আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
১৭. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত দন্ড বিধি
হাদীস নং: ১৪৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৩৯
দাসীদের উপর হদ প্রয়োগ।
১৪৪৫। কুতায়বা (রাহঃ) ......... উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী (ﷺ) এর কাছে ছিলাম। তিনি বললেন, তোমরা আমার কাছে এই বিষয়ে বায়য়াত কর যে, আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরীক করবে না। চুরি করবে না। ব্যভিচার করবে না। তিনি সম্পূর্ণ আয়াতটি [সূরা মুমতাহিনা ৬০: ১২] তিলাওয়াত করেন। তোমাদের মধ্যে যে এই বায়আত পূরণ করবে তার প্রতিদান আল্লাহর যিম্মায়। আর কেউ যদি এইগুলির কোন কিছুতে লিপ্ত হয়ে পড়ে আর এ জন্য তাকে শাস্তি দেওয়া হয় তবে তা হবে তার জন্য কাফফারা স্বরূপ। আর কেউ যদি এগুলির কোন একটিতে লিপ্ত হয় আর আল্লাহ তার এ অপরাধ ঢেকে রাখেন তবে তা আল্লাহর উপর ন্যস্ত। ইচ্ছা করলে তিনি আযাব দিবেন আর ইচ্ছা করলে তিনি মাফ করে দিবেন। নাসাঈ
এই বিষয়ে আলী, জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ ও খুযায়মা ইবনে সাবিত (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। ইমাম শাফিঈ (রাহঃ) বলেন, ‘হদ প্রয়োগ অপরাধীর জন্য কাফফারা স্বরূপ’ এতদবিষয়ে এই হাদীসটি অপেক্ষা উত্তম কোন কিছু আমি শুনিনি। ইমাম শাফিঈ (রাহঃ) বলেন, কেউ যদি কোন গুনাহে লিপ্ত হয়ে পড়ে আর আল্লাহ তাআলা তা গোপন রাখেন তবে তার জন্য নিজেও তা গোপন রাখা এবং প্রভুর কাছে তওবা করতে থাকাই আমার নিকট অধিক পছন্দনীয়। আবু বকর ও উমর (রাযিঃ) থেকে এইরূপ বর্ণিত আছে যে, তারা এক ব্যক্তিকে নিজের অপরাধ গোপন রাখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এই বিষয়ে আলী, জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ ও খুযায়মা ইবনে সাবিত (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। ইমাম শাফিঈ (রাহঃ) বলেন, ‘হদ প্রয়োগ অপরাধীর জন্য কাফফারা স্বরূপ’ এতদবিষয়ে এই হাদীসটি অপেক্ষা উত্তম কোন কিছু আমি শুনিনি। ইমাম শাফিঈ (রাহঃ) বলেন, কেউ যদি কোন গুনাহে লিপ্ত হয়ে পড়ে আর আল্লাহ তাআলা তা গোপন রাখেন তবে তার জন্য নিজেও তা গোপন রাখা এবং প্রভুর কাছে তওবা করতে থাকাই আমার নিকট অধিক পছন্দনীয়। আবু বকর ও উমর (রাযিঃ) থেকে এইরূপ বর্ণিত আছে যে, তারা এক ব্যক্তিকে নিজের অপরাধ গোপন রাখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
باب مَا جَاءَ فِي إِقَامَةِ الْحَدِّ عَلَى الإِمَاءِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي مَجْلِسٍ فَقَالَ " تُبَايِعُونِي عَلَى أَنْ لاَ تُشْرِكُوا بِاللَّهِ شَيْئًا وَلاَ تَسْرِقُوا وَلاَ تَزْنُوا قَرَأَ عَلَيْهِمُ الآيَةَ فَمَنْ وَفَى مِنْكُمْ فَأَجْرُهُ عَلَى اللَّهِ وَمَنْ أَصَابَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَعُوقِبَ عَلَيْهِ فَهُوَ كَفَّارَةٌ لَهُ وَمَنْ أَصَابَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَسَتَرَهُ اللَّهُ عَلَيْهِ فَهُوَ إِلَى اللَّهِ إِنْ شَاءَ عَذَّبَهُ وَإِنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَجَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَخُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ لَمْ أَسْمَعْ فِي هَذَا الْبَابِ أَنَّ الْحُدُودَ تَكُونُ كَفَّارَةً لأَهْلِهَا شَيْئًا أَحْسَنَ مِنْ هَذَا الْحَدِيثِ . قَالَ الشَّافِعِيُّ وَأُحِبُّ لِمَنْ أَصَابَ ذَنْبًا فَسَتَرَهُ اللَّهُ عَلَيْهِ أَنْ يَسْتُرَ عَلَى نَفْسِهِ وَيَتُوبَ فِيمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ رَبِّهِ . وَكَذَلِكَ رُوِيَ عَنْ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ أَنَّهُمَا أَمَرَا رَجُلاً أَنْ يَسْتُرَ عَلَى نَفْسِهِ .
