আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৪৮- নবীগণের আঃ আলোচনা

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৭২
২০১০. মহান আল্লাহর বাণীঃ (হে মুহাম্মাদ) আপনি তাদেরকে ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর মেহমানগণের ঘটনা জানিয়ে দিন। যখন তারা তাঁর নিকট এসেছিলেন (১৫ঃ ৫১-৫২) لَا تَوْجَلْ ভয় পাবেন না। (মহান আল্লাহর বাণীঃ) স্মরণ করুন যখন ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) বললেন, হে আমার রব! আমাকে দেখিয়ে দিন আপনি কিভাবে মৃতকে জীবন দান করেন। (২ঃ ২৬০)
৩১৩৩। আহমদ ইবনে সালিহ (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, (ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) তাঁর চিত্ত প্রশান্তির জন্য মৃতকে কীভাবে জীবিত করা হবে, এ সম্পর্কে আল্লাহর নিকট জিজ্ঞাসা করেছিলেন, একে যদি “শক” বলে অভিহিত করা হয় তবে এরূপ “শক” এর ব্যাপারে আমরা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) চাইতে অধিক উপযোগী। যখন ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) বলেছিলেন, হে আমার রব! আমাকে দেখিয়ে দিন, আপনি কিভাবে মৃতকে জীবিত করেন। আল্লাহ বললেন, তুমি কি বিশ্বাস কর না? তিনি বললেন, হ্যাঁ, (অবশ্যঁই বিশ্বাস করি।) তা সত্ত্বেও (এ জিজ্ঞাসা এজন্য যে) যাতে আমার চিত্ত প্রশান্তি লাভ করে। (২ঃ ২৬০)
এরপর (নবী (ﷺ) লুত (আলাইহিস সালাম)- এর ঘটনা উল্লেখ করে বললেন,) আল্লাহ লুত (আলাইহিস সালাম)- এর প্রতি রহম করুন। তিনি (আল্লাহর দ্বীন প্রচারের সহায়তার জন্য) একটি সুদৃঢ় খুঁটির (দলের) আশ্রয় চেয়েছিলেন আর আমি যদি কারাগারে এত দীর্ঘ সময় থাকতাম যত দীর্ঘ সময় ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) কারাগারে ছিলেন তবে (বাদশাহর পক্ষ থেকে) তার ডাকে সাড়া দিতাম।*
ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) সুদীর্ঘ সাত বছর পর্যন্ত কয়েদখানায় বন্দী থাকার পর বাদশাহ যখন মুক্তির হুকুম দিলেন, তখন সাথে সাথে তিনি তা কবুল করলেন না। বরং বললেন, আমার প্রতি আরোপিত কলঙ্ক ও অপরাধের তদন্ত করা হোক। এর মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত আমি কয়েদখানা ত্যাগ করব না। এখানে তাঁর দৃঢ় মনোবল ও অসীম ধৈর্যের প্রশংসা করা হয়েছে। আর লুত (আ)-এর সহানুভূতি ও সমবেদনা প্রকাশ করা হয়েছে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন