আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং: ২৯৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৬৫
সূরা আল-বাকারা
২৯৬৫. ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ...... উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আয়িশা (রাযিঃ)-কে বললাম, যে ব্যক্তি সাফা ও মারওয়ার মধ্যে তওয়াফ (সাঈ) করল না এতে আমি কোন দোষ মনে করি না, এবং এ দুটির মাঝে তাওয়াফ না করাতে আমি কোন পরোয়া করি না।
তিনি বললেনঃ হে আমার ভাগণে, তুমি অত্যন্ত মন্দ কথা বলেছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিজেও তওয়াফ করেছেন এবং মুসলিমরাও তওয়াফ করেছেন। মুশাল্লাল নামক স্থানে অবস্থিত মানাত মূর্তির নামের যে সকল কাফির ইহরাম বাঁধত, তারা সাফা ও মারওয়ার মধ্যে তওয়াফ করত না। তখন আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করেনঃ
فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا
″যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহর হজ্জ করে বা উমরা করে এতদুভয়ের তওয়াফ করায় কোন দোষ নেই″ (২ঃ ১৫৮)। তুমি যা বলছ তা যদি হত তবে তিনি বলতেনঃ এতদুভয়ের তওয়াফ না করাতে কোন দোষ নেই।
যুহরী (রাহঃ) বলেনঃ আমি আবু বকর ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে হারিছ ইবনে হিশাম (রাহঃ) এর কাছে এই কথাটির উল্লেখ করলাম। তিনি এতে খুবই আশ্চার্যাম্বিত হলেন। বললেনঃ এই হল ইলম। আমি বহু আলিমকে বলতে শুনেছি যে, যে সব আরব সাফা-মারওয়া-এর তওয়াফ করত না তারা বলত এ দুটো পাথরের মাঝে তওয়াফ করা হল জাহিলী যুগের বিষয়। আনসারদের একদল বলতঃ আমাদের তো বায়তুল্লাহ্ তওয়াফের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাফা ও মারওয়ার মাঝে তো তওয়াফের (সাঈর) নির্দেশ আমাদের দেওয়া হয় নি। তখন আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করলেনঃ
إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ
সাফা ও মারওয়া হল তো আল্লাহর বিশেষ নিদর্শনাবলীর অন্যতম (২ঃ ১৫৮)।
আবু বকর ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) বলেনঃ আমার মনে হয় এদের এবং ওদের উভয় দলের ব্যাপারেই আয়াতটি নাযিল হয়েছে। ইবনে মাজাহ, বুখারি, মুসলিম
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।
তিনি বললেনঃ হে আমার ভাগণে, তুমি অত্যন্ত মন্দ কথা বলেছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিজেও তওয়াফ করেছেন এবং মুসলিমরাও তওয়াফ করেছেন। মুশাল্লাল নামক স্থানে অবস্থিত মানাত মূর্তির নামের যে সকল কাফির ইহরাম বাঁধত, তারা সাফা ও মারওয়ার মধ্যে তওয়াফ করত না। তখন আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করেনঃ
فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا
″যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহর হজ্জ করে বা উমরা করে এতদুভয়ের তওয়াফ করায় কোন দোষ নেই″ (২ঃ ১৫৮)। তুমি যা বলছ তা যদি হত তবে তিনি বলতেনঃ এতদুভয়ের তওয়াফ না করাতে কোন দোষ নেই।
যুহরী (রাহঃ) বলেনঃ আমি আবু বকর ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে হারিছ ইবনে হিশাম (রাহঃ) এর কাছে এই কথাটির উল্লেখ করলাম। তিনি এতে খুবই আশ্চার্যাম্বিত হলেন। বললেনঃ এই হল ইলম। আমি বহু আলিমকে বলতে শুনেছি যে, যে সব আরব সাফা-মারওয়া-এর তওয়াফ করত না তারা বলত এ দুটো পাথরের মাঝে তওয়াফ করা হল জাহিলী যুগের বিষয়। আনসারদের একদল বলতঃ আমাদের তো বায়তুল্লাহ্ তওয়াফের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাফা ও মারওয়ার মাঝে তো তওয়াফের (সাঈর) নির্দেশ আমাদের দেওয়া হয় নি। তখন আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করলেনঃ
إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ
সাফা ও মারওয়া হল তো আল্লাহর বিশেষ নিদর্শনাবলীর অন্যতম (২ঃ ১৫৮)।
আবু বকর ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) বলেনঃ আমার মনে হয় এদের এবং ওদের উভয় দলের ব্যাপারেই আয়াতটি নাযিল হয়েছে। ইবনে মাজাহ, বুখারি, মুসলিম
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ البَقَرَةِ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ سَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ، يُحَدِّثُ عَنْ عُرْوَةَ، قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ مَا أَرَى عَلَى أَحَدٍ لَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ شَيْئًا وَمَا أُبَالِي أَنْ لاَ أَطَّوَّفَ بَيْنَهُمَا . فَقَالَتْ بِئْسَمَا قُلْتَ يَا ابْنَ أُخْتِي طَافَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَطَافَ الْمُسْلِمُونَ وَإِنَّمَا كَانَ مَنْ أَهَلَّ لِمَنَاةَ الطَّاغِيَةِ الَّتِي بِالْمُشَلَّلِ لاَ يَطُوفُونَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ : (فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا ) وَلَوْ كَانَتْ كَمَا تَقُولُ لَكَانَتْ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لاَ يَطَّوَّفَ بِهِمَا قَالَ الزُّهْرِيُّ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لأَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ فَأَعْجَبَهُ ذَلِكَ وَقَالَ إِنَّ هَذَا لَعِلْمٌ وَلَقَدْ سَمِعْتُ رِجَالاً مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ يَقُولُونَ إِنَّمَا كَانَ مَنْ لاَ يَطَّوَّفُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ مِنَ الْعَرَبِ يَقُولُونَ إِنَّ طَوَافَنَا بَيْنَ هَذَيْنِ الْحَجَرَيْنِ مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ وَقَالَ آخَرُونَ مِنَ الأَنْصَارِ إِنَّمَا أُمِرْنَا بِالطَّوَافِ بِالْبَيْتِ وَلَمْ نُؤْمَرْ بِهِ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى (إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ ) قَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَأُرَاهَا قَدْ نَزَلَتْ فِي هَؤُلاَءِ وَهَؤُلاَءِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
