আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৪৮. নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
হাদীস নং: ৩৭৮১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭৮১
পরিচ্ছেদ
৩৭৮১। আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুর রহমান এবং ইসহাক ইবন মনসুর (রাহঃ)... হুযায়ফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমাকে আমার মা জিজ্ঞাসা করলেনঃ তাঁর অর্থাৎ নবী (ﷺ)-এর সঙ্গে করে তোমার সাক্ষাত হয়েছিল?
আমি বললামঃ এত এত দিন থেকে তাঁর সঙ্গে আমার সাক্ষাত নেই।
মা তখন আমাকে কিছু গালমন্দ করলেন। আমি বললামঃ আমাকে ছেড়ে দিন তো। আমি নবী (ﷺ)-এর কাছে যাব এবং তাঁর সঙ্গে মাগরিবের সালাত আদায় করে আমার ও আপনার জন্য ইস্তিগফার করতে অনুরোধ জানাব।
এরপর আমি নবী (ﷺ) -এর কাছে গেলাম তাঁর সঙ্গে মাগরিবের সালাত আদায় করলাম। এরপর তিনি (নফল) সালাত আদায় করতে থাকলেন। শেষে ইশার সালাত আদায় করে ফিরলেন। আমিও তাঁর পিছনে পিছনে চললাম। তিনি আমার আওয়ায শুনতে পেয়ে বললেনঃ কে? হুযায়ফা? আমি বললামঃ হ্যাঁ।
তিনি বললেনঃ কি দরকার? আল্লাহ তা'আলা তোমাকে এবং তোমার মাকে মাফ করুন। এরপর তিনি বললেন : এক ফিরিশতা এলেন। আজকের এই রাতের পূর্বে আর কখনও তিনি দুনিয়ায় অবতরণ করেননি। তিনি তার প্রভুর কাছে অনুমতি নিয়েছিলেন আমাকে সালাম পেশ করতে এবং এই সুসংবাদ দিতে যে, ফাতিমা হল জান্নাতী মহিলাদের নেত্রী আর হাসান ও হুসায়ন হল জান্নাতী যুবকদের দুই প্রধান।
আমি বললামঃ এত এত দিন থেকে তাঁর সঙ্গে আমার সাক্ষাত নেই।
মা তখন আমাকে কিছু গালমন্দ করলেন। আমি বললামঃ আমাকে ছেড়ে দিন তো। আমি নবী (ﷺ)-এর কাছে যাব এবং তাঁর সঙ্গে মাগরিবের সালাত আদায় করে আমার ও আপনার জন্য ইস্তিগফার করতে অনুরোধ জানাব।
এরপর আমি নবী (ﷺ) -এর কাছে গেলাম তাঁর সঙ্গে মাগরিবের সালাত আদায় করলাম। এরপর তিনি (নফল) সালাত আদায় করতে থাকলেন। শেষে ইশার সালাত আদায় করে ফিরলেন। আমিও তাঁর পিছনে পিছনে চললাম। তিনি আমার আওয়ায শুনতে পেয়ে বললেনঃ কে? হুযায়ফা? আমি বললামঃ হ্যাঁ।
তিনি বললেনঃ কি দরকার? আল্লাহ তা'আলা তোমাকে এবং তোমার মাকে মাফ করুন। এরপর তিনি বললেন : এক ফিরিশতা এলেন। আজকের এই রাতের পূর্বে আর কখনও তিনি দুনিয়ায় অবতরণ করেননি। তিনি তার প্রভুর কাছে অনুমতি নিয়েছিলেন আমাকে সালাম পেশ করতে এবং এই সুসংবাদ দিতে যে, ফাতিমা হল জান্নাতী মহিলাদের নেত্রী আর হাসান ও হুসায়ন হল জান্নাতী যুবকদের দুই প্রধান।
بَابٌ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَإِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَا: أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ مَيْسَرَةَ بْنِ حَبِيبٍ، عَنْ المِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ: سَأَلَتْنِي أُمِّي مَتَى عَهْدُكَ تَعْنِي بِالنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ مَا لِي بِهِ عَهْدٌ مُنْذُ كَذَا وَكَذَا، فَنَالَتْ مِنِّي، فَقُلْتُ لَهَا: دَعِينِي آتِي النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأُصَلِّيَ مَعَهُ المَغْرِبَ، وَأَسْأَلُهُ أَنْ يَسْتَغْفِرَ لِي وَلَكِ، فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَلَّيْتُ مَعَهُ المَغْرِبَ فَصَلَّى حَتَّى صَلَّى العِشَاءَ، ثُمَّ انْفَتَلَ فَتَبِعْتُهُ، فَسَمِعَ صَوْتِي، فَقَالَ: «مَنْ هَذَا، حُذَيْفَةُ»؟ قُلْتُ: نَعَمْ، قَالَ: «مَا حَاجَتُكَ غَفَرَ اللَّهُ لَكَ وَلِأُمِّكَ»؟ قَالَ: «إِنَّ هَذَا مَلَكٌ لَمْ يَنْزِلِ الأَرْضَ قَطُّ قَبْلَ هَذِهِ اللَّيْلَةِ اسْتَأْذَنَ رَبَّهُ أَنْ يُسَلِّمَ عَلَيَّ وَيُبَشِّرَنِي بِأَنَّ فَاطِمَةَ سَيِّدَةُ نِسَاءِ أَهْلِ الجَنَّةِ وَأَنَّ الحَسَنَ وَالحُسَيْنَ سَيِّدَا شَبَابِ أَهْلِ الجَنَّةِ» هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الوَجْهِ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ


বর্ণনাকারী: