আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৩৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৬৮
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৩৬৮. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা আদম (আলাইহিস সালাম)-কে সৃষ্টি করে তার মাঝে রূহ ফুঁকলেন। তখন তিনি হাঁচি দিলেন এবং বললেনঃ আলহামদুলিল্লাহ। যাবতীয় হামদ আল্লাহ তাআলার জন্য।
তিনি আল্লাহর অনুমতিতে তার তারিফ করলেন। পরওয়ারদিগার আল্লাহ তাআলা বললেনঃ হে আদম আল্লাহ তাআলা তোমার উপর রহম করুন। সেখানে বসা একদল ফিরিশতার দিকে ইঙ্গিত করে বললেনঃ ঐ ফিরিশতাদের কাছে যাও এবং তাদের বল আসসালামু আলাইকুম।
যাহোক ফিরিশতারা বললেনঃ ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
পরে আদম (আলাইহিস সালাম) তার প্রতিপালকের কাছে ফিরে এলেন তার প্রতিপালক বললেনঃ এ হল তোমার এবং তোমার সন্তানদের পরস্পরের অভিবাদন।
এরপর আল্লাহ তাআলা তার দুই হাত মুষ্টিবদ্ধ অবস্থায় তাকে বললেনঃ যে কোনটি ইচ্ছা তুমি নাও।
আদম (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ আমার প্রতিপালকের ডান হাতটি আমি গ্রহণ করলাম। আর আমার প্রতিপলকের উভয় হাতই ডান হাত বরকতময়।
এরপর তিনি সেটি প্রসারিত করলেন তাতে ছিল আদম ও তার সন্তান-সন্তুতিদের প্রতিকৃতি। আদম (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ হে প্রতিপালক এসব কি?
তিনি বললেনঃ এ হল তোমার সন্তান-সন্তুতি।
প্রতিটি মানুষের দুই চোখের মাঝে তার বয়স লিপিবদ্ধ ছিল। তাদের মাঝে একজন ছিল সবচেয়ে জ্যোতিময়। আদম (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ হে প্রতিপালক ইনি কে?
তিনি বললেনঃ তিনি হলেন আপনার সন্তান দাউদ। তার বয়স লিখেছি চল্লিশ বছর।
তিনি বললেনঃ হে প্রতিপালক! এর বয়স বৃদ্ধি করে দিন।
আল্লাহ তাআলা বললেনঃ তাই থাকবে - যা লেখা হয়েছে।
তিনি বললেনঃ আমি আমার বয়স থেকে একে ষাট বছর দিয়ে দিলাম।
আল্লাহ তাআলা বললেনঃ তুমি আর তোমার অঙ্গীকার যা তা-ই ঘটবে।
এরপরে আদম (আলাইহিস সালাম) যতদিন ইচ্ছা জান্নাতে বসবাস করলেন। পরে তাকে সেখান থেকে নীচে নামিয়ে দেওয়া হল। তিনি তার নিজের বয়স গণনা করে রাখছিলেন। শেষে একদিন মৃত্যুর ফিরিশতা তার কাছে এলেন। তিনি বললেনঃ বড় তাড়াতাড়ি এসে গেলেন। আমার বয়সতো এক হাজার বছর লেখা হয়েছিল। ফিরিশতা বললেনঃ হ্যাঁ ঠিকই কিন্তু আপনিতো আপনার সন্তান দাউদকে ষাট বছর দিয়ে দিয়েছিলেন।
আদম (আলাইহিস সালাম) তা মানতে অস্বীকার করলেন। তাই তার সন্তানরাও আজ অস্বীকার করে। আদম ভুলে গেলেন তাই তার সন্তানরাও আজ ভুলে যায়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ সে দিন থেকে চুক্তি পত্র লিখে রাখার এবং সাক্ষী রাখার বিধান দেওয়া হয়।
তিনি আল্লাহর অনুমতিতে তার তারিফ করলেন। পরওয়ারদিগার আল্লাহ তাআলা বললেনঃ হে আদম আল্লাহ তাআলা তোমার উপর রহম করুন। সেখানে বসা একদল ফিরিশতার দিকে ইঙ্গিত করে বললেনঃ ঐ ফিরিশতাদের কাছে যাও এবং তাদের বল আসসালামু আলাইকুম।
যাহোক ফিরিশতারা বললেনঃ ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
পরে আদম (আলাইহিস সালাম) তার প্রতিপালকের কাছে ফিরে এলেন তার প্রতিপালক বললেনঃ এ হল তোমার এবং তোমার সন্তানদের পরস্পরের অভিবাদন।
এরপর আল্লাহ তাআলা তার দুই হাত মুষ্টিবদ্ধ অবস্থায় তাকে বললেনঃ যে কোনটি ইচ্ছা তুমি নাও।
আদম (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ আমার প্রতিপালকের ডান হাতটি আমি গ্রহণ করলাম। আর আমার প্রতিপলকের উভয় হাতই ডান হাত বরকতময়।
এরপর তিনি সেটি প্রসারিত করলেন তাতে ছিল আদম ও তার সন্তান-সন্তুতিদের প্রতিকৃতি। আদম (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ হে প্রতিপালক এসব কি?
