আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৪৭. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাবতীয় দোয়া-জিকির
হাদীস নং: ৩৫৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৫৩৭
তওবা ও ইস্তিগফারের ফযীলত এবং বান্দার প্রতি আল্লাহর রহমতের বিবরণ
৩৫৩৭. ইবরাহীম ইবনে ইয়াকুব (রাহঃ) .... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ রুহ কন্ঠায় না পৌছা পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা বান্দার তওবা অবশ্যই কবুল করবেন।ইবনে মাজাহ
হাদীসটি হাসান-গারিব। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে উক্ত মর্মে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
হাদীসটি হাসান-গারিব। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে উক্ত মর্মে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب فِي فَضْلِ التَّوْبَةِ وَالاِسْتِغْفَارِ وَمَا ذُكِرَ مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ لِعِبَادِهِ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ ثَابِتِ بْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ اللَّهَ يَقْبَلُ تَوْبَةَ الْعَبْدِ مَا لَمْ يُغَرْغِرْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَابِتِ بْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَابِتِ بْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছ প্রমাণ করে যে, তাওবা কবুলের শেষ সীমা হচ্ছে মৃত্যুযন্ত্রণা শুরু হওয়া। মৃত্যুযন্ত্রণা শুরু হয়ে গেলে তাওবার সুযোগ শেষ হয়ে যায়। কেননা তাওবার একটি শর্ত হল পুনরায় গুনাহে লিপ্ত না হওয়ার অঙ্গীকার করা। সেই অঙ্গীকার তখনই করা যায়, যখন গুনাহ করার সময় থাকে। কিন্তু মৃত্যু হয়ে গেলে সেই সময় কোথায়? বান্দা তো এ সময় জীবন সম্পর্কে হতাশ হয়ে পড়ে। হতাশাকর এই অবস্থায় ফের গুনাহ না করার অঙ্গীকার অবান্তর। তো যেহেতু এই অবস্থায় তাওবা কবুলের শর্ত পূরণ হয় না, তাই তাওবাও কবুল হয় না। কুরআন মাজীদেও সুস্পষ্ট ইরশাদ হয়েছে-
وَلَيْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ حَتَّى إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ إِنِّي تُبْتُ الْآنَ
অর্থ : তাওবা কবুল তাদের প্রাপ্য নয়, যারা অসৎকর্ম করতে থাকে, পরিশেষে তাদের কারও যখন মৃত্যুক্ষণ এসে পড়ে, তখন সে বলে, এখন আমি তাওবা করলাম। -নিসাঃ ১৮
বি. দ্র. : হাদীছ শাস্ত্রে 'হাসান' একটি পরিভাষার নাম। এর দ্বারা দ্বিতীয় স্তরের বিশুদ্ধ হাদীছ বোঝানো হয়ে থাকে। এরকম হাদীছও প্রমাণ ও অনুসরণযোগ্য।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
তাওবার জন্য কালক্ষেপণ করা অনুচিত, কারণ জানা নেই কখন মৃত্যু এসে যাবে। ফলে তাওবা ছাড়াই কবরে চলে যেতে হবে।
وَلَيْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ حَتَّى إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ إِنِّي تُبْتُ الْآنَ
অর্থ : তাওবা কবুল তাদের প্রাপ্য নয়, যারা অসৎকর্ম করতে থাকে, পরিশেষে তাদের কারও যখন মৃত্যুক্ষণ এসে পড়ে, তখন সে বলে, এখন আমি তাওবা করলাম। -নিসাঃ ১৮
বি. দ্র. : হাদীছ শাস্ত্রে 'হাসান' একটি পরিভাষার নাম। এর দ্বারা দ্বিতীয় স্তরের বিশুদ্ধ হাদীছ বোঝানো হয়ে থাকে। এরকম হাদীছও প্রমাণ ও অনুসরণযোগ্য।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
তাওবার জন্য কালক্ষেপণ করা অনুচিত, কারণ জানা নেই কখন মৃত্যু এসে যাবে। ফলে তাওবা ছাড়াই কবরে চলে যেতে হবে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
