আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং: ৩০২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩০২৭
কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
সূরা আন-নিসা
৩০২৭. কুতায়বা (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ্ ইবনুয-যুবাইর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ জনৈক আনসারী হাররা অঞ্চলের একটি নালা নিয়ে যুরায়র (রাযিঃ) এর সঙ্গে বিবাদে লিপ্ত হন। এই নালার মাধ্যমেই তাঁরা তাদের খেজুর বাগানগুলোতে পানি-সেচ করতেন। আনসারী বললেনঃ আপনি পানি আনতে নালা পথটি ছেড়ে দিন। যুবাইর (রাযিঃ) তা করতে অস্বীকার করলেন। উভয়েই বিষয়টি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কাছে উল্লেখ করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যুবাইর (রাযিঃ)-কে বললেনঃ হে যুবাইর! তোমার বাগানে পানি সেচ করে তোমার প্রতিবেশীর জন্য পানি ছেড়ে দিও।
আনসারী ব্যক্তিটি এতে রাগান্বিত হয়ে বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! (যুবাইর) আপনার ফুফাত ভাই বলেই (এই ফায়সালা দিলেন)। এতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর চেহারা পরিবর্তিত হয়ে গেল। তিনি বললেনঃ হে যুবাইর! তুমি তোমার বাগানে পানি সেচ কর। এরপর আলগুলো পর্যন্ত পানি ভরাট না হওয়া পর্যন্ত তা ফিরিয়ে রাখবে।
যুবাইর (রাযিঃ) বলেনঃ আমার মনে হয় উক্ত বিষয়েই এই আয়াত নাযিল হয়ঃ
فَلاَ وَرَبِّكَ لاَ يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ
কিন্তু না, তোমার রবের কসম, তারা ততক্ষণ মু’মিন হতে পারবে না যতক্ষণ তারা তাদের নিজেদের বিবাদ-বিসম্বাদের বিচার ভার আপনার উপর অর্পন না করে ...... আয়াতের শেষ পর্যন্ত (৪ঃ ৬৫)। সহীহ বুখারি, মুসলিম
মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেনঃ ইবনে ওয়াহব (রাহঃ) আব্দুল্লাহ্ ইবনুয যুবাইর (রাযিঃ) সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত আছে। শুআয়ব ইবনে আবু হামযা (রাহঃ) এটি যুহরী ......... উরওয়া ইবনুয যুবাইর (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এতে আব্দুল্লাহ্ ইবনুয যুবাইর (রাযিঃ)-এর উল্লেখ নেই।
আনসারী ব্যক্তিটি এতে রাগান্বিত হয়ে বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! (যুবাইর) আপনার ফুফাত ভাই বলেই (এই ফায়সালা দিলেন)। এতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর চেহারা পরিবর্তিত হয়ে গেল। তিনি বললেনঃ হে যুবাইর! তুমি তোমার বাগানে পানি সেচ কর। এরপর আলগুলো পর্যন্ত পানি ভরাট না হওয়া পর্যন্ত তা ফিরিয়ে রাখবে।
যুবাইর (রাযিঃ) বলেনঃ আমার মনে হয় উক্ত বিষয়েই এই আয়াত নাযিল হয়ঃ
فَلاَ وَرَبِّكَ لاَ يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ
কিন্তু না, তোমার রবের কসম, তারা ততক্ষণ মু’মিন হতে পারবে না যতক্ষণ তারা তাদের নিজেদের বিবাদ-বিসম্বাদের বিচার ভার আপনার উপর অর্পন না করে ...... আয়াতের শেষ পর্যন্ত (৪ঃ ৬৫)। সহীহ বুখারি, মুসলিম
মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেনঃ ইবনে ওয়াহব (রাহঃ) আব্দুল্লাহ্ ইবনুয যুবাইর (রাযিঃ) সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত আছে। শুআয়ব ইবনে আবু হামযা (রাহঃ) এটি যুহরী ......... উরওয়া ইবনুয যুবাইর (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এতে আব্দুল্লাহ্ ইবনুয যুবাইর (রাযিঃ)-এর উল্লেখ নেই।
أبواب تفسير القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ حَدَّثَهُ أَنَّ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ خَاصَمَ الزُّبَيْرَ فِي شِرَاجِ الْحَرَّةِ الَّتِي يَسْقُونَ بِهَا النَّخْلَ . فَقَالَ الأَنْصَارِيُّ سَرِّحِ الْمَاءَ يَمُرُّ فَأَبَى عَلَيْهِ فَاخْتَصَمُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِلزُّبَيْرِ " اسْقِ يَا زُبَيْرُ وَأَرْسِلِ الْمَاءَ إِلَى جَارِكَ " . فَغَضِبَ الأَنْصَارِيُّ وَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْ كَانَ ابْنَ عَمَّتِكَ . فَتَغَيَّرَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ " يَا زُبَيْرُ اسْقِ وَاحْبِسِ الْمَاءَ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَى الْجَدْرِ " . فَقَالَ الزُّبَيْرُ وَاللَّهِ إِنِّي لأَحْسِبُ هَذِهِ الآيَةَ نَزَلَتْ فِي ذَلِك : (فَلاَ وَرَبِّكَ لاَ يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ ) الآيَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى سَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَقُولُ قَدْ رَوَى ابْنُ وَهْبٍ هَذَا الْحَدِيثِ عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ وَيُونُسَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ . وَرَوَى شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنِ الزُّبَيْرِ وَلَمْ يَذْكُرْ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ .