আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৪৮. নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
হাদীস নং: ৩৬৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৫৯
নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
পরিচ্ছেদ
৩৬৫৯। মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল মালিক ইবন আবু শাওয়ারিব (রাহঃ)... আবুল মুআল্লা (রাযিঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদিন খুতবায় বললেনঃ এক ব্যক্তিকে তার রব ইখতিয়ার দিয়েছেন যে, যতদিন সে দুনিয়ায় বেঁচে থাকতে চায়, ততদিন সে বেঁচে থাকতে পারবে এবং যতদিন সে আহার-বিহার করতে চায় ততদিন সে আহার করতে পারবে কিংবা সে তাঁর প্রভুর সান্নিধ্যে চলে আসবে। কিন্তু এই বান্দা তাঁর রবের মুলাকাতকেই গ্রহণ করে নিয়েছে।
এই শুনে আবু বকর (রাযিঃ) কাঁদতে লাগলেন। তখন সাহাবীগণ বলতে লাগলেনঃ তোমরা এই শায়খের আচরণে কি আশ্চর্য বোধ করছ না? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর এক নেক ব্যক্তির উল্লেখ করলেন যাকে তার রব দুনিয়া ও তার প্রভুর মুলাকাতের মাঝে একটি গ্রহণের ইখতিয়ার দিয়েছেন। কিন্তু তিনি তাঁর প্রভুর সান্নিধ্যই গ্রহণ করে নিয়েছেন।
আবুল মুআল্লা (রাযিঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর বক্তব্যের মর্ম সম্পর্কে আবু বকর (রাযিঃ)-ই সর্বাধিক জ্ঞাত ছিলেন। অনন্তর তিনি বললেনঃ আমরা আমাদের পিতা-পিতামহ ও ধন-সম্পদ আপনার জন্যই ফিদয়া দিচ্ছি হে রাসূল!
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ সাহচর্য ও সম্পদ উভয় ক্ষেত্রেই ইব্ন আবু কুহাফা (আবু বকর) অপেক্ষা আমার প্রতি অধিক অনুগ্রহকারী আর কেউ নেই। আমি যদি কাউকে খালীলরূপে গ্রহণ করতাম তবে ইবন আবু কুহাফাকেই খালীল হিসাবে গ্রহণ করতাম। তবে ভালবাসা ও ঈমানী-ভ্রাতৃত্ব থাকবেই (দু'বার কি তিনবার তিনি এই কথা বললেন)। শোন, তোমাদের এই সঙ্গী হচ্ছেন আল্লাহর খালীল।
এই শুনে আবু বকর (রাযিঃ) কাঁদতে লাগলেন। তখন সাহাবীগণ বলতে লাগলেনঃ তোমরা এই শায়খের আচরণে কি আশ্চর্য বোধ করছ না? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর এক নেক ব্যক্তির উল্লেখ করলেন যাকে তার রব দুনিয়া ও তার প্রভুর মুলাকাতের মাঝে একটি গ্রহণের ইখতিয়ার দিয়েছেন। কিন্তু তিনি তাঁর প্রভুর সান্নিধ্যই গ্রহণ করে নিয়েছেন।
আবুল মুআল্লা (রাযিঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর বক্তব্যের মর্ম সম্পর্কে আবু বকর (রাযিঃ)-ই সর্বাধিক জ্ঞাত ছিলেন। অনন্তর তিনি বললেনঃ আমরা আমাদের পিতা-পিতামহ ও ধন-সম্পদ আপনার জন্যই ফিদয়া দিচ্ছি হে রাসূল!
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ সাহচর্য ও সম্পদ উভয় ক্ষেত্রেই ইব্ন আবু কুহাফা (আবু বকর) অপেক্ষা আমার প্রতি অধিক অনুগ্রহকারী আর কেউ নেই। আমি যদি কাউকে খালীলরূপে গ্রহণ করতাম তবে ইবন আবু কুহাফাকেই খালীল হিসাবে গ্রহণ করতাম। তবে ভালবাসা ও ঈমানী-ভ্রাতৃত্ব থাকবেই (দু'বার কি তিনবার তিনি এই কথা বললেন)। শোন, তোমাদের এই সঙ্গী হচ্ছেন আল্লাহর খালীল।
أبواب المناقب عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ المَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَبْدِ المَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ ابْنِ أَبِي المُعَلَّى، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطَبَ يَوْمًا فَقَالَ: «إِنَّ رَجُلًا خَيَّرَهُ رَبُّهُ بَيْنَ أَنْ يَعِيشَ فِي الدُّنْيَا مَا شَاءَ أَنْ يَعِيشَ وَيَأْكُلَ فِي الدُّنْيَا مَا شَاءَ أَنْ يَأْكُلَ وَبَيْنَ لِقَاءِ رَبِّهِ فَاخْتَارَ لِقَاءَ رَبِّهِ». قَالَ: فَبَكَى أَبُو بَكْرٍ، فَقَالَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَلَا تَعْجَبُونَ مِنْ هَذَا الشَّيْخِ إِذْ ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلًا صَالِحًا خَيَّرَهُ رَبُّهُ بَيْنَ الدُّنْيَا وَبَيْنَ لِقَاءِ رَبِّهِ فَاخْتَارَ لِقَاءَ رَبِّهِ. قَالَ: فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ أَعْلَمَهُمْ بِمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: بَلْ نَفْدِيكَ بِآبَائِنَا وَأَمْوَالِنَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنَ النَّاسِ أَحَدٌ أَمَنَّ إِلَيْنَا فِي صُحْبَتِهِ وَذَاتِ يَدِهِ مِنْ ابْنِ أَبِي قُحَافَةَ، وَلَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا خَلِيلًا لَاتَّخَذْتُ ابْنَ أَبِي قُحَافَةَ خَلِيلًا، وَلَكِنْ وُدٌّ وَإِخَاءُ إِيمَانٍ، وُدٌّ وَإِخَاءُ إِيمَانٍ - مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا - أَلَا وَإِنَّ صَاحِبَكُمْ خَلِيلُ اللَّهِ». وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ أَبِي عَوَانَةَ عَنْ عَبْدِ المَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ بِإِسْنَادٍ غَيْرِ هَذَا. وَمَعْنَى قَوْلِهِ: «أَمَنَّ إِلَيْنَا» يَعْنِي: أَمَنَّ عَلَيْنَا. وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ. هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ
বর্ণনাকারী: