আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং: ৩০৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৮৬
সূরা তাওবা
৩০৮৫. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ....... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি উছমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) কে বললাম আপনারা মাছানীর (যে সূরার আয়াত সংখ্যা একশ’র কম) অন্তর্ভক্ত সূরা আনফাল আর মিঈন এর (একশ’ বা ততোধিক আয়াত বিশিষ্ট সূরা) অন্তর্ভূক্ত বারাআতকে মিলিত করেছেন আরও দুটোর মাঝে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম লাইনটি লিখেন নি সাথে সাথে সূরা আনফালকে সাবা’য়ে তুওয়াল (সাতটি দীর্ঘ সূরা)-এর অন্তর্ভূক্ত করেছেন- এরূপ করতে কিসে উদ্বুদ্ধ করল?
উছমান (রাযিঃ) বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর উপর এমন এক যামানাও এসেছে যখন তাঁর উপর বহুসংখ্যক সূরা এক সঙ্গে নাযিল হয়েছে। ঐ যুগে তাঁর উপর কোন বিষয় নাযিল হলে ওহী লেখকগণের কাউকে ডেকে তিনি বলতেন এ আয়াতগুলো যে সূরায় অমুক অমুক বিষয়ের উল্লেখ আছে, সে সূরায় অন্তর্ভূক্ত কর। কোন আয়াত নাযিল হলে বলতেন, এই আয়াতটি যে সূরায় অমুক অমুক বিষয়ের উল্লেখ আছে সে সূরায় অন্তর্ভূক্ত কর।
মদীনায় প্রথম দিকে যে সব সূরা নাযিল হয় সূরা আনফাল ছিল সেগুলোর অন্যতম আর বারাআত ছিল কুরআনের শেষের দিকে নাযিলকৃত সূরাসমূহের অন্যতম। কিন্তু এর বিষয়বস্ত হল সূরা আনফালের বিষয় বস্তর অনুরূপ। ফলে এটি আনফালের অন্তর্গত বলে আমি মনে করলাম। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর ইনতিকাল হয়ে যায় কিন্তু তিনি এ কথা স্পষ্ট করে বর্ণনা করে যান নি যে, এটি আনফালের অংশ। এ কারণে আমি দু’টোকে মিলিত করেছি কিন্তু এতদুভয়ের মাঝে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম লিখিনি। আর এটিকে সাতটি দীর্ঘ সূরার অন্তর্ভূক্ত করেছি।
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান। আওফ-ইয়াযীদ ফারসী ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিন্তু জানা নেই।
ইয়াযীদ ফারসী (রাহঃ) ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে একাধিক হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাকে ইয়াযীদ ইবনে হুরমুযও বলা হয়। ইয়াযীদ রাকাশী (রাহঃ) হলেন ইয়াযীদ ইবনে আবান রাকাশী। তিনি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর সাক্ষাত পাননি। আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে তিনি হাদীস বর্ণনা করেছেন। উভয়ই বসরাবাসী। ইয়াযীদ ফারসী (রাহঃ) ইয়াযীদ রাকাশী (রাহঃ) থেকে বয়সে বড়।
উছমান (রাযিঃ) বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর উপর এমন এক যামানাও এসেছে যখন তাঁর উপর বহুসংখ্যক সূরা এক সঙ্গে নাযিল হয়েছে। ঐ যুগে তাঁর উপর কোন বিষয় নাযিল হলে ওহী লেখকগণের কাউকে ডেকে তিনি বলতেন এ আয়াতগুলো যে সূরায় অমুক অমুক বিষয়ের উল্লেখ আছে, সে সূরায় অন্তর্ভূক্ত কর। কোন আয়াত নাযিল হলে বলতেন, এই আয়াতটি যে সূরায় অমুক অমুক বিষয়ের উল্লেখ আছে সে সূরায় অন্তর্ভূক্ত কর।
মদীনায় প্রথম দিকে যে সব সূরা নাযিল হয় সূরা আনফাল ছিল সেগুলোর অন্যতম আর বারাআত ছিল কুরআনের শেষের দিকে নাযিলকৃত সূরাসমূহের অন্যতম। কিন্তু এর বিষয়বস্ত হল সূরা আনফালের বিষয় বস্তর অনুরূপ। ফলে এটি আনফালের অন্তর্গত বলে আমি মনে করলাম। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর ইনতিকাল হয়ে যায় কিন্তু তিনি এ কথা স্পষ্ট করে বর্ণনা করে যান নি যে, এটি আনফালের অংশ। এ কারণে আমি দু’টোকে মিলিত করেছি কিন্তু এতদুভয়ের মাঝে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম লিখিনি। আর এটিকে সাতটি দীর্ঘ সূরার অন্তর্ভূক্ত করেছি।
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান। আওফ-ইয়াযীদ ফারসী ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিন্তু জানা নেই।
ইয়াযীদ ফারসী (রাহঃ) ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে একাধিক হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাকে ইয়াযীদ ইবনে হুরমুযও বলা হয়। ইয়াযীদ রাকাশী (রাহঃ) হলেন ইয়াযীদ ইবনে আবান রাকাশী। তিনি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর সাক্ষাত পাননি। আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে তিনি হাদীস বর্ণনা করেছেন। উভয়ই বসরাবাসী। ইয়াযীদ ফারসী (রাহঃ) ইয়াযীদ রাকাশী (রাহঃ) থেকে বয়সে বড়।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، وَابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، وَسَهْلُ بْنُ يُوسُفَ، قَالُوا حَدَّثَنَا عَوْفُ بْنُ أَبِي جَمِيلَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ الْفَارِسِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ، قَالَ قُلْتُ لِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ مَا حَمَلَكُمْ أَنْ عَمَدْتُمْ، إِلَى الأَنْفَالِ وَهِيَ مِنَ الْمَثَانِي وَإِلَى بَرَاءَةَ وَهِيَ مِنَ الْمِئِينَ فَقَرَنْتُمْ بَيْنَهُمَا وَلَمْ تَكْتُبُوا بَيْنَهُمَا سَطْرَ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ وَوَضَعْتُمُوهُمَا فِي السَّبْعِ الطُّوَلِ مَا حَمَلَكُمْ عَلَى ذَلِكَ فَقَالَ عُثْمَانُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِمَّا يَأْتِي عَلَيْهِ الزَّمَانُ وَهُوَ تَنْزِلُ عَلَيْهِ السُّوَرُ ذَوَاتُ الْعَدَدِ فَكَانَ إِذَا نَزَلَ عَلَيْهِ الشَّىْءُ دَعَا بَعْضَ مَنْ كَانَ يَكْتُبُ فَيَقُولُ ضَعُوا هَؤُلاَءِ الآيَاتِ فِي السُّورَةِ الَّتِي يُذْكَرُ فِيهَا كَذَا وَكَذَا وَإِذَا نَزَلَتْ عَلَيْهِ الآيَةُ فَيَقُولُ ضَعُوا هَذِهِ الآيَةَ فِي السُّورَةِ الَّتِي يُذْكَرُ فِيهَا كَذَا وَكَذَا وَكَانَتِ الأَنْفَالُ مِنْ أَوَائِلِ مَا أُنْزِلَتْ بِالْمَدِينَةِ وَكَانَتْ بَرَاءَةُ مِنْ آخِرِ الْقُرْآنِ وَكَانَتْ قِصَّتُهَا شَبِيهَةً بِقِصَّتِهَا فَظَنَنْتُ أَنَّهَا مِنْهَا فَقُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يُبَيِّنْ لَنَا أَنَّهَا مِنْهَا فَمِنْ أَجْلِ ذَلِكَ قَرَنْتُ بَيْنَهُمَا وَلَمْ أَكْتُبْ بَيْنَهُمَا سَطْرَ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ فَوَضَعْتُهَا فِي السَّبْعِ الطُّوَلِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَوْفٍ عَنْ يَزِيدَ الْفَارِسِيِّ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ . وَيَزِيدُ الْفَارِسِيُّ قَدْ رَوَى عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ غَيْرَ حَدِيثٍ وَيُقَالُ هُوَ يَزِيدُ بْنُ هُرْمُزَ وَيَزِيدُ الرَّقَاشِيُّ هُوَ يَزِيدُ بْنُ أَبَانَ الرَّقَاشِيُّ وَلَمْ يُدْرِكِ ابْنَ عَبَّاسٍ إِنَّمَا رَوَى عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَكِلاَهُمَا مِنَ التَّابِعِينَ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ وَيَزِيدُ الْفَارِسِيُّ أَقْدَمُ مِنْ يَزِيدَ الرَّقَاشِيِّ .
