আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং: ৩১৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৬৯
সূরা হজ্জ
৩১৬৯. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) .... ইমরান ইবনে হুসাইন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী (ﷺ)-এর সঙ্গে এক সফরে ছিলাম। চলতে চলতে সাহাবীরা একে অন্য থেকে দূরে পড়ে গেলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উচ্চঃস্বরে এই আয়াত দু’টি তিলাওয়াত করলেন।
সাহাবীগণ এ আওয়াজ শুনে বাহনের গতি দ্রুত করে (তাঁর কাছে) এলেন। তাঁরা বুঝতে পারলেন যে, তিনি তাঁদের কোন কথা বলার সমীপরবর্তী। তিনি বললেনঃ তোমরা কি জান সেটি কোন দিন? তাঁরা বললেনঃ আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন।
তিনি বললেনঃ এ হল সেই দিন যেদিন আল্লাহ্ তাআলা আদমকে ডাকবেন। আর তাঁর প্রভূ তাঁকে ডেকে বলবেনঃ হে আদম, জাহান্নামীদের পাঠাও।
আদম বলবেনঃ হে আমার রব, জাহান্নামীর সংখ্যা কি?
আল্লাহ্ বলবেনঃ প্রতি হাজারে নয়শত নিরানব্বই জন জাহান্নামের আর একজন হল জান্নাতের।
সবাই নিরাশ হয়ে গেলেন। এমনকি তাঁদের স্মিত হাসিও প্রকাশ পাচ্ছিল না। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সাহাবীদের এ অবস্থা দেখে বললেনঃ তোমরা আমল করে যাও আর সুসংবাদ লাভ কর। যে সত্তার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ সেই সত্তার কসম, তোমরা তো দুই ধরনের মাখলুকের মাঝে রয়েছ। এই দুই সৃষ্টি যার সাথেই থাকে তাকেই বাড়িয়ে দেয়। এরা হল ইয়াজুজ-মাজুজ এবং বনু আদম ও বনু ইবলীসের যারা মারা গিয়েছে। অনন্তর সাহাবীরা যে দুশ্চিন্তায় ছিলেন এর কতকটা তাতে বিদূরিত হয়।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা আমল কর আর সুসংবাদ লাভ কর। কসম সেই সত্তার যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! মানুষের মাঝে তোমরা হলে উটের পার্শ্বের তিলের মত বা কোন জন্তুর হাঁটুর দাগের মত।
সাহাবীগণ এ আওয়াজ শুনে বাহনের গতি দ্রুত করে (তাঁর কাছে) এলেন। তাঁরা বুঝতে পারলেন যে, তিনি তাঁদের কোন কথা বলার সমীপরবর্তী। তিনি বললেনঃ তোমরা কি জান সেটি কোন দিন? তাঁরা বললেনঃ আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন।
তিনি বললেনঃ এ হল সেই দিন যেদিন আল্লাহ্ তাআলা আদমকে ডাকবেন। আর তাঁর প্রভূ তাঁকে ডেকে বলবেনঃ হে আদম, জাহান্নামীদের পাঠাও।
আদম বলবেনঃ হে আমার রব, জাহান্নামীর সংখ্যা কি?
আল্লাহ্ বলবেনঃ প্রতি হাজারে নয়শত নিরানব্বই জন জাহান্নামের আর একজন হল জান্নাতের।
সবাই নিরাশ হয়ে গেলেন। এমনকি তাঁদের স্মিত হাসিও প্রকাশ পাচ্ছিল না। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সাহাবীদের এ অবস্থা দেখে বললেনঃ তোমরা আমল করে যাও আর সুসংবাদ লাভ কর। যে সত্তার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ সেই সত্তার কসম, তোমরা তো দুই ধরনের মাখলুকের মাঝে রয়েছ। এই দুই সৃষ্টি যার সাথেই থাকে তাকেই বাড়িয়ে দেয়। এরা হল ইয়াজুজ-মাজুজ এবং বনু আদম ও বনু ইবলীসের যারা মারা গিয়েছে। অনন্তর সাহাবীরা যে দুশ্চিন্তায় ছিলেন এর কতকটা তাতে বিদূরিত হয়।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা আমল কর আর সুসংবাদ লাভ কর। কসম সেই সত্তার যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! মানুষের মাঝে তোমরা হলে উটের পার্শ্বের তিলের মত বা কোন জন্তুর হাঁটুর দাগের মত।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الحَجِّ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَتَفَاوَتَ بَيْنَ أَصْحَابِهِ فِي السَّيْرِ فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَوْتَهُ بِهَاتَيْنِ الآيَتَيْنِ أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمْ إِنَّ زَلْزَلَةَ السَّاعَةِ شَيْءٌ عَظِيمٌ ) إِلَى قَوْلِهِ : ( إن عذَابَ اللَّهِ شَدِيدٌ ) فَلَمَّا سَمِعَ ذَلِكَ أَصْحَابُهُ حَثُّوا الْمَطِيَّ وَعَرَفُوا أَنَّهُ عِنْدَ قَوْلٍ يَقُولُهُ فَقَالَ " هَلْ تَدْرُونَ أَىُّ يَوْمٍ ذَلِكَ " . قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " ذَاكَ يَوْمٌ يُنَادِي اللَّهُ فِيهِ آدَمَ فَيُنَادِيهِ رَبُّهُ فَيَقُولُ يَا آدَمُ ابْعَثْ بَعْثَ النَّارِ . فَيَقُولُ يَا رَبِّ وَمَا بَعْثُ النَّارِ فَيَقُولُ مِنْ كُلِّ أَلْفٍ تِسْعُمِائَةٍ وَتِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ إِلَى النَّارِ وَوَاحِدٌ فِي الْجَنَّةِ " . فَيَئِسَ الْقَوْمُ حَتَّى مَا أَبْدَوْا بِضَاحِكَةٍ فَلَمَّا رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الَّذِي بِأَصْحَابِهِ قَالَ " اعْمَلُوا وَأَبْشِرُوا فَوَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ إِنَّكُمْ لَمَعَ خَلِيقَتَيْنِ مَا كَانَتَا مَعَ شَيْءٍ إِلاَّ كَثَّرَتَاهُ يَأْجُوجُ وَمَأْجُوجُ وَمَنْ مَاتَ مِنْ بَنِي آدَمَ وَبَنِي إِبْلِيسَ " . قَالَ فَسُرِّيَ عَنِ الْقَوْمِ بَعْضُ الَّذِي يَجِدُونَ . فَقَالَ " اعْمَلُوا وَأَبْشِرُوا فَوَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ مَا أَنْتُمْ فِي النَّاسِ إِلاَّ كَالشَّامَةِ فِي جَنْبِ الْبَعِيرِ أَوْ كَالرَّقْمَةِ فِي ذِرَاعِ الدَّابَّةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
