আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং: ৩২৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৩২
কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
সূরা সা’দ
৩২৩২. মাহমুদ ইবনে গায়লান ও আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আবু তালিব অসুস্থ হয়ে পড়লে কুরাইশরা (দলপতিরা) তাকে দেখতে আসে। নবী (ﷺ)ও তার কাছে আসলেন। আবু তালিবের কাছে একজন লোক বসতে পারে মাত্র ততটুকু জায়গা ছিল। আবু জাহল নবীজীকে সেখানে বসতে বাধা দেওয়ার জন্য উঠে দাঁড়াল। কুরাইশরা আবু তালিবের কাছে নবীজীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। আবু তালিব তখন তাঁকে বললঃ হে আমার ভ্রাতুষ্পুত্র, তুমি তোমার কওম থেকে চাচ্ছ কি?
নবীজী (ﷺ) বললেনঃ আমি তো তাদের কাছ থেকে এমন একটা কথার স্বীকৃতি চাই যে এদ্বারা সমস্ত আরব তাদের অনুগত হয়ে পড়বে আর সব অনারব তাদের জিযিয়া দিবে।
আবু তালিব বললঃ মাত্র একটা কথা। নবীজী বললেনঃ হ্যাঁ, মাত্র একটা কথা। হে চাচা, আপনারা বলুন, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। কুরাইশীরা বললঃ একজন মাত্র ইলাহ! আগের মিল্লাত সমূহেও তো এমন কথা আমরা শুনি নি। এতো মনগড়া কথা বৈ কিছূই নয়। রাবী বলেন, এদের বিষয়েই কুরআন মজীদে নাযিল হয়ঃ
ص* وَالْقُرْآنِ ذِي الذِّكْرِ * بَلِ الَّذِينَ كَفَرُوا فِي عِزَّةٍ وَشِقَاقٍ إِلَى قَوْلِهِ : ما سَمِعْنَا بِهَذَا فِي الْمِلَّةِ الآخِرَةِ إِنْ هَذَا إِلاَّ اخْتِلاَقٌ
সা’দ, কসম উপদেশ পূর্ণ কুরআনের (আপনি অবশ্যই সত্য নবী) কিন্তু কাফিরগণ ঔদ্ধত্য ও বিরোধিতায় ডুবে আছে। এদের পূর্বে আমি কত জনগোষ্ঠী ধ্বংস করেছি; তখন তারা আর্ত চিৎকার করেছিল। কিন্তু তখন পরিত্রাণের কোন উপায় ছিল না। এরা বিস্ময়বোধ করে যে, তাদের নিকট তাদের মধ্য থেকেই একজন সতর্ককারী এসেছে। কাফিররা বলেঃ এ তো এক যাদুকর, মিথ্যাবাদী। সে কি বহু ইলাহের পরিবর্তে এক ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে? এ তো এক অত্যাশ্চর্য ব্যাপার! তাদের প্রধানরা এই বলে সরে পড়ে, তোমরা চলে যাও এবং তোমাদের দেবতাদের উপাসনায় তোমরা অবিচলিত থাক। নিশ্চয়ই এই বিষয়টি উদ্দেশ্যমূলক। আমরা তো অন্য ধর্মাদর্শে এরূপ কথা শুনিনি। এ তো মনগড়া উক্তি মাত্র। (সূরা সা’দ ৩৮ঃ ১-৭)।
নবীজী (ﷺ) বললেনঃ আমি তো তাদের কাছ থেকে এমন একটা কথার স্বীকৃতি চাই যে এদ্বারা সমস্ত আরব তাদের অনুগত হয়ে পড়বে আর সব অনারব তাদের জিযিয়া দিবে।
আবু তালিব বললঃ মাত্র একটা কথা। নবীজী বললেনঃ হ্যাঁ, মাত্র একটা কথা। হে চাচা, আপনারা বলুন, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। কুরাইশীরা বললঃ একজন মাত্র ইলাহ! আগের মিল্লাত সমূহেও তো এমন কথা আমরা শুনি নি। এতো মনগড়া কথা বৈ কিছূই নয়। রাবী বলেন, এদের বিষয়েই কুরআন মজীদে নাযিল হয়ঃ
ص* وَالْقُرْآنِ ذِي الذِّكْرِ * بَلِ الَّذِينَ كَفَرُوا فِي عِزَّةٍ وَشِقَاقٍ إِلَى قَوْلِهِ : ما سَمِعْنَا بِهَذَا فِي الْمِلَّةِ الآخِرَةِ إِنْ هَذَا إِلاَّ اخْتِلاَقٌ
সা’দ, কসম উপদেশ পূর্ণ কুরআনের (আপনি অবশ্যই সত্য নবী) কিন্তু কাফিরগণ ঔদ্ধত্য ও বিরোধিতায় ডুবে আছে। এদের পূর্বে আমি কত জনগোষ্ঠী ধ্বংস করেছি; তখন তারা আর্ত চিৎকার করেছিল। কিন্তু তখন পরিত্রাণের কোন উপায় ছিল না। এরা বিস্ময়বোধ করে যে, তাদের নিকট তাদের মধ্য থেকেই একজন সতর্ককারী এসেছে। কাফিররা বলেঃ এ তো এক যাদুকর, মিথ্যাবাদী। সে কি বহু ইলাহের পরিবর্তে এক ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে? এ তো এক অত্যাশ্চর্য ব্যাপার! তাদের প্রধানরা এই বলে সরে পড়ে, তোমরা চলে যাও এবং তোমাদের দেবতাদের উপাসনায় তোমরা অবিচলিত থাক। নিশ্চয়ই এই বিষয়টি উদ্দেশ্যমূলক। আমরা তো অন্য ধর্মাদর্শে এরূপ কথা শুনিনি। এ তো মনগড়া উক্তি মাত্র। (সূরা সা’দ ৩৮ঃ ১-৭)।
أبواب تفسير القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ ص
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، - الْمَعْنَى وَاحِدٌ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ يَحْيَى، قَالَ عَبْدٌ هُوَ ابْنُ عَبَّادٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ مَرِضَ أَبُو طَالِبٍ فَجَاءَتْهُ قُرَيْشٌ وَجَاءَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَعِنْدَ أَبِي طَالِبٍ مَجْلِسُ رَجُلٍ فَقَامَ أَبُو جَهْلٍ كَىْ يَمْنَعَهُ وَشَكَوْهُ إِلَى أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ يَا ابْنَ أَخِي مَا تُرِيدُ مِنْ قَوْمِكَ قَالَ " إِنِّي أُرِيدُ مِنْهُمْ كَلِمَةً وَاحِدَةً تَدِينُ لَهُمْ بِهَا الْعَرَبُ وَتُؤَدِّي إِلَيْهِمُ الْعَجَمُ الْجِزْيَةَ " . قَالَ كَلِمَةً وَاحِدَةً قَالَ " كَلِمَةً وَاحِدَةً " . قَالَ " يَا عَمِّ قُولُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ " . فَقَالُوا: إِلَهًا وَاحِدًا؟ ( ما سَمِعْنَا بِهَذَا فِي الْمِلَّةِ الآخِرَةِ إِنْ هَذَا إِلاَّ اخْتِلاَقٌ ) قَالَ فَنَزَلَ فِيهِمُ الْقُرْآنُ : (ص* وَالْقُرْآنِ ذِي الذِّكْرِ * بَلِ الَّذِينَ كَفَرُوا فِي عِزَّةٍ وَشِقَاقٍ ) إِلَى قَوْلِهِ : (ما سَمِعْنَا بِهَذَا فِي الْمِلَّةِ الآخِرَةِ إِنْ هَذَا إِلاَّ اخْتِلاَقٌ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ، وقَالَ يَحْيَى بْنُ عُمَارَةَ.