আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

৪৮. নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল

হাদীস নং: ৩৭১৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭১৫
নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
আলী ইব্‌ন আবু তালিব (রাযিঃ)-এর গুণাবলী
৩৭১৫। সুফইয়ান ইব্‌ন ওয়াকী' (রাহঃ)... রিবঈ ইবন হিরাশ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আলী ইবন আবু তালিব (রাযিঃ) আমাকে কূফার রাহবায় (আঙ্গিনা - যেখানে বসে তিনি ফয়সালাদি দিতেন) বলেছেনঃ হুদায়বিয়ার দিন আমাদের কাছে কিছু মুশরিক এল। তাদের মাঝে সুহায়ল ইব্‌ন আমর এবং আরো কতিপয় কুরায়শ দলপতি ছিল। তারা বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনার কাছে আমাদের কিছু পুত্র-পৌত্র, ভাই-বেরাদর ও দাস-দাসী বেরিয়ে চলে এসেছে। এদের দীন সম্পর্কে কোন প্রজ্ঞা নেই। এরা কেবল আমাদের ধন-সম্পদ ও ক্ষেত-খামারের কাজ থেকে পালানোর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে এসেছে। এদের আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিন। এদের যখন দ্বীনের প্রজ্ঞা নেই, আমরা তাদের দ্বীনের জ্ঞান দান করব।

নবী (ﷺ) বললেনঃ হে কুরায়শ সম্প্রদায়! তোমরা (দ্বীনের বিরোধিতা করা থেকে বিরত থাকবে। নইলে আল্লাহ্ তা'আলা তোমাদের উপর এমন জনকে পাঠাবেন, যে দ্বীনের খাতিরে তরবারী দিয়ে তোমাদের গর্দানে আঘাত করবে। ঈমানের জন্য তাদের হৃদয়কে আল্লাহ্ তা'আলা নির্ভেজাল করে দিয়েছেন। তারা বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তিনি কে?

আবু বকর (রাযিঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তিনি কে? উমার (রাযিঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তিনি কে? নবী (ﷺ) বললেনঃ সে জন হল জুতা সেলাইকারী।

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আলী (রাযিঃ)-কে তাঁর জুতা সেলাই করতে দিয়েছিলেন। তিনি সে সময় তা সেলাই করছিলেন।

রিবঈ ইবন হিরাশ (রাহঃ) বলেনঃ এরপর আলী (রাযিঃ) আমাদের দিকে তাকালেন এবং বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে আমার উপর মিথ্যারোপ করবে, সে যেন জাহান্নামকে তার আবাস বানায়।
أبواب المناقب عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مناقب علي بن أبي طالب رضي الله عنه
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، بِالرَّحَبَةِ، قَالَ: لَمَّا كَانَ يَوْمُ الحُدَيْبِيَةِ خَرَجَ إِلَيْنَا نَاسٌ مِنَ المُشْرِكِينَ فِيهِمْ سُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو وَأُنَاسٌ مِنْ رُؤَسَاءِ المُشْرِكِينَ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ خَرَجَ إِلَيْكَ نَاسٌ مِنْ أَبْنَائِنَا وَإِخْوَانِنَا وَأَرِقَّائِنَا وَلَيْسَ لَهُمْ فِقْهٌ فِي الدِّينِ، وَإِنَّمَا خَرَجُوا فِرَارًا مِنْ أَمْوَالِنَا وَضِيَاعِنَا فَارْدُدْهُمْ إِلَيْنَا. فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُمْ فِقْهٌ فِي الدِّينِ سَنُفَقِّهُهُمْ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ لَتَنْتَهُنَّ أَوْ لَيَبْعَثَنَّ اللَّهُ عَلَيْكُمْ مَنْ يَضْرِبُ رِقَابَكُمْ بِالسَّيْفِ عَلَى الدِّينِ، قَدْ امْتَحَنَ اللَّهُ قُلُوبَهُمْ عَلَى الْإِيمَانِ». قَالُوا: مَنْ هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ فَقَالَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ: مَنْ هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ وَقَالَ عُمَرُ: مَنْ هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «هُوَ خَاصِفُ النَّعْلِ»، وَكَانَ أَعْطَى عَلِيًّا نَعْلَهُ يَخْصِفُهَا، قَالَ: ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَيْنَا عَلِيٌّ فَقَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ». هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ هَذَا الوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ رِبْعِيٍّ عَنْ عَلِيٍّ.
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
জামে' তিরমিযী - হাদীস নং ৩৭১৫ | মুসলিম বাংলা