আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং: ২৯৮১
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৮১
সূরা আল-বাকারা
২৯৮১. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ...... মা’কিল ইবনে ইয়াসার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি তাঁর ভগ্নিকে জনৈক মুসলমান ব্যক্তির কাছে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর যুগে বিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি তার কাছে যতদিন জীবন যাপন করার করলেন। পরে তার স্বামী তাকে এক তালাক দিয়ে দেয়। ইদ্দত শেষ হওয়া পর্যন্ত তিনি তাকে রাজআত করলেন না। কিন্তু এরপর স্বামীও তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়লেন আর তার স্ত্রীও স্বামীর দিকে আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। তাই অন্যান্য প্রস্তাব দানকারীদের মধ্যে তিনিও তাকে আবার বিয়ের প্রস্তাব দিলেন। তখন ভাই মা’কিল (রাযিঃ) তাকে বললেনঃ হে ইতর, এই মহিলার মাধ্যমে তোমাকে আমি সম্মান দিয়েছিলাম। তাকে তোমার কাছে বিয়ে দিলাম। কিন্তু তুমি তাকে তালাক দিয়ে দিলে। আল্লাহর কসম! তুমি আর কখনও তাকে তোমার কাছে ফিরিয়ে নিতে পারবে না। এ-ই তোমার সাথে সম্পর্ক শেষ।
রাবী বলেন, কিন্তু আল্লাহ্ তাআলা জানতেন এই স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর টানের কথা এবং এই স্বামীর প্রতি ঐ মহিলার টানের কথা। তখন আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করলেনঃ
وَإِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ إِلَى قَوْلِهِ : وَأَنْتُمْ لاَ تَعْلَمُونَ
‘তোমরা যখন স্ত্রীদের তালাক দাও এবং তারা তাদের ইদ্দতকাল পূর্ণ করে। তারা যদি বিধিমত পরস্পর সম্মত হয় তবে এই স্ত্রীরা নিজেদের (পূর্ব) স্বামীদের বিয়ে করতে চাইলে তোমরা তাদের বাধা দিবে না। এ দ্বারা তাদের উপদেশ প্রদান করা হচ্ছে তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ্ ও আখিরাত দিবসের উপর ঈমান রাখে। এই তোমাদের জন্য শুদ্ধতম ও পবিত্র বিষয়। আল্লাহ্ জানেন, তোমরা জান না।’ (২ঃ ২৩২)
মা’কিল (রাযিঃ) এই আয়াত শোনার পর বললেনঃ আমার পরওয়ারদিগারের আদেশ আমি শুনেছি এবং তা শিরোধার্য করে নিচ্ছি। এরপর তিনি উক্ত ভগ্নিপতিকে ডেকে আনলেন এবং বললেনঃ তোমরা কাছে আমি (আমার বোনকে পুনরায়) বিয়ে দিচ্ছি আর আমি তোমার সম্মান রক্ষা করছি।
হাদীসটি হাসান-সহীহ। হাসান (রাহঃ) থেকে এটি একাধিক সূত্রে বর্ণিত আছে।
হাদীসটি এই কথার প্রমাণ করে যে, ওলী ছাড়া নিকাহ জায়েয নয়। কেননা, মা’কিল ইবনে ইয়াসার (রাযিঃ)-এর ভগ্নি বিবাহিতা ছিলেন। বিবাহের বিষয়টি যদি ওলী ছাড়া তাঁর ক্ষমতাধীন থাকত, তবে তিনি নিজেই বিয়ে বসতে পারতেন। তাঁর ওলী মা’কিল ইবনে ইয়াসার (রাযিঃ)-এর তিনি মুখাপেক্ষী হতেন না। দ্বিতীয়ত আল্লাহ্ তাআলা এই আয়াতে ওলীদেরকেই সম্বোন করে বলেছেনঃ (لَا تَعْضُلُوهُنَّ أَنْ يَنْكِحْنَ أَزْوَاجَهُنَّ) তোমরা বাধা দিবে না তাদেরকে নিজেদের স্বামীদের বিয়ে করতে। আবু দাউদ, বুখারি
রাবী বলেন, কিন্তু আল্লাহ্ তাআলা জানতেন এই স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর টানের কথা এবং এই স্বামীর প্রতি ঐ মহিলার টানের কথা। তখন আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করলেনঃ
وَإِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ إِلَى قَوْلِهِ : وَأَنْتُمْ لاَ تَعْلَمُونَ
‘তোমরা যখন স্ত্রীদের তালাক দাও এবং তারা তাদের ইদ্দতকাল পূর্ণ করে। তারা যদি বিধিমত পরস্পর সম্মত হয় তবে এই স্ত্রীরা নিজেদের (পূর্ব) স্বামীদের বিয়ে করতে চাইলে তোমরা তাদের বাধা দিবে না। এ দ্বারা তাদের উপদেশ প্রদান করা হচ্ছে তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ্ ও আখিরাত দিবসের উপর ঈমান রাখে। এই তোমাদের জন্য শুদ্ধতম ও পবিত্র বিষয়। আল্লাহ্ জানেন, তোমরা জান না।’ (২ঃ ২৩২)
মা’কিল (রাযিঃ) এই আয়াত শোনার পর বললেনঃ আমার পরওয়ারদিগারের আদেশ আমি শুনেছি এবং তা শিরোধার্য করে নিচ্ছি। এরপর তিনি উক্ত ভগ্নিপতিকে ডেকে আনলেন এবং বললেনঃ তোমরা কাছে আমি (আমার বোনকে পুনরায়) বিয়ে দিচ্ছি আর আমি তোমার সম্মান রক্ষা করছি।
হাদীসটি হাসান-সহীহ। হাসান (রাহঃ) থেকে এটি একাধিক সূত্রে বর্ণিত আছে।
হাদীসটি এই কথার প্রমাণ করে যে, ওলী ছাড়া নিকাহ জায়েয নয়। কেননা, মা’কিল ইবনে ইয়াসার (রাযিঃ)-এর ভগ্নি বিবাহিতা ছিলেন। বিবাহের বিষয়টি যদি ওলী ছাড়া তাঁর ক্ষমতাধীন থাকত, তবে তিনি নিজেই বিয়ে বসতে পারতেন। তাঁর ওলী মা’কিল ইবনে ইয়াসার (রাযিঃ)-এর তিনি মুখাপেক্ষী হতেন না। দ্বিতীয়ত আল্লাহ্ তাআলা এই আয়াতে ওলীদেরকেই সম্বোন করে বলেছেনঃ (لَا تَعْضُلُوهُنَّ أَنْ يَنْكِحْنَ أَزْوَاجَهُنَّ) তোমরা বাধা দিবে না তাদেরকে নিজেদের স্বামীদের বিয়ে করতে। আবু দাউদ, বুখারি
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ البَقَرَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنِ الْمُبَارَكِ بْنِ فَضَالَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّهُ زَوَّجَ أُخْتَهُ رَجُلاً مِنَ الْمُسْلِمِينَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَانَتْ عِنْدَهُ مَا كَانَتْ ثُمَّ طَلَّقَهَا تَطْلِيقَةً لَمْ يُرَاجِعْهَا حَتَّى انْقَضَتِ الْعِدَّةُ فَهَوِيَهَا وَهَوِيَتْهُ ثُمَّ خَطَبَهَا مَعَ الْخُطَّابِ فَقَالَ لَهُ يَا لُكَعُ أَكْرَمْتُكَ بِهَا وَزَوَّجْتُكَهَا فَطَلَّقْتَهَا وَاللَّهِ لاَ تَرْجِعُ إِلَيْكَ أَبَدًا آخِرُ مَا عَلَيْكَ قَالَ فَعَلِمَ اللَّهُ حَاجَتَهُ إِلَيْهَا وَحَاجَتَهَا إِلَى بَعْلِهَا فَأَنْزَلَ اللَّهُ ( وَإِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ ) إِلَى قَوْلِهِ :( وَأَنْتُمْ لاَ تَعْلَمُونَ ) فَلَمَّا سَمِعَهَا مَعْقِلٌ قَالَ سَمْعًا لِرَبِّي وَطَاعَةً ثُمَّ دَعَاهُ فَقَالَ أُزَوِّجُكَ وَأُكْرِمُكَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ الْحَسَنِ . وَفِي هَذَا الْحَدِيثِ دَلاَلَةٌ عَلَى أَنَّهُ لاَ يَجُوزُ النِّكَاحُ بِغَيْرِ وَلِيٍّ لأَنَّ أُخْتَ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ كَانَتْ ثَيِّبًا فَلَوْ كَانَ الأَمْرُ إِلَيْهَا دُونَ وَلِيِّهَا لَزَوَّجَتْ نَفْسَهَا وَلَمْ تَحْتَجْ إِلَى وَلِيِّهَا مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ وَإِنَّمَا خَاطَبَ اللَّهُ فِي الآيَةِ الأَوْلِيَاءَ فَقَالَ : (ولَا تَعْضُلُوهُنَّ أَنْ يَنْكِحْنَ أَزْوَاجَهُنَّ ) فَفِي هَذِهِ الآيَةِ دَلاَلَةٌ عَلَى أَنَّ الأَمْرَ إِلَى الأَوْلِيَاءِ فِي التَّزْوِيجِ مَعَ رِضَاهُنَّ .


বর্ণনাকারী: