আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
২২. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত জিহাদের ফযীলত
হাদীস নং: ১৬৩২
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৩২
যার দু’পা আল্লাহর পথে ধূলিময় হয়েছে।
১৬৩৮। আবু আম্মার (রাহঃ) ......... ইয়াযীদ ইবনে আবু মারয়াম (রাহঃ) থকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জুমআর জন্য পায়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। এমন সময় আবায়া ইবনে রিফাআ ইবনে রাফি‘ (রাহঃ)-ও আমার সঙ্গে মিলিত হলেন। তিনি বললেন, সুসংবাদ গ্রহণ কর, কারণ তোমার এ পদচারণা হচ্ছে আল্লাহর পথেই। আমি আবু আবাস (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তির পদদ্বয় আল্লাহর পথে ধূলিময় হলো তার পদদ্বয় জাহান্নামের জন্য হারাম করা হল। বুখারী
আবু আবস (রাযিঃ) বর্ণিত এই হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব। আবু আবস (রাযিঃ)-এর নাম হল আব্দুর রহমান ইবনে জাবর।
এই বিষয়ে আবু বকর ও জনৈক সাহাবী (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। এই বুরায়দ ইবনে আবু মারয়াম হলেন শামের অধিবাসী (শামী)। তার বরাতে ওয়ালীদ ইবনে মুসলিম, ইয়াহয়া ইবনে হামযা প্রমুখ (রাহঃ) শামবাসী মুহাদ্দিছ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। আর বুরায়দা ইবনে আবু মারয়াম কুফী (রাহঃ)-এর পিতা ছিলেন সাহাবী। তাঁর নাম হল মালিক ইবনে রাবিআ (রাযিঃ)।
আবু আবস (রাযিঃ) বর্ণিত এই হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব। আবু আবস (রাযিঃ)-এর নাম হল আব্দুর রহমান ইবনে জাবর।
এই বিষয়ে আবু বকর ও জনৈক সাহাবী (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। এই বুরায়দ ইবনে আবু মারয়াম হলেন শামের অধিবাসী (শামী)। তার বরাতে ওয়ালীদ ইবনে মুসলিম, ইয়াহয়া ইবনে হামযা প্রমুখ (রাহঃ) শামবাসী মুহাদ্দিছ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। আর বুরায়দা ইবনে আবু মারয়াম কুফী (রাহঃ)-এর পিতা ছিলেন সাহাবী। তাঁর নাম হল মালিক ইবনে রাবিআ (রাযিঃ)।
باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ مَنِ اغْبَرَّتْ قَدَمَاهُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ
حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ لَحِقَنِي عَبَايَةُ بْنُ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ وَأَنَا مَاشٍ، إِلَى الْجُمُعَةِ فَقَالَ أَبْشِرْ فَإِنَّ خُطَاكَ هَذِهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ سَمِعْتُ أَبَا عَبْسٍ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنِ اغْبَرَّتْ قَدَمَاهُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَهُمَا حَرَامٌ عَلَى النَّارِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو عَبْسٍ اسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ جَبْرٍ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي بَكْرٍ وَرَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو عِيسَى يَزِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ هُوَ رَجُلٌ شَامِيٌّ رَوَى عَنْهُ الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ وَيَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ وَبُرَيْدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ كُوفِيٌّ أَبُوهُ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَاسْمُهُ مَالِكُ بْنُ رَبِيعَةَ وَبُرَيْدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ سَمِعَ مِنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَرَوَى عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ أَبُو إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ وَعَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ وَيُونُسُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ وَشُعْبَةُ أَحَادِيثَ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
জিহাদের ফযীলত সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, আল্লাহর পথে জিহাদ করতে গিয়ে শরীরে যে ধুলো লাগে, সে ধুলো ও জাহান্নামের ধোঁয়া কখনও একত্রিত হবে না। অর্থাৎ মুজাহিদ ব্যক্তিকে কখনও জাহান্নামের আগুন তো স্পর্শ করবেই না, এমনকি জাহান্নামের ধোঁয়াও তার গায়ে লাগবে না। সে জাহান্নাম থেকে বহু দূরে থাকবে।
প্রকাশ থাকে যে, আল্লাহর পথে জিহাদ বলতে আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে আল্লাহর শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করাকে বোঝায়। এ লড়াই যেমন মুখের দ্বারা হতে পারে, কলমের দ্বারা হতে পারে, তেমনি হতে পারে সশস্ত্র সংগ্রাম। এর প্রত্যেকটির জন্যই সুনির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন আছে। সে নিয়ম-কানুনের অধীনে সংগ্রাম করলেই তা মহান জিহাদ নামে অভিহিত হওয়ার উপযুক্ত হবে, অন্যথায় নয়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. জাহান্নাম থেকে বাঁচার লক্ষ্যে আমরা আপন সামর্থ্য অনুযায়ী আল্লাহর পথে জিহাদে রত থাকব, এমনকি সশস্ত্র সংগ্রামের জন্যও প্রস্তুত থাকব। এবং যখনই সে অবকাশ আসে, যথাযথ নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে তাতে ঝাঁপিয়ে পড়ব।
প্রকাশ থাকে যে, আল্লাহর পথে জিহাদ বলতে আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে আল্লাহর শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করাকে বোঝায়। এ লড়াই যেমন মুখের দ্বারা হতে পারে, কলমের দ্বারা হতে পারে, তেমনি হতে পারে সশস্ত্র সংগ্রাম। এর প্রত্যেকটির জন্যই সুনির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন আছে। সে নিয়ম-কানুনের অধীনে সংগ্রাম করলেই তা মহান জিহাদ নামে অভিহিত হওয়ার উপযুক্ত হবে, অন্যথায় নয়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. জাহান্নাম থেকে বাঁচার লক্ষ্যে আমরা আপন সামর্থ্য অনুযায়ী আল্লাহর পথে জিহাদে রত থাকব, এমনকি সশস্ত্র সংগ্রামের জন্যও প্রস্তুত থাকব। এবং যখনই সে অবকাশ আসে, যথাযথ নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে তাতে ঝাঁপিয়ে পড়ব।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
