আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং: ৩২১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩২১৮
সূরা আহযাব
৩২১৮. কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ....... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বিবাহ করে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বাসর করেন। আমার মা উম্মে সুলায়ম ’হায়স’ তৈরী করে একটি পাত্রে রাখলেন। বললেনঃ হে আনাস, নবী (ﷺ) এর কাছে এটি নিয়ে যাও। তাঁকে বলবে, আমার মা আপনার কাছে এই খাদ্য পাঠিয়েছেন এবং তিনি আপনাকে সালাম দিয়েছেন। আর তিনি বলেছেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমাদের পক্ষ থেকে এই সামান্য কিছু!
আনাস (রাযিঃ) বলেনঃ আমি তা নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কাছে গেলাম। বললামঃ মা আপনাকে সালাম বলেছেন। আর বলেছেন, আমাদের পক্ষ থেকে আপনার জন্য এই সামান্য কিছু।
তিনি বললেনঃ রাখ। পরে কয়েকজনের নাম নিয়ে বললেনঃ যাও, অমুক অমুককে ডেকে নিয়ে আস আর যার সঙ্গে সাক্ষাত হয় তাকেও। তিনি যাদের নাম বলেছিলেন তাদেরসহ যার যার সঙ্গে আমার সাক্ষাত হয়েছে তাদের ডেকে নিয়ে এলাম।
রাবী বলেন, আমি আনাস (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম। তাঁরা সংখ্যায় কতজন ছিলেন?
তিনি বললেনঃ প্রায় তিনশ’। আনাস (রাযিঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে বললেনঃ হে আনাস, পাত্রটি আন।
আমন্ত্রিতরা ভিতরে আসলেন, এমনকি সুফফা এবং হুজরা ভরে গেল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ দশজন দশজন করে গোল হয়ে বসতে এবং প্রত্যেকেই তার নিজের পার্শ্বের থেকে খাবে।
আনাস (রাযিঃ) বলেনঃ তার সকলেই পরিতৃপ্ত হয়ে আহার করলেন। একেক দল বের হতেন অন্য দল এসে ঢুকতেন। এভাবে সকলেরই খাওয়া শেষ হল। আমাকে নবী (ﷺ) বললেনঃ হে আনাস, পাত্রটি উঠাও।
আমি পাত্রটি উঠালাম। আমি বুঝতে পাছিলাম না। এটি যখন রেখেছিলাম তখন বেশী ছিল, না যখন উঠালাম তখন বেশী ছিল।
তাঁদের কিছু দল রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর ঘরে বসে আলাপ-সালাপ করতে লাগলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিজে উপবিষ্ট ছিলেন এবং তাঁর নববধূ দেওয়ালের দিকে তার মুখ ফিরিয়ে বসা ছিলেন। তাঁরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর জন্য বোঝা স্বরূপ হয়ে উঠলেন। তিনি বের হয়ে পড়লেন এবং অন্যান্য স্ত্রীদের কামরায় গিয়ে তাঁদের সালাম দিলেন। পরে ফিরে এলেন। তারা যখন দেখলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ফিরে এসেছেন, তখন তারা বুঝতে পারলেন যে, তাঁরা তাঁকে বিরক্ত করছেন। তাই তারা দ্রুত দরজার দিকে এগিয়ে গেলেন এবং সকলেই বের হয়ে গেলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এসে পর্দা টেনে ভিতরে প্রবেশ করলেন। আমি হুজরায় বসা ছিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি বের হয়ে আমার কাছে এলেন। তখন নিম্নের এই আয়াতগুলো তাঁর উপর নাযিল হয়। তিনি বাইরে বের হয়ে গেলেন এবং লোকদের সেগুলো পাঠ করে শোনালেনঃ
يا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلاَّ أَنْ يُؤْذَنَ لَكُمْ إِلَى طَعَامٍ غَيْرَ نَاظِرِينَ إِنَاهُ
হে মু’মিনগণ, তোমাদের অনুমতি দেওয়া না হলে তোমরা আহার্য প্রস্তুতির জন্য অপেক্ষা না করে ভোজনের জন্য নবী-গৃহে প্রবেশ করবে না। তবে তোমদের আহবান করলে প্রবেশ করবে এবং খাওয়া শেষ হলে চলে যাবে; কথাবার্তায় মশগুল হয়ে পড়বে না। কারণ, তোমাদের এই আচরণ নবীকে পীড়া দেয়শেষ পর্যন্ত। (৩৩ঃ ৫৩)।
জা’দ বলেছেন যে, আনাস (রাযিঃ) বলেনঃ লোকদের মাঝে আমি প্রথম এই আয়াতগুলো শুনি। এরপর থেকেই নবী (ﷺ) এর স্ত্রীগণ পর্দা আবৃত করেন।
আনাস (রাযিঃ) বলেনঃ আমি তা নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কাছে গেলাম। বললামঃ মা আপনাকে সালাম বলেছেন। আর বলেছেন, আমাদের পক্ষ থেকে আপনার জন্য এই সামান্য কিছু।
তিনি বললেনঃ রাখ। পরে কয়েকজনের নাম নিয়ে বললেনঃ যাও, অমুক অমুককে ডেকে নিয়ে আস আর যার সঙ্গে সাক্ষাত হয় তাকেও। তিনি যাদের নাম বলেছিলেন তাদেরসহ যার যার সঙ্গে আমার সাক্ষাত হয়েছে তাদের ডেকে নিয়ে এলাম।
রাবী বলেন, আমি আনাস (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম। তাঁরা সংখ্যায় কতজন ছিলেন?
তিনি বললেনঃ প্রায় তিনশ’। আনাস (রাযিঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে বললেনঃ হে আনাস, পাত্রটি আন।
আমন্ত্রিতরা ভিতরে আসলেন, এমনকি সুফফা এবং হুজরা ভরে গেল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ দশজন দশজন করে গোল হয়ে বসতে এবং প্রত্যেকেই তার নিজের পার্শ্বের থেকে খাবে।
আনাস (রাযিঃ) বলেনঃ তার সকলেই পরিতৃপ্ত হয়ে আহার করলেন। একেক দল বের হতেন অন্য দল এসে ঢুকতেন। এভাবে সকলেরই খাওয়া শেষ হল। আমাকে নবী (ﷺ) বললেনঃ হে আনাস, পাত্রটি উঠাও।
আমি পাত্রটি উঠালাম। আমি বুঝতে পাছিলাম না। এটি যখন রেখেছিলাম তখন বেশী ছিল, না যখন উঠালাম তখন বেশী ছিল।
তাঁদের কিছু দল রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর ঘরে বসে আলাপ-সালাপ করতে লাগলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিজে উপবিষ্ট ছিলেন এবং তাঁর নববধূ দেওয়ালের দিকে তার মুখ ফিরিয়ে বসা ছিলেন। তাঁরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর জন্য বোঝা স্বরূপ হয়ে উঠলেন। তিনি বের হয়ে পড়লেন এবং অন্যান্য স্ত্রীদের কামরায় গিয়ে তাঁদের সালাম দিলেন। পরে ফিরে এলেন। তারা যখন দেখলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ফিরে এসেছেন, তখন তারা বুঝতে পারলেন যে, তাঁরা তাঁকে বিরক্ত করছেন। তাই তারা দ্রুত দরজার দিকে এগিয়ে গেলেন এবং সকলেই বের হয়ে গেলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এসে পর্দা টেনে ভিতরে প্রবেশ করলেন। আমি হুজরায় বসা ছিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি বের হয়ে আমার কাছে এলেন। তখন নিম্নের এই আয়াতগুলো তাঁর উপর নাযিল হয়। তিনি বাইরে বের হয়ে গেলেন এবং লোকদের সেগুলো পাঠ করে শোনালেনঃ
يا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلاَّ أَنْ يُؤْذَنَ لَكُمْ إِلَى طَعَامٍ غَيْرَ نَاظِرِينَ إِنَاهُ
হে মু’মিনগণ, তোমাদের অনুমতি দেওয়া না হলে তোমরা আহার্য প্রস্তুতির জন্য অপেক্ষা না করে ভোজনের জন্য নবী-গৃহে প্রবেশ করবে না। তবে তোমদের আহবান করলে প্রবেশ করবে এবং খাওয়া শেষ হলে চলে যাবে; কথাবার্তায় মশগুল হয়ে পড়বে না। কারণ, তোমাদের এই আচরণ নবীকে পীড়া দেয়শেষ পর্যন্ত। (৩৩ঃ ৫৩)।
জা’দ বলেছেন যে, আনাস (রাযিঃ) বলেনঃ লোকদের মাঝে আমি প্রথম এই আয়াতগুলো শুনি। এরপর থেকেই নবী (ﷺ) এর স্ত্রীগণ পর্দা আবৃত করেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الأَحْزَابِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ الضُّبَعِيُّ، عَنِ الْجَعْدِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، رضى الله عنه قَالَ تَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَدَخَلَ بِأَهْلِهِ - قَالَ - فَصَنَعَتْ أُمِّي أُمُّ سُلَيْمٍ حَيْسًا فَجَعَلَتْهُ فِي تَوْرٍ فَقَالَتْ يَا أَنَسُ اذْهَبْ بِهَذَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْ لَهُ بَعَثَتْ إِلَيْكَ بِهَا أُمِّي وَهِيَ تُقْرِئُكَ السَّلاَمَ وَتَقُولُ إِنَّ هَذَا لَكَ مِنَّا قَلِيلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ فَذَهَبْتُ بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ إِنَّ أُمِّي تُقْرِئُكَ السَّلاَمَ وَتَقُولُ إِنَّ هَذَا مِنَّا لَكَ قَلِيلٌ . فَقَالَ " ضَعْهُ " . ثُمَّ قَالَ " اذْهَبْ فَادْعُ لِي فُلاَنًا وَفُلاَنًا وَفُلاَنًا وَمَنْ لَقِيتَ " . فَسَمَّى رِجَالاً قَالَ فَدَعَوْتُ مَنْ سَمَّى وَمَنْ لَقِيتُ قَالَ قُلْتُ لأَنَسٍ عَدَدُكُمْ كَمْ كَانُوا قَالَ زُهَاءَ ثَلاَثِمِائَةٍ . قَالَ وَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا أَنَسُ هَاتِ التَّوْرَ " . قَالَ فَدَخَلُوا حَتَّى امْتَلأَتِ الصُّفَّةُ وَالْحُجْرَةُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لِيَتَحَلَّقْ عَشَرَةٌ عَشَرَةٌ وَلْيَأْكُلْ كُلُّ إِنْسَانٍ مِمَّا يَلِيهِ " . قَالَ فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا قَالَ فَخَرَجَتْ طَائِفَةٌ وَدَخَلَتْ طَائِفَةٌ حَتَّى أَكَلُوا كُلُّهُمْ . قَالَ فَقَالَ لِي " يَا أَنَسُ ارْفَعْ " . قَالَ فَرَفَعْتُ فَمَا أَدْرِي حِينَ وَضَعْتُ كَانَ أَكْثَرَ أَمْ حِينَ رَفَعْتُ قَالَ وَجَلَسَ مِنْهُمْ طَوَائِفُ يَتَحَدَّثُونَ فِي بَيْتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسٌ وَزَوْجَتُهُ مُوَلِّيَةٌ وَجْهَهَا إِلَى الْحَائِطِ فَثَقُلُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَلَّمَ عَلَى نِسَائِهِ ثُمَّ رَجَعَ فَلَمَّا رَأَوْا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ رَجَعَ ظَنُّوا أَنَّهُمْ قَدْ ثَقُلُوا عَلَيْهِ قَالَ فَابْتَدَرُوا الْبَابَ فَخَرَجُوا كُلُّهُمْ وَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى أَرْخَى السِّتْرَ وَدَخَلَ وَأَنَا جَالِسٌ فِي الْحُجْرَةِ فَلَمْ يَلْبَثْ إِلاَّ يَسِيرًا حَتَّى خَرَجَ عَلَىَّ وَأُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَاتُ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَرَأَهُنَّ عَلَى النَّاسِ : ( يا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلاَّ أَنْ يُؤْذَنَ لَكُمْ إِلَى طَعَامٍ غَيْرَ نَاظِرِينَ إِنَاهُ ) إِلَى آخِرِ الآيَةِ . قَالَ الْجَعْدُ قَالَ أَنَسٌ أَنَا أَحْدَثُ النَّاسِ عَهْدًا بِهَذِهِ الآيَاتِ وَحُجِبْنَ نِسَاءُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْجَعْدُ هُوَ ابْنُ عُثْمَانَ وَيُقَالُ هُوَ ابْنُ دِينَارٍ وَيُكْنَى أَبَا عُثْمَانَ بَصْرِيٌّ وَهُوَ ثِقَةٌ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ رَوَى عَنْهُ يُونُسُ بْنُ عُبَيْدٍ وَشُعْبَةُ وَحَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ .
