আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৩৭. কিয়ামত-মৃত্যুপরবর্তী জগতের বিবরণ
হাদীস নং: ২৪৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৩৪
শাফাআত প্রসঙ্গে।
২৪৩৭. সুওয়ায়াদ ইবনে নসর (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লা্হ (ﷺ) এর কাছে একবার কিছু গোশত আনা হল। তাঁর কাছে একটি সামনের রান তুলে ধরা হল। তিনি তা খেতে লাগলেন। সামনের গোশত তাঁর পছন্দনীয় ছিল। তিনি তা থেকে এক কামড় খেলেন। পরে বললেনঃ কিয়ামতের দিন আমিই হলাম সকল মানুষের সর্দার। তোমরা কি জান তা কেন? শুরুর এবং শেষের সব মানুষকে আল্লাহ তাআলা একই মাঠে একত্রিত করবেন। একজনের ডাকই সকলের শ্রুত হবে এবং একজনের দৃষ্টিতেই সকলের পরিলক্ষিত হবে। সূর্য তাদের নিকটবর্তী হয়ে যাবে। এমন উদ্বেগ-পেরেশানী ও কষ্ট লোকদের হবে যা তাদের সহ্য হবে না এবং যা তারা বইতেও পারবে না। লোকদের একজন আরেকজনকে বলবে তোমাদের কি যাতনা পৌছছে লক্ষ্য করছ না? এমন কাউকে দেখছ না যিনি তোমাদের প্রভুর কাছে তোমাদের জন্য সুপারিশ করবেন।
লোকেরা পরস্পর পরস্পরকে বলবেঃ চল, আদম (আলাইহিস সালাম)-কে গিয়ে ধর। তারা আদম (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে আসবে। বলবে, আপনি মানবকূলের আদি পিতা। আল্লাহ আপনাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন, আপনার মাঝে রূহ ফুঁকেছেন, ফিরিশতাদেরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তাই তারা আপনার সিজদা করেছিল। আপনি আমাদের জন্য আপনার প্রভুর দরবারে সুপারিশ করুন। আপনি কি লক্ষ্য করছেন না আমরা কি অবস্থায় আছি? আপনি কি দেখছেন না কষ্টের কোন সীমায় আমরা পৌছেছি?
আদম (আলাইহিস সালাম) তাদের বলবেনঃ আমার পরওয়ারদিগার তো আজ এমন ক্রোধান্বিত যে পূর্বেও কখনো এমন ক্রোধান্বিত হয়নি ভবিষ্যতেও কখনো এমন ক্রোধান্বিত হবেন না। তিনি তো আমাকে একটি বৃক্ষ সম্পর্কে নিষেধ করেছিলেন কিন্তু আমি তা লংঘন করে ফেলেছি, নফসী, নফসী, নফসী-আজ আমার চিন্তাই আমি পেরেশান। তোমরা অন্য কারো নিকট যাও, তোমরা নূহের কাছে যাও।
তারা নূহ (আলাইহিস সালাম) এর নিকট আসবে। বলবেঃ হে নূহ, আপনি পৃথিবীর প্রথম রাসূল। আল্লাহ আপনাকে ’আবদান শাকুরা’’ চিরকৃতজ্ঞ বান্দা বলে উপাধি দিয়েছেন। আপনার পরওয়ারদিগারের নিকট আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। দেখছেন না আমরা কি অবস্থায় আছি? আমরা কষ্টের কোন সীমায় পৌছেছি?
নূহ (আলাইহিস সালাম) তাদের বলবেনঃ আমার পরওয়ারদিগার তো আজ এমন ক্রোধান্বিত যে পূর্বেও কখনো এমন ক্রোধান্বিত হয়নি ভবিষ্যতেও এমন ক্রোধান্বিত আর কখনো হবেন না। তিনি আমাকে একটি দুআ কবুলের প্রতিশ্রুত দিয়েছিলেন। তা আমি আমার কওমের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করে ফেলেছি। নফসী, নফসী, নফসী আজ আমার চিন্তায়ই আমি পেরেশান। তোমরা অন্য কারো নিকট যাও, তোমরা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে যাও।
তারা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে আসবে। বলবেঃ হে ইবরাহীম, আপনি আল্লাহর নবী, পৃথিবীবাসীদের মধ্যে আপনি আল্লাহর খলীল ও অন্তরং্গ বন্ধু। আপনার পরওয়ারদিগারের নিকট আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। দেখছেন না আমরা কি অবস্থায় আছি? আমরা কষ্টের কোন সীমায় পৌছেছি?
ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) তাদের বলবেনঃ আমার পরওয়ারদিগার আজ এত ক্রোধান্বিত অবস্থায় আছেন যে আগেও এমন ক্রোধান্বিত কখনও হন নাই আর পরেও কখনও এমন ক্রোধান্বিত হবেন না। আমার পক্ষ থেকে তিনটি (বাহ্যিক) অসত্য কথন হয়ে গিয়েছিলেন। নফসী, নফসী, নফসী আজ আমার চিন্তায়ই আমি পেরেশান। তোমরা অন্য কারো নিকট যাও, তোমরা মুসার কাছে যাও।
তারা মুসা (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে আসবে। বলবেঃ হে মুসা, আপনি আল্লাহর রাসূল, তিনি আপনাকে তাঁর রিসালাত ও কালাম প্রদান করে মানুষের উপর মর্যাদা দিয়েছেন। আপনার পরওয়ারদিগারের নিকট আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। দেখছেন না আমরা কি অবস্থায় আছি? আমরা কষ্টের কোন সীমায় পৌছেছি?
মুসা (আলাইহিস সালাম) বলবেনঃ আমার পরওয়ারদিগার আজ এত ক্রেধান্বিত অবস্থায় আছেন যে আগেও এমন ক্রোধান্বিত কখনও হন নাই আর পরেও কখনও এমন ক্রোধান্বিত হবেন না। আমি তাঁর হুকুম ছাড়াই এক ব্যক্তিকে কতল করে ফেলেছিলাম; নফসী, নফসী, নফসী আজ আমার চিন্তায়ই আমি পেরেশান। তোমরা অন্য কারো নিকট যাও, তোমরা ঈসার নিকট যাও।
এরপর তারা ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর নিকট আসবে; বলবেঃ হে ঈসা, আপনি আল্লাহর রাসূল, আপনি আল্লাহর দেওয়া বাণী যা তিনি মারইয়াম (আলাইহিস সালাম)-এর গর্ভে ফেলেছেন; আপনি তাঁর দেওয়া আত্মা, দোলনায় অবস্থানকালেই আপনি মানুষের সাথে বাক্যলাপ করেছেন। আপনি আপনার পরওয়ারদিগারের নিকট আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। দেখছেন না আমরা কি অবস্থায় আছি? আমরা কষ্টের কোন সীমায় পৌছেছি?
ঈসা (আলাইহিস সালাম) বলবেনঃ আজ আমার পরওয়ারদিগার এত ক্রেধান্বিত অবস্থায় আছেন যে, এরূপ ক্রোধান্বিত পূর্বে কখনও ছিলেন না এমন ক্রোধান্বিত কখনও হবেন না। উল্লেখ্য যে, ঈসা (আলাইহিস সালাম) এখানে নিজের কোন অপরাধের কথা উল্লেখ করবেন না। নফসী, নফসী, নফসী আজ আমার চিন্তায় আমি পেরেশান। তোমরা অন্য কারো কাছে যাও, তোমরা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে যাও।
তখন তারা মুহাম্মাদ (ﷺ) এর কাছে আসবে। বলবেঃ হে মুহাম্মাদ, আপনি আল্লাহর রাসূল, শেষ নবী, মাফ করে দেওয়া হয়েছে আপনার পূর্বেকার সব ত্রুটি। আপনি আপনার পরওয়ারদিগারের নিকট আমাদের জন্য শাফাআত করুন। আপনি কি দেখছেন না আমরা কোন অবস্থায় আছি?
এরপর (আমি সুপারিশ করার জন্য) যাব এবং আরশের নীচে এসে আমার পরওয়ারদিগারের উদ্দেশ্যে সিজদাবনত হব। আল্লাহ তাআলা আমার জন্য তাঁর হামদ ও সর্বোত্তম প্রশংসার এমন কিছু উদ্ভাসিত করে দিবেন যা আমার পূর্বে আর কারো জন্য উদ্ভাসিত করা হয়নি। অতঃপর বলা হবেঃ হে মুহাম্মাদ, আপনার মাথা উত্তোলন করুন। প্রার্থনা করুন আপনার প্রার্থনা কবূর করা হবে, শাফাআত করুন, আপনার শাফাআত গ্রহণ করা হবে।
অনন্তর আমি মাথা তুলব। বলবঃ হে পরওয়ারদিগার, আমার উম্মতকে রক্ষা করুন।
আল্লাহ বলবেনঃ হে মুহাম্মাদ, আপনার উম্মতের মধ্যে যাদের কোন হিসাব নাই তাদেরকে জান্নাতের দরওয়াজা ডানদিকের দরওয়াজা দিয়ে জান্নাতে দাখিল করে দিন। অবশ্য অন্যান্য দরওয়াজার ক্ষেত্রেও তারা অপরাপর লোকদের সঙ্গেও জান্নাতে দাখিল করতে পারবে। এরপর নবী (ﷺ) বলবেনঃ কসম সেই যাতের যাঁর হাতে আমার প্রাণ, জান্নাতের দুই চৌকাঠের মধ্যকার দুরত্ব মক্কা ও হাজারের দুরত্বের মত এবং মক্কা ও বুসরার দুরত্বের মত।
লোকেরা পরস্পর পরস্পরকে বলবেঃ চল, আদম (আলাইহিস সালাম)-কে গিয়ে ধর। তারা আদম (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে আসবে। বলবে, আপনি মানবকূলের আদি পিতা। আল্লাহ আপনাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন, আপনার মাঝে রূহ ফুঁকেছেন, ফিরিশতাদেরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তাই তারা আপনার সিজদা করেছিল। আপনি আমাদের জন্য আপনার প্রভুর দরবারে সুপারিশ করুন। আপনি কি লক্ষ্য করছেন না আমরা কি অবস্থায় আছি? আপনি কি দেখছেন না কষ্টের কোন সীমায় আমরা পৌছেছি?
আদম (আলাইহিস সালাম) তাদের বলবেনঃ আমার পরওয়ারদিগার তো আজ এমন ক্রোধান্বিত যে পূর্বেও কখনো এমন ক্রোধান্বিত হয়নি ভবিষ্যতেও কখনো এমন ক্রোধান্বিত হবেন না। তিনি তো আমাকে একটি বৃক্ষ সম্পর্কে নিষেধ করেছিলেন কিন্তু আমি তা লংঘন করে ফেলেছি, নফসী, নফসী, নফসী-আজ আমার চিন্তাই আমি পেরেশান। তোমরা অন্য কারো নিকট যাও, তোমরা নূহের কাছে যাও।
তারা নূহ (আলাইহিস সালাম) এর নিকট আসবে। বলবেঃ হে নূহ, আপনি পৃথিবীর প্রথম রাসূল। আল্লাহ আপনাকে ’আবদান শাকুরা’’ চিরকৃতজ্ঞ বান্দা বলে উপাধি দিয়েছেন। আপনার পরওয়ারদিগারের নিকট আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। দেখছেন না আমরা কি অবস্থায় আছি? আমরা কষ্টের কোন সীমায় পৌছেছি?
নূহ (আলাইহিস সালাম) তাদের বলবেনঃ আমার পরওয়ারদিগার তো আজ এমন ক্রোধান্বিত যে পূর্বেও কখনো এমন ক্রোধান্বিত হয়নি ভবিষ্যতেও এমন ক্রোধান্বিত আর কখনো হবেন না। তিনি আমাকে একটি দুআ কবুলের প্রতিশ্রুত দিয়েছিলেন। তা আমি আমার কওমের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করে ফেলেছি। নফসী, নফসী, নফসী আজ আমার চিন্তায়ই আমি পেরেশান। তোমরা অন্য কারো নিকট যাও, তোমরা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে যাও।
তারা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে আসবে। বলবেঃ হে ইবরাহীম, আপনি আল্লাহর নবী, পৃথিবীবাসীদের মধ্যে আপনি আল্লাহর খলীল ও অন্তরং্গ বন্ধু। আপনার পরওয়ারদিগারের নিকট আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। দেখছেন না আমরা কি অবস্থায় আছি? আমরা কষ্টের কোন সীমায় পৌছেছি?
ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) তাদের বলবেনঃ আমার পরওয়ারদিগার আজ এত ক্রোধান্বিত অবস্থায় আছেন যে আগেও এমন ক্রোধান্বিত কখনও হন নাই আর পরেও কখনও এমন ক্রোধান্বিত হবেন না। আমার পক্ষ থেকে তিনটি (বাহ্যিক) অসত্য কথন হয়ে গিয়েছিলেন। নফসী, নফসী, নফসী আজ আমার চিন্তায়ই আমি পেরেশান। তোমরা অন্য কারো নিকট যাও, তোমরা মুসার কাছে যাও।
তারা মুসা (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে আসবে। বলবেঃ হে মুসা, আপনি আল্লাহর রাসূল, তিনি আপনাকে তাঁর রিসালাত ও কালাম প্রদান করে মানুষের উপর মর্যাদা দিয়েছেন। আপনার পরওয়ারদিগারের নিকট আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। দেখছেন না আমরা কি অবস্থায় আছি? আমরা কষ্টের কোন সীমায় পৌছেছি?
মুসা (আলাইহিস সালাম) বলবেনঃ আমার পরওয়ারদিগার আজ এত ক্রেধান্বিত অবস্থায় আছেন যে আগেও এমন ক্রোধান্বিত কখনও হন নাই আর পরেও কখনও এমন ক্রোধান্বিত হবেন না। আমি তাঁর হুকুম ছাড়াই এক ব্যক্তিকে কতল করে ফেলেছিলাম; নফসী, নফসী, নফসী আজ আমার চিন্তায়ই আমি পেরেশান। তোমরা অন্য কারো নিকট যাও, তোমরা ঈসার নিকট যাও।
এরপর তারা ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর নিকট আসবে; বলবেঃ হে ঈসা, আপনি আল্লাহর রাসূল, আপনি আল্লাহর দেওয়া বাণী যা তিনি মারইয়াম (আলাইহিস সালাম)-এর গর্ভে ফেলেছেন; আপনি তাঁর দেওয়া আত্মা, দোলনায় অবস্থানকালেই আপনি মানুষের সাথে বাক্যলাপ করেছেন। আপনি আপনার পরওয়ারদিগারের নিকট আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। দেখছেন না আমরা কি অবস্থায় আছি? আমরা কষ্টের কোন সীমায় পৌছেছি?
ঈসা (আলাইহিস সালাম) বলবেনঃ আজ আমার পরওয়ারদিগার এত ক্রেধান্বিত অবস্থায় আছেন যে, এরূপ ক্রোধান্বিত পূর্বে কখনও ছিলেন না এমন ক্রোধান্বিত কখনও হবেন না। উল্লেখ্য যে, ঈসা (আলাইহিস সালাম) এখানে নিজের কোন অপরাধের কথা উল্লেখ করবেন না। নফসী, নফসী, নফসী আজ আমার চিন্তায় আমি পেরেশান। তোমরা অন্য কারো কাছে যাও, তোমরা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে যাও।
তখন তারা মুহাম্মাদ (ﷺ) এর কাছে আসবে। বলবেঃ হে মুহাম্মাদ, আপনি আল্লাহর রাসূল, শেষ নবী, মাফ করে দেওয়া হয়েছে আপনার পূর্বেকার সব ত্রুটি। আপনি আপনার পরওয়ারদিগারের নিকট আমাদের জন্য শাফাআত করুন। আপনি কি দেখছেন না আমরা কোন অবস্থায় আছি?
এরপর (আমি সুপারিশ করার জন্য) যাব এবং আরশের নীচে এসে আমার পরওয়ারদিগারের উদ্দেশ্যে সিজদাবনত হব। আল্লাহ তাআলা আমার জন্য তাঁর হামদ ও সর্বোত্তম প্রশংসার এমন কিছু উদ্ভাসিত করে দিবেন যা আমার পূর্বে আর কারো জন্য উদ্ভাসিত করা হয়নি। অতঃপর বলা হবেঃ হে মুহাম্মাদ, আপনার মাথা উত্তোলন করুন। প্রার্থনা করুন আপনার প্রার্থনা কবূর করা হবে, শাফাআত করুন, আপনার শাফাআত গ্রহণ করা হবে।
অনন্তর আমি মাথা তুলব। বলবঃ হে পরওয়ারদিগার, আমার উম্মতকে রক্ষা করুন।
আল্লাহ বলবেনঃ হে মুহাম্মাদ, আপনার উম্মতের মধ্যে যাদের কোন হিসাব নাই তাদেরকে জান্নাতের দরওয়াজা ডানদিকের দরওয়াজা দিয়ে জান্নাতে দাখিল করে দিন। অবশ্য অন্যান্য দরওয়াজার ক্ষেত্রেও তারা অপরাপর লোকদের সঙ্গেও জান্নাতে দাখিল করতে পারবে। এরপর নবী (ﷺ) বলবেনঃ কসম সেই যাতের যাঁর হাতে আমার প্রাণ, জান্নাতের দুই চৌকাঠের মধ্যকার দুরত্ব মক্কা ও হাজারের দুরত্বের মত এবং মক্কা ও বুসরার দুরত্বের মত।
بَابُ مَا جَاءَ فِي الشَّفَاعَةِ
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا أَبُو حَيَّانَ التَّيْمِيُّ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِلَحْمٍ فَرُفِعَ إِلَيْهِ الذِّرَاعُ فَأَكَلَهُ وَكَانَتْ تُعْجِبُهُ فَنَهَسَ مِنْهَا نَهْسَةً ثُمَّ قَالَ " أَنَا سَيِّدُ النَّاسِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ هَلْ تَدْرُونَ لِمَ ذَاكَ يَجْمَعُ اللَّهُ النَّاسَ الأَوَّلِينَ وَالآخِرِينَ فِي صَعِيدٍ وَاحِدٍ فَيُسْمِعُهُمُ الدَّاعِي وَيَنْفُذُهُمُ الْبَصَرُ وَتَدْنُو الشَّمْسُ مِنْهُمْ فَيَبْلُغُ النَّاسُ مِنَ الْغَمِّ وَالْكَرْبِ مَا لاَ يُطِيقُونَ وَلاَ يَحْتَمِلُونَ فَيَقُولُ النَّاسُ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ أَلاَ تَرَوْنَ مَا قَدْ بَلَغَكُمْ أَلاَ تَنْظُرُونَ مَنْ يَشْفَعُ لَكُمْ إِلَى رَبِّكُمْ فَيَقُولُ النَّاسُ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ عَلَيْكُمْ بِآدَمَ . فَيَأْتُونَ آدَمَ فَيَقُولُونَ أَنْتَ أَبُو الْبَشَرِ خَلَقَكَ اللَّهُ بِيَدِهِ وَنَفَخَ فِيكَ مِنْ رُوحِهِ وَأَمَرَ الْمَلاَئِكَةَ فَسَجَدُوا لَكَ اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ أَلاَ تَرَى مَا نَحْنُ فِيهِ أَلاَ تَرَى مَا قَدْ بَلَغَنَا فَيَقُولُ لَهُمْ آدَمُ إِنَّ رَبِّي قَدْ غَضِبَ الْيَوْمَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ وَلَنْ يَغْضَبَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ وَإِنَّهُ قَدْ نَهَانِي عَنِ الشَّجَرَةِ فَعَصَيْتُ نَفْسِي نَفْسِي نَفْسِي اذْهَبُوا إِلَى غَيْرِي اذْهَبُوا إِلَى نُوحٍ . فَيَأْتُونَ نُوحًا فَيَقُولُونَ يَا نُوحُ أَنْتَ أَوَّلُ الرُّسُلِ إِلَى أَهْلِ الأَرْضِ وَقَدْ سَمَّاكَ اللَّهُ عَبْدًا شَكُورًا اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ أَلاَ تَرَى مَا نَحْنُ فِيهِ أَلاَ تَرَى مَا قَدْ بَلَغَنَا فَيَقُولُ لَهُمْ نُوحٌ إِنَّ رَبِّي قَدْ غَضِبَ الْيَوْمَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ وَلَنْ يَغْضَبَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ وَإِنَّهُ قَدْ كَانَ لِي دَعْوَةٌ دَعَوْتُهَا عَلَى قَوْمِي نَفْسِي نَفْسِي نَفْسِي اذْهَبُوا إِلَى غَيْرِي اذْهَبُوا إِلَى إِبْرَاهِيمَ . فَيَأْتُونَ إِبْرَاهِيمَ فَيَقُولُونَ يَا إِبْرَاهِيمُ أَنْتَ نَبِيُّ اللَّهِ وَخَلِيلُهُ مِنْ أَهْلِ الأَرْضِ اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ أَلاَ تَرَى مَا نَحْنُ فِيهِ فَيَقُولُ إِنَّ رَبِّي قَدْ غَضِبَ الْيَوْمَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ وَلَنْ يَغْضَبَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ وَإِنِّي قَدْ كَذَبْتُ ثَلاَثَ كَذَبَاتٍ فَذَكَرَهُنَّ أَبُو حَيَّانَ فِي الْحَدِيثِ نَفْسِي نَفْسِي نَفْسِي اذْهَبُوا إِلَى غَيْرِي اذْهَبُوا إِلَى مُوسَى . فَيَأْتُونَ مُوسَى فَيَقُولُونَ يَا مُوسَى أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ فَضَّلَكَ اللَّهُ بِرِسَالَتِهِ وَبِكَلاَمِهِ عَلَى الْبَشَرِ اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ أَلاَ تَرَى مَا نَحْنُ فِيهِ فَيَقُولُ إِنَّ رَبِّي قَدْ غَضِبَ الْيَوْمَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ وَلَنْ يَغْضَبَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ وَإِنِّي قَدْ قَتَلْتُ نَفْسًا لَمْ أُومَرْ بِقَتْلِهَا نَفْسِي نَفْسِي نَفْسِي اذْهَبُوا إِلَى غَيْرِي اذْهَبُوا إِلَى عِيسَى . فَيَأْتُونَ عِيسَى فَيَقُولُونَ يَا عِيسَى أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ وَكَلِمَتُهُ أَلْقَاهَا إِلَى مَرْيَمَ وَرُوحٌ مِنْهُ وَكَلَّمْتَ النَّاسَ فِي الْمَهْدِ اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ أَلاَ تَرَى مَا نَحْنُ فِيهِ فَيَقُولُ عِيسَى إِنَّ رَبِّي قَدْ غَضِبَ الْيَوْمَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ وَلَنْ يَغْضَبَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ ذَنْبًا نَفْسِي نَفْسِي نَفْسِي اذْهَبُوا إِلَى غَيْرِي اذْهَبُوا إِلَى مُحَمَّدٍ . قَالَ فَيَأْتُونَ مُحَمَّدًا فَيَقُولُونَ يَا مُحَمَّدُ أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ وَخَاتَمُ الأَنْبِيَاءِ وَقَدْ غُفِرَ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ أَلاَ تَرَى مَا نَحْنُ فِيهِ فَأَنْطَلِقُ فَآتِي تَحْتَ الْعَرْشِ فَأَخِرُّ سَاجِدًا لِرَبِّي ثُمَّ يَفْتَحُ اللَّهُ عَلَىَّ مِنْ مَحَامِدِهِ وَحُسْنِ الثَّنَاءِ عَلَيْهِ شَيْئًا لَمْ يَفْتَحْهُ عَلَى أَحَدٍ قَبْلِي ثُمَّ يُقَالُ يَا مُحَمَّدُ ارْفَعْ رَأْسَكَ سَلْ تُعْطَهُ وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ . فَأَرْفَعُ رَأْسِي فَأَقُولُ يَا رَبِّ أُمَّتِي يَا رَبِّ أُمَّتِي يَا رَبِّ أُمَّتِي . فَيَقُولُ يَا مُحَمَّدُ أَدْخِلْ مِنْ أُمَّتِكَ مَنْ لاَ حِسَابَ عَلَيْهِ مِنَ الْبَابِ الأَيْمَنِ مِنْ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ وَهُمْ شُرَكَاءُ النَّاسِ فِيمَا سِوَى ذَلِكَ مِنَ الأَبْوَابِ ثُمَّ قَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنَّ مَا بَيْنَ الْمِصْرَاعَيْنِ مِنْ مَصَارِيعِ الْجَنَّةِ كَمَا بَيْنَ مَكَّةَ وَهَجَرَ وَكَمَا بَيْنَ مَكَّةَ وَبُصْرَى " . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ وَأَنَسٍ وَعُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ وَأَبِي سَعِيدٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو حَيَّانَ التَّيْمِيُّ اسْمُهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدِ بْنِ حَيَّانَ كُوفِيٌّ وَهُوَ ثِقَةٌ وَأَبُو زُرْعَةَ بْنُ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ اسْمُهُ هَرِمٌ .
