আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

২২. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত জিহাদের ফযীলত

হাদীস নং: ১৬৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৫৯
তরবারীর ছায়ার নীচে জান্নাতের দ্বার প্রসঙ্গে।
১৬৬৫। কুতায়বা (রাহঃ) ......... আবু বকর ইবনে আবু মুসা আশআরী থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতাকে শত্রু সম্মুখীন অবস্থায় বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তরবারীর ছায়ার নীচে জান্নাতের দ্বার। সমবেত লোকদের একজন জীর্ণশীর্ণ অবস্থার লোক বললোঃ আপনি কি নিজে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এই কথা বলতে শুনেছেন? আবু মুসা (রাযিঃ) বললেন, হ্যাঁ। তখন লোকটি তার সঙ্গীদের কাছে ফিরে গিয়ে বললো, আমি তোমাদের সালাম জানাচ্ছি এবং সে তার তলোয়ারের খাপ ভেঙ্গে ফেললো এবং তলোয়ার দিয়ে (শত্রুদের উপর) আঘাত করতে লাগল। শেষ পর্যন্ত শহীদ হয়ে গেলেন। মুসলিম

এই হাদীসটি হাসান-গারীব। জা‘ফার ইবনে সুলাইমানের সূত্র ছাড়া হাদীসটি সম্পর্কে আমরা অবগত নই। রাবী আবু ইমরান জাওনীর নাম হল আব্দুল মালিক ইবনে হাবীব (রাহঃ)। আবু বকর ইবনে আবু মুসা সম্পর্কে আহমাদ ইবনে হাম্বাল বলেন, এ হল তার নামই (কুনিয়াত নয়)।
باب مَا ذُكِرَ أَنَّ أَبْوَابَ الْجَنَّةِ تَحْتَ ظِلاَلِ السُّيُوفِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ الضُّبَعِيُّ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي بِحَضْرَةِ الْعَدُوِّ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ أَبْوَابَ الْجَنَّةِ تَحْتَ ظِلاَلِ السُّيُوفِ " . فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ رَثُّ الْهَيْئَةِ أَأَنْتَ سَمِعْتَ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَذْكُرُهُ قَالَ نَعَمْ . فَرَجَعَ إِلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ أَقْرَأُ عَلَيْكُمُ السَّلاَمَ . وَكَسَرَ جَفْنَ سَيْفِهِ فَضَرَبَ بِهِ حَتَّى قُتِلَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ جَعْفَرِ بْنِ سُلَيْمَانَ الضُّبَعِيِّ . وَأَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ حَبِيبٍ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي مُوسَى قَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ هُوَ اسْمُهُ .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জেনে রেখ জান্নাত তরবারির ছায়াতলে। অর্থাৎ জিহাদে অংশগ্রহণ করে শত্রুর বিরুদ্ধে তরবারি চালনা করলে তার পুরস্কারস্বরূপ আল্লাহ তা'আলা জান্নাত দান করেন। সুতরাং যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে ইখলাসের সংগে তাতে অবিচল থেকো।

এখানে 'তরবারি' বলে যুদ্ধাস্ত্র বোঝানো হয়েছে। সেকালে যেহেতু তরবারিই ছিল যুদ্ধের প্রধান অস্ত্র তাই তরবারির কথা বলা হয়েছে, নয়তো তীর-বর্ষাও এর অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানকালে যেসব আধুনিক সমরাস্ত্র আছে, জিহাদের মূলনীতি রক্ষা করে যথানিয়মে তা ব্যবহার করলে সে ক্ষেত্রেও এ হাদীছ প্রযোজ্য হবে।

হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ

শরী'আতের বিধান অনুযায়ী সশস্ত্র সংগ্রামের অবকাশ আসলে আগ্রহের সাথে তাতে শরীক থাকা উচিত। তা জান্নাতলাভের একটি শ্রেষ্ঠ উপায়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান