আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং: ৩০৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৯৭
সূরা তাওবা
৩০৯৭. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-কে আমি বলতে শুনেছি যে, আব্দুল্লাহ্ ইবনে উবাই-এর মৃত্যুর পর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে তার নামাযে জানাযা আদায়ের জন্য আহবান করা হল। তিনি সেখানে গেলেন। যখন তিনি নামাযের উদ্দেশ্যে দাঁড়ালেন তখন আমি ঘুরে গিয়ে তার সীনার বরাবর দাঁড়ালাম এবং বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আল্লাহর দুশমন এই আব্দুল্লাহ্ ইবনে উবাই, যে অমুক দিন তা, অমুক দিন তা, অমুক দিন তা, অমুক দিন তা বলেছিল, আপনি কি তার নামাযে জানাযা আদায় করবেন? রাবী বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মুচকি হাসছিলেন। শেষে আমি যখন অনেক বেশী বলে ফেললাম তিনি বললেনঃ উমর, সরে দাঁড়াও। আমাকে তো ইখতিয়ার দেওয়া হয়েছে, তাই আমি এর সালাতুল জানাযা আদায় করাকেই ইখতিয়ার করেছি। আমাকে তো বলা হয়েছেঃ আপনি এদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন বা না করুন, যদি সত্তর বারও এদের পক্ষে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তবুও আল্লাহ কখনও এদের ক্ষমা করবেন না। (সূরা তওবা ৯ : ৮০)। আমি যদি জানতাম যে, সত্তর বারের বেশী এর জন্য ক্ষমা প্রর্থনা করলে আল্লাহ্ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দিবেন তবে আমি তাই করতাম। উমর (রাযিঃ) বলেনঃ এরপর তিনি এর জানাযার নামায আদায় করলেন, তিনি তার জানাযার সঙ্গে গেলেন এবং যতক্ষণ না দাফন শেষ হয়েছে তার কবরে দাঁড়িয়ে রইলেন।
উমর (রাযিঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর প্রতি আমার দুঃসাহসিকতার জন্য আমি বিস্মত। আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। আল্লাহর কসম, অল্পক্ষণ পরেই এ দু’টি আয়াত নাযিল হয়ঃ
اسْتَغْفِرْ لَهُمْ أَوْ لاَ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ إِنْ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ سَبْعِينَ مَرَّةً فَلَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ لَهُمْ
وَلَا تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا وَلاَ تَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ
ওদের মধ্যে কারো মৃত্যু হলে তুমি কখনো তার জন্য জানাযার নামায পড়বে না এবং তার কবর পার্শ্বে দাঁড়াবে না ...... (৯ঃ ৮৪)।
উমর (রাযিঃ) বলেনঃ এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার ইন্তিকাল পর্যন্ত আর কখনো কোন মুনাফিকের সালাতুল জানাযা পড়েন নি, তার কবর পার্শ্বেও দাঁড়ান নি।
(আবু ঈসা বলেন)এ হাদীসটি হাসান-গারীব-সহীহ।
উমর (রাযিঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর প্রতি আমার দুঃসাহসিকতার জন্য আমি বিস্মত। আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। আল্লাহর কসম, অল্পক্ষণ পরেই এ দু’টি আয়াত নাযিল হয়ঃ
اسْتَغْفِرْ لَهُمْ أَوْ لاَ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ إِنْ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ سَبْعِينَ مَرَّةً فَلَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ لَهُمْ
وَلَا تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا وَلاَ تَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ
ওদের মধ্যে কারো মৃত্যু হলে তুমি কখনো তার জন্য জানাযার নামায পড়বে না এবং তার কবর পার্শ্বে দাঁড়াবে না ...... (৯ঃ ৮৪)।
উমর (রাযিঃ) বলেনঃ এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার ইন্তিকাল পর্যন্ত আর কখনো কোন মুনাফিকের সালাতুল জানাযা পড়েন নি, তার কবর পার্শ্বেও দাঁড়ান নি।
(আবু ঈসা বলেন)এ হাদীসটি হাসান-গারীব-সহীহ।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، يَقُولُ لَمَّا تُوُفِّيَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَىٍّ دُعِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِلصَّلاَةِ عَلَيْهِ فَقَامَ إِلَيْهِ فَلَمَّا وَقَفَ عَلَيْهِ يُرِيدُ الصَّلاَةَ تَحَوَّلْتُ حَتَّى قُمْتُ فِي صَدْرِهِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَعَلَى عَدُوِّ اللَّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَىٍّ الْقَائِلِ يَوْمَ كَذَا كَذَا وَكَذَا يَعُدُّ أَيَّامَهُ . قَالَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَبَسَّمُ حَتَّى إِذَا أَكْثَرْتُ عَلَيْهِ قَالَ " أَخِّرْ عَنِّي يَا عُمَرُ . إِنِّي خُيِّرْتُ فَاخْتَرْتُ قَدْ قِيلَ لِي : ( اسْتَغْفِرْ لَهُمْ أَوْ لاَ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ إِنْ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ سَبْعِينَ مَرَّةً فَلَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ لَهُمْ ) لَوْ أَعْلَمُ أَنِّي لَوْ زِدْتُ عَلَى السَّبْعِينَ غُفِرَ لَهُ لَزِدْتُ " . قَالَ ثُمَّ صَلَّى عَلَيْهِ وَمَشَى مَعَهُ فَقَامَ عَلَى قَبْرِهِ حَتَّى فُرِغَ مِنْهُ قَالَ فَعَجَبٌ لِي وَجُرْأَتِي عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ فَوَاللَّهِ مَا كَانَ إِلاَّ يَسِيرًا حَتَّى نَزَلَتْ هَاتَانِ الآيَتَانِ : (وَلَا تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا وَلاَ تَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ ) إِلَى آخِرِ الآيَةِ قَالَ فَمَا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَهُ عَلَى مُنَافِقٍ وَلاَ قَامَ عَلَى قَبْرِهِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