তিনি বললেনঃ এ হল তোমার সন্তান-সন্তুতি।
প্রতিটি মানুষের দুই চোখের মাঝে তার বয়স লিপিবদ্ধ ছিল। তাদের মাঝে একজন ছিল সবচেয়ে জ্যোতিময়। আদম (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ হে প্রতিপালক ইনি কে?
তিনি বললেনঃ তিনি হলেন আপনার সন্তান দাউদ। তার বয়স লিখেছি চল্লিশ বছর।
তিনি বললেনঃ হে প্রতিপালক! এর বয়স বৃদ্ধি করে দিন।
আল্লাহ তাআলা বললেনঃ তাই থাকবে - যা লেখা হয়েছে।
তিনি বললেনঃ আমি আমার বয়স থেকে একে ষাট বছর দিয়ে দিলাম।
আল্লাহ তাআলা বললেনঃ তুমি আর তোমার অঙ্গীকার যা তা-ই ঘটবে।
এরপরে আদম (আলাইহিস সালাম) যতদিন ইচ্ছা জান্নাতে বসবাস করলেন। পরে তাকে সেখান থেকে নীচে নামিয়ে দেওয়া হল। তিনি তার নিজের বয়স গণনা করে রাখছিলেন। শেষে একদিন মৃত্যুর ফিরিশতা তার কাছে এলেন। তিনি বললেনঃ বড় তাড়াতাড়ি এসে গেলেন। আমার বয়সতো এক হাজার বছর লেখা হয়েছিল। ফিরিশতা বললেনঃ হ্যাঁ ঠিকই কিন্তু আপনিতো আপনার সন্তান দাউদকে ষাট বছর দিয়ে দিয়েছিলেন।
আদম (আলাইহিস সালাম) তা মানতে অস্বীকার করলেন। তাই তার সন্তানরাও আজ অস্বীকার করে। আদম ভুলে গেলেন তাই তার সন্তানরাও আজ ভুলে যায়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ সে দিন থেকে চুক্তি পত্র লিখে রাখার এবং সাক্ষী রাখার বিধান দেওয়া হয়।
بَابٌ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي ذُبَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَمَّا خَلَقَ اللَّهُ آدَمَ وَنَفَخَ فِيهِ الرُّوحَ عَطَسَ فَقَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ فَحَمِدَ اللَّهَ بِإِذْنِهِ فَقَالَ لَهُ رَبُّهُ يَرْحَمُكَ اللَّهُ يَا آدَمُ اذْهَبْ إِلَى أُولَئِكَ الْمَلاَئِكَةِ إِلَى مَلإٍ مِنْهُمْ جُلُوسٍ فَقُلِ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ . قَالُوا وَعَلَيْكَ السَّلاَمُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ . ثُمَّ رَجَعَ إِلَى رَبِّهِ فَقَالَ إِنَّ هَذِهِ تَحِيَّتُكَ وَتَحِيَّةُ بَنِيكَ بَيْنَهُمْ . فَقَالَ اللَّهُ لَهُ وَيَدَاهُ مَقْبُوضَتَانِ اخْتَرْ أَيَّهُمَا شِئْتَ قَالَ اخْتَرْتُ يَمِينَ رَبِّي وَكِلْتَا يَدَىْ رَبِّي يَمِينٌ مُبَارَكَةٌ . ثُمَّ بَسَطَهَا فَإِذَا فِيهَا آدَمُ وَذُرِّيَّتُهُ فَقَالَ أَىْ رَبِّ مَا هَؤُلاَءِ فَقَالَ هَؤُلاَءِ ذُرِّيَّتُكَ فَإِذَا كُلُّ إِنْسَانٍ مَكْتُوبٌ عُمْرُهُ بَيْنَ عَيْنَيْهِ فَإِذَا فِيهِمْ رَجُلٌ أَضْوَؤُهُمْ أَوْ مِنْ أَضْوَئِهِمْ . قَالَ يَا رَبِّ مَنْ هَذَا قَالَ هَذَا ابْنُكَ دَاوُدُ قَدْ كَتَبْتُ لَهُ عُمْرَ أَرْبَعِينَ سَنَةً . قَالَ يَا رَبِّ زِدْهُ فِي عُمْرِهِ . قَالَ ذَاكَ الَّذِي كَتَبْتُ لَهُ . قَالَ أَىْ رَبِّ فَإِنِّي قَدْ جَعَلْتُ لَهُ مِنْ عُمْرِي سِتِّينَ سَنَةً قَالَ أَنْتَ وَذَاكَ . قَالَ ثُمَّ أُسْكِنَ الْجَنَّةَ مَا شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ أُهْبِطَ مِنْهَا فَكَانَ آدَمُ يَعُدُّ لِنَفْسِهِ . قَالَ فَأَتَاهُ مَلَكُ الْمَوْتِ فَقَالَ لَهُ آدَمُ قَدْ عَجِلْتَ قَدْ كُتِبَ لِي أَلْفُ سَنَةٍ . قَالَ بَلَى وَلَكِنَّكَ جَعَلْتَ لاِبْنِكَ دَاوُدَ سِتِّينَ سَنَةً فَجَحَدَ فَجَحَدَتْ ذُرِّيَّتُهُ وَنَسِيَ فَنَسِيَتْ ذُرِّيَّتُهُ . قَالَ فَمِنْ يَوْمِئِذٍ أُمِرَ بِالْكِتَابِ وَالشُّهُودِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ رِوَايَةِ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
