আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
২৫. খাদ্য ও পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
হাদীস নং: ১৮০৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৮০৬
খাদ্য ও পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
রসূন ও পিয়াজ খাওয়া মাকরূহ।
১৮১৩। ইসহাক ইবনে মানসুর (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি রসূন, পিয়াজ ও কুর্রাছ [১] আহার করেছে সে যেন আমাদের মসজিদের কাছেও না আসে। মুসলিম
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। এ বিষয়ে উমর, আবু আইয়ুব, আবু হুরায়রা, আবু সাঈদ, জাবির ইবনে সামুরা, কুররা ইবনে ইয়াস মুযানী ও ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
[১] দুর্গন্ধযুক্ত পিঁয়াজ জাতীয় এক প্রকার উদ্ভিদ।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। এ বিষয়ে উমর, আবু আইয়ুব, আবু হুরায়রা, আবু সাঈদ, জাবির ইবনে সামুরা, কুররা ইবনে ইয়াস মুযানী ও ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
[১] দুর্গন্ধযুক্ত পিঁয়াজ জাতীয় এক প্রকার উদ্ভিদ।
أبواب الأطعمة عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ أَكْلِ الثُّومِ وَالْبَصَلِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنَا عَطَاءٌ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ - قَالَ أَوَّلَ مَرَّةٍ الثُّومِ ثُمَّ قَالَ الثُّومِ وَالْبَصَلِ وَالْكُرَّاثِ فَلاَ يَقْرَبْنَا فِي مَسَاجِدِنَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَأَبِي أَيُّوبَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ وَجَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ وَقُرَّةَ بْنِ إِيَاسٍ الْمُزَنِيِّ وَابْنِ عُمَرَ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, পিঁয়াজ-রসুন খেয়ে মাসজিদে আসা যাবে না। অবশ্য এ নিষেধাজ্ঞা শুধু উক্ত দ্রব্যদ্বয়ের সাথে সীমাবদ্ধ নয়। বরং মুখের দুর্গন্ধে মানুষ ও ফেরেশতারা কষ্ট পায় এমন যে কোন জিনিসের ব্যাপারেই এ হুকুম প্রযোজ্য হবে। কারণ মূল উদ্দেশ্য হলো মুসলমান এবং মসজিদের ফেরেশতা কষ্ট পায় এমন কাজ থেকে বেঁচে থাকা। যেমনটি বর্ণিত হয়েছে মুসলিম শরীফ-১১৩৪ নাম্বার হাদীসে। সুতরাং বিড়ি, সিগারেট, হুক্কা, গুল বা এ জাতীয় কোন জিনিস ব্যবহার করা অথবা গুরম্নত্ব সহকারে মেসওয়াক ব্যবহার না করা মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে যা মানুষের জন্য পীড়াদায়ক হয় সবই এ হুকুমের আওতাভুক্ত। রসূলুল্লাহ স.-এর উদ্দেশ্য এটা নয় যে, কেউ এগুলো ব্যবহার করবে, আর মাসজিদ ছেড়ে দিবে। বরং উদ্দেশ্য হলো মাসজিদে নিয়মিত আসবে। আর যে সব জিনিসের দ্বারা মানুষ কষ্ট পায় তা ছেড়ে দিবে।