর্ণনা করুন। তিনি বললেন, তাঁরা আমাদেরই সম্প্রদায়ভুক্ত এবং কথা বলবে আমাদেরই ভাষায়। আমি বললাম, আমি যদি এ অবস্থায় পতিত হই তবে আপনি আমাকে কি করতে আদেশ দেন? তিনি বললেন, মুসলমানদের (বিহৎ) দল ও তাঁদের ইমামকে আঁকড়িয়ে ধরবে। আমি বললাম, যদি মুসলমানদের এহেন দল ও ইমাম না থাকে? তিনি বলেন, তখন তুমি তাদের সকল দল উপদলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে এবং মৃত্যু না আসা পর্যন্ত বৃক্ষমূল দাঁতে আঁকড়িয়ে ধরে থাকবে এবং তোমার দ্বীনকে রক্ষা করবে।
আমি আবার জিজ্ঞাসা করলাম, এরপর কি আরো অমঙ্গল আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন জাহান্নামের দিকে আহবানকারীদের আগমন ঘটবে। যারা তাদের ডাকে সাড়া দিবে তাকেই তাঁরা জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এদের পরিচয় বর্ণনা করুন। তিনি বললেন, তাঁরা আমাদেরই সম্প্রদায়ভুক্ত এবং কথা বলবে আমাদেরই ভাষায়। আমি বললাম, আমি যদি এ অবস্থায় পতিত হই তবে আপনি আমাকে কি করতে আদেশ দেন? তিনি বললেন, মুসলমানদের (বিহৎ) দল ও তাঁদের ইমামকে আঁকড়িয়ে ধরবে। আমি বললাম, যদি মুসলমানদের এহেন দল ও ইমাম না থাকে? তিনি বলেন, তখন তুমি তাদের সকল দল উপদলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে এবং মৃত্যু না আসা পর্যন্ত বৃক্ষমূল দাঁতে আঁকড়িয়ে ধরে থাকবে এবং তোমার দ্বীনকে রক্ষা করবে।
باب عَلاَمَاتِ النُّبُوَّةِ فِي الإِسْلاَمِ
3606 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا الوَلِيدُ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ جَابِرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي بُسْرُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ الحَضْرَمِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو إِدْرِيسَ الخَوْلاَنِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ حُذَيْفَةَ بْنَ اليَمَانِ يَقُولُ: كَانَ النَّاسُ يَسْأَلُونَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الخَيْرِ، وَكُنْتُ أَسْأَلُهُ عَنِ الشَّرِّ مَخَافَةَ أَنْ يُدْرِكَنِي، فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا فِي جَاهِلِيَّةٍ وَشَرٍّ، فَجَاءَنَا اللَّهُ بِهَذَا الخَيْرِ، فَهَلْ بَعْدَ هَذَا الخَيْرِ مِنْ شَرٍّ؟ قَالَ: «نَعَمْ» قُلْتُ: وَهَلْ بَعْدَ ذَلِكَ الشَّرِّ مِنْ خَيْرٍ؟ قَالَ: «نَعَمْ، وَفِيهِ دَخَنٌ» قُلْتُ: وَمَا دَخَنُهُ؟ قَالَ: «قَوْمٌ يَهْدُونَ بِغَيْرِ هَدْيِي، تَعْرِفُ مِنْهُمْ وَتُنْكِرُ» قُلْتُ: فَهَلْ بَعْدَ ذَلِكَ الخَيْرِ مِنْ شَرٍّ؟ قَالَ: «نَعَمْ، دُعَاةٌ إِلَى أَبْوَابِ جَهَنَّمَ، مَنْ أَجَابَهُمْ إِلَيْهَا قَذَفُوهُ فِيهَا» قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، صِفْهُمْ لَنَا؟ فَقَالَ: «هُمْ مِنْ جِلْدَتِنَا، وَيَتَكَلَّمُونَ بِأَلْسِنَتِنَا» قُلْتُ: فَمَا تَأْمُرُنِي إِنْ أَدْرَكَنِي ذَلِكَ؟ قَالَ: تَلْزَمُ جَمَاعَةَ المُسْلِمِينَ وَإِمَامَهُمْ، قُلْتُ: فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُمْ جَمَاعَةٌ وَلاَ إِمَامٌ؟ قَالَ «فَاعْتَزِلْ تِلْكَ الفِرَقَ كُلَّهَا، وَلَوْ أَنْ تَعَضَّ بِأَصْلِ شَجَرَةٍ، حَتَّى يُدْرِكَكَ المَوْتُ وَأَنْتَ عَلَى [ص:200] ذَلِكَ»


বর্ণনাকারী: