আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৪৮. নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
হাদীস নং: ৩৭০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭০৬
নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
পরিচ্ছেদঃ উছমান ইবন আফ্ফান (রাযিঃ)-এর মর্যাদা
৩৭০৬। সালিহ ইবন আব্দুল্লাহ (রাহঃ)... উছমান ইবন আব্দুল্লাহ ইবন মাওহিব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, মিসরবাসী এক ব্যক্তি বায়তুল্লাহয় হজ্জ করতে এল। একদল লোককে উপবিষ্ট দেখতে পেয়ে সে বললঃ এরা কারা?
লোকেরা বললঃ এরা কুরায়শ।
লোকটি বলল : এই শায়খ কে? লোকেরা বলল: ইনি হলেন ইবন উমার।
লোকটি ইবন উমার (রাযিঃ)-এর কাছে এল। বলল আমি আপনাকে একটি বিষয়ে কিছু জিজ্ঞাসা করতে চাই, আমাকে সে বিষয়ে কিছু বর্ণনা করবেন বলে অনুরোধ করছি। এই বায়তুল্লাহর সম্মানের কসম দিয়ে বলছি, আপনি কি জানেন উছমান উহুদের দিন পালিয়ে গিয়েছিলেন কিনা? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ।
লোকটি বললঃ আপনি কি জানেন যে, তিনি বায়আতে রিদওয়ানের সময় অনুপস্থিত ছিলেন? এতে তিনি হাযির ছিলেন না?
তিনি বললেনঃ হ্যাঁ।
লোকটি বললঃ আপনি কি জানেন তিনি বদরেও অনুপস্থিত ছিলেন, তাতেও তিনি হাযির হন নি?
তিনি বললেনঃ হ্যাঁ।
লোকটি বলে উঠল আল্লাহ আকবার।
ইবন উমার (রাযিঃ) লোকটিকে বললেন আস, তোমাকে তোমার জিজ্ঞাস্য বিষয়সমূহের ব্যাখ্যা জানিয়ে
দেই। উহুদ দিবসে উছমান (রাযিঃ)-এর পলায়ন সে বিষয়ে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ তা'আলা তা ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং তাঁর মাগফিরাত করে দিয়েছেন। আর বদর যুদ্ধে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি হল এই যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কন্যা (রুকায়্যা) ছিলেন তাঁর ঘরে। (তিনি ছিলেন অসুস্থ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে বললেনঃ বদরে যারা শরীক হয়েছে, তুমিও তাদের পরিমাণ ছওয়াব এবং গনীমতের অংশ পাবে। আর বায়আতে রিদওয়ানে হাযির না থাকার কারণ ছিল এই যে, মক্কা উপত্যকায় উছমান (রাযিঃ) অপেক্ষা অধিক প্রিয়ভাজন আর কেউ যদি থাকত তবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উছমান (রাযিঃ)-এর স্থলে অবশ্যই তাকে মক্কায় প্রেরণ করতেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উছমানকে (আলোচনার জন্য) মক্কায় প্রেরণ করেন। আর তিনি মক্কায় চলে যাওয়ার পর বায়আতে রিদওয়ান সংঘটিত হয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্বীয় ডান হাতটিকে বললেনঃ এটি হল উছমানের হাত এবং এটিকে তাঁর অপর হাতে স্থাপন করে বললেনঃ এই বায়আত হল উছমানের পক্ষ থেকে।
এরপর ইবন উমার (রাযিঃ) লোকটিকে বললেন, এই (উত্তর)গুলোও এখন তুমি নিয়ে যাও।
লোকেরা বললঃ এরা কুরায়শ।
লোকটি বলল : এই শায়খ কে? লোকেরা বলল: ইনি হলেন ইবন উমার।
লোকটি ইবন উমার (রাযিঃ)-এর কাছে এল। বলল আমি আপনাকে একটি বিষয়ে কিছু জিজ্ঞাসা করতে চাই, আমাকে সে বিষয়ে কিছু বর্ণনা করবেন বলে অনুরোধ করছি। এই বায়তুল্লাহর সম্মানের কসম দিয়ে বলছি, আপনি কি জানেন উছমান উহুদের দিন পালিয়ে গিয়েছিলেন কিনা? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ।
লোকটি বললঃ আপনি কি জানেন যে, তিনি বায়আতে রিদওয়ানের সময় অনুপস্থিত ছিলেন? এতে তিনি হাযির ছিলেন না?
তিনি বললেনঃ হ্যাঁ।
লোকটি বললঃ আপনি কি জানেন তিনি বদরেও অনুপস্থিত ছিলেন, তাতেও তিনি হাযির হন নি?
তিনি বললেনঃ হ্যাঁ।
লোকটি বলে উঠল আল্লাহ আকবার।
ইবন উমার (রাযিঃ) লোকটিকে বললেন আস, তোমাকে তোমার জিজ্ঞাস্য বিষয়সমূহের ব্যাখ্যা জানিয়ে
দেই। উহুদ দিবসে উছমান (রাযিঃ)-এর পলায়ন সে বিষয়ে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ তা'আলা তা ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং তাঁর মাগফিরাত করে দিয়েছেন। আর বদর যুদ্ধে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি হল এই যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কন্যা (রুকায়্যা) ছিলেন তাঁর ঘরে। (তিনি ছিলেন অসুস্থ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে বললেনঃ বদরে যারা শরীক হয়েছে, তুমিও তাদের পরিমাণ ছওয়াব এবং গনীমতের অংশ পাবে। আর বায়আতে রিদওয়ানে হাযির না থাকার কারণ ছিল এই যে, মক্কা উপত্যকায় উছমান (রাযিঃ) অপেক্ষা অধিক প্রিয়ভাজন আর কেউ যদি থাকত তবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উছমান (রাযিঃ)-এর স্থলে অবশ্যই তাকে মক্কায় প্রেরণ করতেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উছমানকে (আলোচনার জন্য) মক্কায় প্রেরণ করেন। আর তিনি মক্কায় চলে যাওয়ার পর বায়আতে রিদওয়ান সংঘটিত হয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্বীয় ডান হাতটিকে বললেনঃ এটি হল উছমানের হাত এবং এটিকে তাঁর অপর হাতে স্থাপন করে বললেনঃ এই বায়আত হল উছমানের পক্ষ থেকে।
এরপর ইবন উমার (রাযিঃ) লোকটিকে বললেন, এই (উত্তর)গুলোও এখন তুমি নিয়ে যাও।
أبواب المناقب عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب في مناقب عثمان بن عفان رضي الله عنه
حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ، أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَهْلِ مِصْرَ حَجَّ البَيْتَ فَرَأَى قَوْمًا جُلُوسًا فَقَالَ: مَنْ هَؤُلَاءِ؟ قَالُوا: قُرَيْشٌ. قَالَ: فَمَنْ هَذَا الشَّيْخُ؟ قَالُوا: ابْنُ عُمَرَ فَأَتَاهُ فَقَالَ: إِنِّي سَائِلُكَ عَنْ شَيْءٍ فَحَدِّثْنِي، أَنْشُدُكَ اللَّهَ بِحُرْمَةِ هَذَا البَيْتِ أَتَعْلَمُ أَنَّ عُثْمَانَ فَرَّ يَوْمَ أُحُدٍ؟ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: أَتَعْلَمُ أَنَّهُ تَغَيَّبَ عَنْ بَيْعَةِ الرِّضْوَانِ فَلَمْ يَشْهَدْهَا؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: أَتَعْلَمُ أَنَّهُ تَغَيَّبَ يَوْمَ بَدْرٍ فَلَمْ يَشْهَدْهُ؟ قَالَ: نَعَمْ، فَقَالَ: اللَّهُ أَكْبَرُ، فَقَالَ لَهُ ابْنُ عُمَرَ: تَعَالَ أُبَيِّنْ لَكَ مَا سَأَلْتَ عَنْهُ: أَمَّا فِرَارُهُ يَوْمَ أُحُدٍ فَأَشْهَدُ أَنَّ اللَّهَ قَدْ عَفَا عَنْهُ وَغَفَرَ لَهُ، وَأَمَّا تَغَيُّبُهُ يَوْمَ بَدْرٍ فَإِنَّهُ كَانَتْ عِنْدَهُ أَوْ تَحْتَهُ ابْنَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَكَ أَجْرُ رَجُلٍ شَهِدَ بَدْرًا وَسَهْمُهُ»، وَأَمَرَهُ أَنْ يَخْلُفَ عَلَيْهَا وَكَانَتْ عَلِيلَةً. وَأَمَّا تَغَيُّبُهُ عَنْ بَيْعَةِ الرِّضْوَانِ فَلَوْ كَانَ أَحَدٌ أَعَزَّ بِبَطْنِ مَكَّةَ مِنْ عُثْمَانَ لَبَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَانَ عُثْمَانَ، بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عُثْمَانَ وَكَانَتْ بَيْعَةُ الرِّضْوَانِ بَعْدَ مَا ذَهَبَ عُثْمَانُ إِلَى مَكَّةَ. قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ الْيُمْنَى: «هَذِهِ يَدُ عُثْمَانَ». وَضَرَبَ بِهَا عَلَى يَدِهِ، فَقَالَ: «هَذِهِ لِعُثْمَانَ»، قَالَ لَهُ: اذْهَبْ بِهَذَا الآنَ مَعَكَ: «هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ»