আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৪৮- নবীগণের আঃ আলোচনা

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৮৯
২০১৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ নিশ্চয়ই ইউসুফ এবং তাঁর ভাইদের ঘটনায় জিজ্ঞাসাকারীদের জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে (১২ঃ ৭)
৩১৫১। ইয়াহয়া ইবনে বুকাইর (রাহঃ) .... উরওয়াহ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী (ﷺ)- এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাযিঃ)- কে জিজ্ঞাসা করলেন আল্লাহ তাআলার বাণীحَتَّى إِذَا اسْتَيْأَسَ الرُّسُلُ وَظَنُّوا أَنَّهُمْ قَدْ كُذِّبُوا আয়াতাংশের মধ্যে كُذِّبُوا হবে, না كُذِبُوا হবে? (যাল হরফে তাশদীদ সহ পড়তে হবে, না তাশদীদ ব্যতিত)? আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, (এখানেكُذِبُوا নয়,كُذِّبُوا হবে) কেননা, তাঁদের কওম তাদেরকে মিথ্যাবাদী বলেছিল। (উরওয়াহ (রাহঃ) বলেন) আমি বললাম, মহান আল্লাহর কসম, রাসূলগণের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, তাঁদের কওম তাদেরকে মিথ্যাবাদী বলেছে, আর তাতো সন্দেহের বিষয় ছিল না। (কাজেই, এখানেكُذِّبُوا হবে কিভাবে?) তখন আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, হে উরাইয়্যাহ! এ ব্যাপারে তাদের তো দৃঢ় বিশ্বাস ছিল। (অর্থাৎ এখানে তিনিظن কেيقين অর্থে নিয়েছেন।) (উরওয়াহ (রাহঃ) বলেন) আমি বললাম, সম্ভবতঃ এখানে كُذِبُوا হবে।
হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, মাআযাল্লাহ (আল্লাহর পানাহ), রাসূলগণ কখনও আল্লাহ্ সম্পর্কে এরূপ ধারণা করতেন না। (অর্থাৎكُذِبُوا হলে অর্থ দাঁড়ায়, আল্লাহ পাক রাসূলগণের সাথে মিথ্যা বলেছেন। অথচ রাসূলগণ কখনো এরূপ ধারণা করতে পারে না।) তবে এ আয়াত সম্পর্কে আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, তারা রাসূলগণের অনুযায়ী যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছেন এবং রাসূলগণকে বিশ্বাস করেছেন। তাঁদের উপর আযমায়েশ (ঈমানের পরীক্ষা) দীর্ঘায়িত হয়। তাঁদের প্রতি সাহায্য পৌছতে বিলম্ব হয়। অবশেষে রাসূলগণ যখন তাঁদের কওমের লোকদের মধ্যে যারা তাদেরকে মিথ্যা মনে করেছে, তাদের ঈমান আনার ব্যাপারে নিরাশ হয়ে গেলেন এবং তাঁরা এ ধারণা করতে লাগলেন যে, তাঁদের অনুসারীগণও তাঁদেরকে মিথ্যাবাদী মনে করবেন, ঠিক এ সময়ই মহান আল্লাহর সাহায্য পৌছে গেল।
اسْتَيْأَسُوا শব্দটি استفعلوا এর ওজনে এসেছে। يَئِسْتُ مِنْهُ থেকে নিষ্পন্ন হয়েছে। অর্থাৎ তাঁরা ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) থেকে নিরাশ হয়ে গেছে। لاَ تَيْأَسُوا مِنْ رَوْحِ اللَّهِ এর অর্থ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন