আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৪৮. নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
হাদীস নং: ৩৬৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৩৮
পরিচ্ছেদঃ
৩৬৩৮। আলী (রাঃ)-এর নাতি ইবরাহীম ইবনু মুহাম্মাদ ইবনুল হানাফিয়্যা (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ আলী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বৈশিষ্ট বর্ণনা করতে গিয়ে বলতেনঃ তিনি বেশী লম্বাও ছিলেন না এবং অত্যন্ত বেঁটেও ছিলেন না, বরং লোকদের মাঝে মধ্যম আকৃতির ছিলেন। তার মাথার চুল খুব বেশী কোকড়ানোও ছিল না এবং একেবারে সোজাও ছিল না, বরং কিছুটা ঢেউ খেলানো ছিল। তিনি স্থূলকায় ছিলেন না, তার মুখাবয়ব সম্পূর্ণ গোলাকার ছিল না, বরং কিছুটা গোলাকার ছিল। তিনি ছিলেন সাদা-লাল মিশ্রিত গৌরবর্ণের এবং লম্বা ভ্রুযুক্ত কালো চোখের অধিকারী। তার হাড়ের গ্রন্থিগুলো ছিল মজবুত, বাহু ছিল মাংসল।
তার দেহে অতিরিক্ত লোম ছিল না, বুক হতে নাভি পর্যন্ত হালকা লোমের একটি রেখা ছিল। তার হাতের তালু ও পায়ের পাতা ছিল গোশতে পুরু। তিনি দৃঢ় পদক্ষেপে চলতেন, যেন তিনি ঢালবিশিষ্ট স্থান হতে (নীচে সমতলে) নামছেন। তিনি কারো দিকে ফিরে তাকালে গোটা দেহ ঘুরিয়ে তাকাতেন। তার দুই কাধের মধ্যবর্তী স্থানে ছিল নাবুওয়াতের মোহর। তিনি ছিলেন খাতামুন নাবিয়ীন (নবীগণের মোহর বা তাদের আগমন ধারার পরিসমাপ্তিকারী)। তিনি ছিলেন মানুষের মধ্যে প্রশস্ত হৃদয়ের অধিকারী ও দানশীল, বাক্যালাপে সত্যবাদী, কোমল হৃদয়ের অধিকারী এবং বন্ধু-বান্ধব ও সহোচরদের সাথে সম্মানের সাথে বসবাসকারী (অথবা সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত বংশোদ্ভূত)। যে কেউ তাকে প্রথম বারের মত দেখেই সে প্রভাবান্বিত হত। যে ব্যক্তি তার সাথে মিশত এবং তার প্রসঙ্গে জানতো সে তার প্রতি বন্ধু ভাবাপন্ন হয়ে যেত। তার বর্ণনা প্রদানকারী বলতে বাধ্য হত, তার আগে বা পরে আমি আর কাউকে তার এরকম (সৌন্দর্যময়) দেখিনি।
তার দেহে অতিরিক্ত লোম ছিল না, বুক হতে নাভি পর্যন্ত হালকা লোমের একটি রেখা ছিল। তার হাতের তালু ও পায়ের পাতা ছিল গোশতে পুরু। তিনি দৃঢ় পদক্ষেপে চলতেন, যেন তিনি ঢালবিশিষ্ট স্থান হতে (নীচে সমতলে) নামছেন। তিনি কারো দিকে ফিরে তাকালে গোটা দেহ ঘুরিয়ে তাকাতেন। তার দুই কাধের মধ্যবর্তী স্থানে ছিল নাবুওয়াতের মোহর। তিনি ছিলেন খাতামুন নাবিয়ীন (নবীগণের মোহর বা তাদের আগমন ধারার পরিসমাপ্তিকারী)। তিনি ছিলেন মানুষের মধ্যে প্রশস্ত হৃদয়ের অধিকারী ও দানশীল, বাক্যালাপে সত্যবাদী, কোমল হৃদয়ের অধিকারী এবং বন্ধু-বান্ধব ও সহোচরদের সাথে সম্মানের সাথে বসবাসকারী (অথবা সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত বংশোদ্ভূত)। যে কেউ তাকে প্রথম বারের মত দেখেই সে প্রভাবান্বিত হত। যে ব্যক্তি তার সাথে মিশত এবং তার প্রসঙ্গে জানতো সে তার প্রতি বন্ধু ভাবাপন্ন হয়ে যেত। তার বর্ণনা প্রদানকারী বলতে বাধ্য হত, তার আগে বা পরে আমি আর কাউকে তার এরকম (সৌন্দর্যময়) দেখিনি।
بَابٌ
حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ مُحَمَّدُ بْنِ الحُسَيْنِ بْنِ أَبِي حَلِيمَةَ مِنْ قَصْرِ الأَحْنَفِ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ المَعْنَى وَاحِدٌ، قَالُوا: حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ قَالَ: حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ مَوْلَى غُفْرَةَ قَالَ: حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ، مِنْ وَلَدِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قَالَ: كَانَ عَلِيٌّ، إِذَا وَصَفَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " لَيْسَ بِالطَّوِيلِ الْمُمَّغِطِ وَلَا بِالقَصِيرِ المُتَرَدِّدِ وَكَانَ رَبْعَةً مِنَ القَوْمِ، وَلَمْ يَكُنْ بِالجَعْدِ القَطَطِ وَلَا بِالسَّبِطِ كَانَ جَعْدًا رَجِلًا وَلَمْ يَكُنْ بِالمُطَهَّمِ، وَلَا بِالمُكَلْثَمِ، وَكَانَ فِي الوَجْهِ تَدْوِيرٌ، أَبْيَضُ مُشْرَبٌ، أَدْعَجُ العَيْنَيْنِ، أَهْدَبُ الأَشْفَارِ، جَلِيلُ المُشَاشِ، وَالكَتَدِ، أَجْرَدُ ذُو مَسْرُبَةٍ شَثْنُ الكَفَّيْنِ وَالقَدَمَيْنِ، إِذَا مَشَى تَقَلَّعَ كَأَنَّمَا يَمْشِي فِي صَبَبٍ، وَإِذَا التَفَتَ التَفَتَ مَعًا، بَيْنَ كَتِفَيْهِ خَاتَمُ النُّبُوَّةِ وَهُوَ خَاتَمُ النَّبِيِّينَ، أَجْوَدُ النَّاسِ صَدْرًا، وَأَصْدَقُ النَّاسِ لَهْجَةً، وَأَلْيَنُهُمْ عَرِيكَةً، وَأَكْرَمُهُمْ عِشْرَةً، مَنْ رَآهُ بَدِيهَةً هَابَهُ، وَمَنْ خَالَطَهُ مَعْرِفَةً أَحَبَّهُ، يَقُولُ نَاعِتُهُ: لَمْ أَرَ قَبْلَهُ وَلَا بَعْدَهُ مِثْلَهُ ": «هَذَا حَدِيثٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِمُتَّصِلٍ». قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: سَمِعْتُ الأَصْمَعِيَّ، يَقُولُ فِي تَفْسِيرِ صِفَةَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: المُمَّغِطُ الذَّاهِبُ طُولًا. وَسَمِعْتُ أَعْرَابِيًّا يَقُولُ فِي كَلَامِهِ: تَمَغَّطَ فِي نُشَّابَتِهِ أَيْ مَدَّهَا مَدًّا شَدِيدًا. وَأَمَّا المُتَرَدِّدُ: فَالدَّاخِلُ بَعْضُهُ فِي بَعْضٍ قِصَرًا. وَأَمَّا القَطَطُ. فَالشَّدِيدُ الجُعُودَةِ، وَالرَّجِلُ الَّذِي فِي شَعْرِهِ حُجُونَةٌ أَيْ: يَنْحَنِي قَلِيلًا. [ص:600] وَأَمَّا المُطَهَّمُ، فَالبَادِنُ الكَثِيرُ اللَّحْمِ. وَأَمَّا المُكَلْثَمُ: فَالمُدَوَّرُ الوَجْهِ. وَأَمَّا المُشْرَبُ: فَهُوَ الَّذِي فِي بَيَاضِهِ حُمْرَةٌ. وَالأَدْعَجُ: الشَّدِيدُ سَوَادِ العَيْنِ، وَالأَهْدَبُ، الطَّوِيلُ الأَشْفَارِ، وَالكَتَدُ، مُجْتَمَعُ الكَتِفَيْنِ، وَهُوَ الكَاهِلُ. وَالمَسْرُبَةُ، هُوَ الشَّعْرُ الدَّقِيقُ الَّذِي هُوَ كَأَنَّهُ قَضِيبٌ مِنَ الصَّدْرِ إِلَى السُّرَّةِ. وَالشَّثْنُ: الغَلِيظُ الأَصَابِعِ مِنَ الكَفَّيْنِ وَالقَدَمَيْنِ. وَالتَّقَلُّعُ: أَنْ يَمْشِيَ بِقُوَّةٍ. وَالصَّبَبُ: الحُدُورُ، نَقُولُ: انْحَدَرْنَا فِي صَبُوبٍ وَصَبَبٍ. وَقَوْلُهُ: جَلِيلُ المُشَاشِ، يُرِيدُ رُءُوسَ المَنَاكِبِ. وَالعِشْرَةُ: الصُّحْبَةُ، وَالعَشِيرُ: الصَّاحِبُ. وَالبَدِيهَةُ: المُفَاجَأَةُ، يُقَالُ بَدَهْتُهُ بِأَمْرٍ: أَيْ فَجَأْتُهُ
