আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

৩৯. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত জাহান্নামের বিবরণ

হাদীস নং: ২৫৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৮৬
জাহান্নামীদের খাদ্য।
২৫৮৭. আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) ....... আবুদ দারদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বরেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ জাহান্নামবাসীদের উপর ক্ষুধা চাপিয়ে দেওয়া হবে। তারা যে আযাবে ছিল ক্ষুধাও এর বরাবর (আযাব) হয়ে দাঁড়াবে। তারা কাতর হয়ে (আল্লাহর কাছে) ফরিয়াদ করতে থাকবে। তখন দারী’ (কণ্টকাকীর্ণ একজাতীয় বিষাক্ত গুল্ম) খাদ্য দিয়ে তাদের এই ফরিয়াদের জওয়াব দেওয়া হবে। যা তাদেরকে পুষ্টও করবে না এবং তাদের ক্ষুধাও নিবারণ করবে না। আবার তারা ফরিয়াদ করবে। অনন্তর তাদেরকে এমন খাদ্য দেওয়া হবে যা গলায় আটকে যাবে। তখন তারা দুনিয়াতে পানি খেয়ে গলার আটকা দূর করার কথা স্মরণ করবে। তাই তারা পানির জন্য ফরিয়াদ করবে। লোহার আঁকশী দিয়ে তাদের ফুটন্ত পানি দেওয়া হবে। তাদের মুখের নিকটবর্তী হওয়া মাত্র তা তাদের চেহারা দগ্ধ করে ফেলবে। পেটে প্রবিষ্ট হওয়া মাত্র পেটে নাড়ি-ভুঁড়ি যা কিছু আছে সব গলিয়ে ছিন্ন-ভিন্ন করে ফেলবে। তারা বলবে, (নিজেরা নিজেরা) যাও জাহান্নামের তত্ত্বাবধায়কদেরকে ডাক। জাহান্নামের তত্ত্বাবধায়কগণ বলবেনঃ তোমাদের কাছে কি সুস্পষ্ট প্রমাণসহ রাসূলগণের আগমন হয়নি?

তারা বলবেঃ অবশ্যই হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়কগণ বলবেনঃ ডাকতে থাক, কাফিরদের ডাক তো নিষ্ফল হওয়া ব্যতিরেকে কিছুই নয়। নবী (ﷺ) বলেন, তারা (নিজেরা নিজেরা) বলবে যাও (জাহান্নামের প্রধান রক্ষক) মালিককে ডাক। তারা বলবেঃ হে মালিক, তোমার প্রভু যেন আমাদের মওত দিয়ে দেয়।

নবী (ﷺ) বলেনঃ তখন তাদের জওয়াব দেওয়া হবেঃ না, এখানেই তোমাদের অবস্থান করতে হবে। আ’মাশ (রাহঃ) বলেন, আমি অবহিত হয়েছি যে তাদের এই ডাক ও মালিকের জওয়াব প্রদানের মাঝে হবে এক হাজার বছরের ব্যবধান।

এরপর তারা (পরস্পর) বলবেঃ চল, তোমাদের পরওয়ারদিগারকে ডাক। যেহেতু তোমাদের পরওয়ারদিগারের চেয়ে উত্তম কেউ নেই। তারা বলবেঃ আমাদের দুর্ভাগ্য আমাদের উপর প্রবল হয়ে গেছে। আমরা তো ছিলাম পথভ্রষ্ট সম্প্রদায়। হে পরওয়ারদিগার, এখান থেকে আমাদের বের করে নিন। আমরা যদি পুনরায় নাফরমানী করি তবে অবশ্যই আমরা জালিম হব। তাদের জওয়াব দেওয়া হবেঃ এখানেই তোমরা লাঞ্ছনার মধ্যে বসবাস করবে, কোন কথা বলবে না। তখন থেকেই এরা সব কল্যাণের আশা থেকে নিরাশ হয়ে যাবে। আর তারা এই ধ্বংসের কারণে আফসোস সহকারে গাধার ন্যায় চিৎকার দিতে থাকবে।

আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) বলেনঃ বর্ণনাকারীগণ হাদীসটি মারফু’ রূপে বর্ণনা করেননি। হাদীসটি আ’মাশ-শিমর ইবনে আতিয়্যা-শাহর ইবনে হাওশাব-উম্মুদ দারদা-আবুদ দারদা (রাযিঃ) সূত্রে তাঁর উক্তি হিসাবে বর্ণিত হয়েছে। এটি মারফূ’ নয়। হাদীস বিশেষজ্ঞগণের মতে কুতবা ইবনে আব্দুল-আযীয ছিকাহ বা নির্ভরযোগ্য রাবী।
بَابُ مَا جَاءَ فِي صِفَةِ طَعَامِ أَهْلِ النَّارِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا عَاصِمُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا قُطْبَةُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شِمْرِ بْنِ عَطِيَّةَ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يُلْقَى عَلَى أَهْلِ النَّارِ الْجُوعُ فَيَعْدِلُ مَا هُمْ فِيهِ مِنَ الْعَذَابِ فَيَسْتَغِيثُونَ فَيُغَاثُونَ بِطَعَامٍ مِنْ ضَرِيعٍ لاَ يُسْمِنُ وَلاَ يُغْنِي مِنْ جُوعٍ فَيَسْتَغِيثُونَ بِالطَّعَامِ فَيُغَاثُونَ بِطَعَامٍ ذِي غُصَّةٍ فَيَذْكُرُونَ أَنَّهُمْ كَانُوا يُجِيزُونَ الْغُصَصَ فِي الدُّنْيَا بِالشَّرَابِ فَيَسْتَغِيثُونَ بِالشَّرَابِ فَيُرْفَعُ إِلَيْهِمُ الْحَمِيمُ بِكَلاَلِيبِ الْحَدِيدِ فَإِذَا دَنَتْ مِنْ وُجُوهِهِمْ شَوَتْ وُجُوهَهُمْ فَإِذَا دَخَلَتْ بُطُونَهُمْ قَطَّعَتْ مَا فِي بُطُونِهِمْ فَيَقُولُونَ ادْعُوا خَزَنَةَ جَهَنَّمَ فَيَقُولُونَ أَلَمْ تَكُ تَأْتِيكُمْ رُسُلُكُمْ بِالْبَيِّنَاتِ قَالُوا بَلَى . قَالُوا فَادْعُوا وَمَا دُعَاءُ الْكَافِرِينَ إِلاَّ فِي ضَلاَلٍ . قَالَ فَيَقُولُونَ ادْعُوا مَالِكًا فَيَقُولُونَ: (يَا مَالِكُ لِيَقْضِ عَلَيْنَا رَبُّكَ ) قَالَ فَيُجِيبُهُمْ: (إِنَّكُمْ مَاكِثُونَ ) " . قَالَ الأَعْمَشُ نُبِّئْتُ أَنَّ بَيْنَ دُعَائِهِمْ وَبَيْنَ إِجَابَةِ مَالِكٍ إِيَّاهُمْ أَلْفَ عَامٍ . قَالَ " فَيَقُولُونَ ادْعُوا رَبَّكُمْ فَلاَ أَحَدَ خَيْرٌ مِنْ رَبِّكُمْ فَيَقُولُونَ: (رَبَّنَا غَلَبَتْ عَلَيْنَا شِقْوَتُنَا وَكُنَّا قَوْمًا ضَالِّينَ * رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْهَا فَإِنْ عُدْنَا فَإِنَّا ظَالِمُونَ ) قَالَ فَيُجِيبُهُمْ: (اخْسَؤُوا فِيهَا وَلاَ تُكَلِّمُونِ ) قَالَ فَعِنْدَ ذَلِكَ يَئِسُوا مِنْ كُلِّ خَيْرٍ وَعِنْدَ ذَلِكَ يَأْخُذُونَ فِي الزَّفِيرِ وَالْحَسْرَةِ وَالْوَيْلِ " . قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَالنَّاسُ لاَ يَرْفَعُونَ هَذَا الْحَدِيثَ . قَالَ أَبُو عِيسَى إِنَّمَا نَعْرِفُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ شِمْرِ بْنِ عَطِيَّةَ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَوْلَهُ وَلَيْسَ بِمَرْفُوعٍ . وَقُطْبَةُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ هُوَ ثِقَةٌ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ .
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
জামে' তিরমিযী - হাদীস নং ২৫৮৬ | মুসলিম বাংলা