আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং: ৩২১৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩২১৫
সূরা আহযাব
৩২১৫. আব্দ (রাহঃ) ...... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুহাজির মুমিন মাহিলা ছাড়া সব ধরনের মহিলার বিবাহ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর জন্য নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেনঃ
لا يَحِلُّ لَكَ النِّسَاءُ مِنْ بَعْدُ وَلاَ أَنْ تَبَدَّلَ بِهِنَّ مِنْ أَزْوَاجٍ وَلَوْ أَعْجَبَكَ حُسْنُهُنَّ إِلاَّ مَا مَلَكَتْ يَمِينُكَ
এরপর আপনার জন্য কোন নারী বৈধ নয় এবং বর্তমান স্ত্রীগণের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণও বৈধ নয় যদিও তাদের সৌন্দর্য আপনাকে বিস্মত করে তবে আপনার অধিকারভূক্ত দাসীগণের ব্যাপারে এই বিধান প্রযোজ্য নয়। (সূরা আহযাব ৩৩ঃ ৫২)
এখানে আল্লাহ্ তাআলা অধিকার ভূক্ত মু’মিন নবীদের বৈধ রেখেছেন। অন্যত্র ইরশাদ করেনঃ
ومَنْ يَكْفُرْ بِالإِيمَانِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ وَهُوَ فِي الآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ
যে কেউ ঈমান প্রত্যাখ্যান করবে তার কর্ম নিস্ফল হবে। (সূরা মাইদা ৫ঃ ৫)
কোন মু’মিন নারী নবীর নিকট নিজেকে নিবেনদ করলে এবং নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও বৈধ (সূরা আহযাব ৩৩ঃ ৫২) ইসলাম দ্বীন অবম্বনকারীণী মহিলা ছাড়া তার জন্য বাকী সব মহিলা অবৈধ হল। তিনি আরো ইরশাদ করেনঃ
يا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِنَّا أَحْلَلْنَا لَكَ أَزْوَاجَكَ اللاَّتِي آتَيْتَ أُجُورَهُنَّ وَمَا مَلَكَتْ يَمِينُكَ مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَيْكَ
হে নবী, আমি আপনার জন্য বৈধ করেছি আপনার স্ত্রীগণকে যাদের মোহর আপনি প্রদান করেছেন এবং বৈধ করেছি ফায় হিসাবে আল্লাহ্ আপনাকে যা দান করেছেন তা থেকে যারা আপনার মালিকানাধীন হয়েছে তাদের, বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচার কন্যা, ফুফুর কন্যা, মামার কন্যা ও খালার কন্যাকে যারা আপনার সঙ্গে হিজরত করেছে। কোন মু’মিন নরী নবীর নিকট নিজেকে নিবেদন করলে এবং নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সে-ও বৈধ। এ বিধান বিশেষ করে আপনার জন্যই। অন্য মু’মিনদের জন্য নয়। (সূরা আহযাব ৩৩ঃ ৫০)
আরো ইরশাদ করেনঃ إِلَى قَوْلِهِ : (خالِصَةً لَكَ مِنْ دُونِ الْمُؤْمِنِينَ) সুতরাং এ ছাড়া অন্য সব নারীর বিবাহ তাঁর জন্য হারাম করে দেওয়া হয়।
لا يَحِلُّ لَكَ النِّسَاءُ مِنْ بَعْدُ وَلاَ أَنْ تَبَدَّلَ بِهِنَّ مِنْ أَزْوَاجٍ وَلَوْ أَعْجَبَكَ حُسْنُهُنَّ إِلاَّ مَا مَلَكَتْ يَمِينُكَ
এরপর আপনার জন্য কোন নারী বৈধ নয় এবং বর্তমান স্ত্রীগণের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণও বৈধ নয় যদিও তাদের সৌন্দর্য আপনাকে বিস্মত করে তবে আপনার অধিকারভূক্ত দাসীগণের ব্যাপারে এই বিধান প্রযোজ্য নয়। (সূরা আহযাব ৩৩ঃ ৫২)
এখানে আল্লাহ্ তাআলা অধিকার ভূক্ত মু’মিন নবীদের বৈধ রেখেছেন। অন্যত্র ইরশাদ করেনঃ
ومَنْ يَكْفُرْ بِالإِيمَانِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ وَهُوَ فِي الآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ
যে কেউ ঈমান প্রত্যাখ্যান করবে তার কর্ম নিস্ফল হবে। (সূরা মাইদা ৫ঃ ৫)
কোন মু’মিন নারী নবীর নিকট নিজেকে নিবেনদ করলে এবং নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও বৈধ (সূরা আহযাব ৩৩ঃ ৫২) ইসলাম দ্বীন অবম্বনকারীণী মহিলা ছাড়া তার জন্য বাকী সব মহিলা অবৈধ হল। তিনি আরো ইরশাদ করেনঃ
يا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِنَّا أَحْلَلْنَا لَكَ أَزْوَاجَكَ اللاَّتِي آتَيْتَ أُجُورَهُنَّ وَمَا مَلَكَتْ يَمِينُكَ مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَيْكَ
হে নবী, আমি আপনার জন্য বৈধ করেছি আপনার স্ত্রীগণকে যাদের মোহর আপনি প্রদান করেছেন এবং বৈধ করেছি ফায় হিসাবে আল্লাহ্ আপনাকে যা দান করেছেন তা থেকে যারা আপনার মালিকানাধীন হয়েছে তাদের, বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচার কন্যা, ফুফুর কন্যা, মামার কন্যা ও খালার কন্যাকে যারা আপনার সঙ্গে হিজরত করেছে। কোন মু’মিন নরী নবীর নিকট নিজেকে নিবেদন করলে এবং নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সে-ও বৈধ। এ বিধান বিশেষ করে আপনার জন্যই। অন্য মু’মিনদের জন্য নয়। (সূরা আহযাব ৩৩ঃ ৫০)
আরো ইরশাদ করেনঃ إِلَى قَوْلِهِ : (خالِصَةً لَكَ مِنْ دُونِ الْمُؤْمِنِينَ) সুতরাং এ ছাড়া অন্য সব নারীর বিবাহ তাঁর জন্য হারাম করে দেওয়া হয়।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الأَحْزَابِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ بَهْرَامَ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ رضى الله عنهما نُهِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَصْنَافِ النِّسَاءِ إِلاَّ مَا كَانَ مِنَ الْمُؤْمِنَاتِ الْمُهَاجِرَاتِ قَالَ : ( لا يَحِلُّ لَكَ النِّسَاءُ مِنْ بَعْدُ وَلاَ أَنْ تَبَدَّلَ بِهِنَّ مِنْ أَزْوَاجٍ وَلَوْ أَعْجَبَكَ حُسْنُهُنَّ إِلاَّ مَا مَلَكَتْ يَمِينُكَ ) فَأَحَلَّ اللَّهُ فَتَيَاتِكُمُ الْمُؤْمِنَاتِ وَامْرَأَةً مُؤْمِنَةً إِنْ وَهَبَتْ نَفْسَهَا لِلنَّبِيِّ وَحَرَّمَ كُلَّ ذَاتِ دِينٍ غَيْرَ الإِسْلاَمِ ثُمَّ قَالَ : (ومَنْ يَكْفُرْ بِالإِيمَانِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ وَهُوَ فِي الآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ ) وَقَالَ : ( يا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِنَّا أَحْلَلْنَا لَكَ أَزْوَاجَكَ اللاَّتِي آتَيْتَ أُجُورَهُنَّ وَمَا مَلَكَتْ يَمِينُكَ مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَيْكَ ) إِلَى قَوْلِهِ : ( خالِصَةً لَكَ مِنْ دُونِ الْمُؤْمِنِينَ ) وَحَرَّمَ مَا سِوَى ذَلِكَ مِنْ أَصْنَافِ النِّسَاءِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ بَهْرَامَ . قَالَ سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ الْحَسَنِ يَقُولُ قَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلِ لاَ بَأْسَ بِحَدِيثِ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ بَهْرَامَ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ .
