আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

১৬. নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়

হাদীস নং: ১৩৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৮৬
নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
রক্তপণের উটের সংখ্যা।
১৩৯০. আলী ইবনে সাঈদ কিনদী কূফী (রাহঃ) ...... ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, ভুল বশতঃ হত্যার দিয়াতের ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দ্বিতীয় বর্ষে উপনীত বিশটি মাদি উট ও বিশটি নর উট এবং তৃতীয় বর্ষে উপনীত বিশটি মাদী উট, চতুর্থ বর্ষে উপনীত বিশটি মাদী উট এবং পঞ্চম বর্ষে উপনীত বিশটি মাদী উট প্রদানের ফায়সালা দিয়েছেন। - ইবনে মাজাহ ২৬৩১

এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে হাদীস বর্ণিত আছে।

১৩৯০ (ক). আবু হিশাম রিফাঈ (রাহঃ) .... ইবনে আবু জায়দা ও আবু খালিদ আহমার সূত্রে হাজ্জাজ ইবনে আরতাত (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) এর হাদীসটি মারফূরূপে এ সূত্র ব্যতীত আমাদের জানা নেই। অবশ্য আব্দুল্লাহ থেকেও মাউকুফ রূপেও এটি বর্ণিত আছে। কতক আলিম এতদনুসারে মাযহাব গ্রহণ করেছেন। এ হলো ইমাম আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমত। আলিমগণ এ বিষয়ে একমত যে, দিয়াত বা রক্তপণ তিন বছরে উসূল করা হবে। প্রতি বছর মোট পরিমাণের এক তৃতীয়াংশ।

তাঁরা বলেন, ভুল বশতঃ হত্যার দিয়াত আকিলাদের উপর প্রযোজ্য। তাদের কেউ কেউ বলেন, আকিলা হলো পিতার দিকের আত্মীয়গণ। এ হলো ইমাম মালিক ও শাফিঈ (রাহঃ) এর অভিমত। আবার কেউ কেউ বলেন, কেবল পুরুষদের উপর দিয়াত প্রযোজ্য নারী ও শিশু আত্মীয়দের উপর তা বর্তাবে না। প্রত্যেক পুরুষ এক দীনারে চতুর্থাংশ বহন করবে। আবার কেউ কেউ বলেন, অর্ধ দীনার হারে প্রত্যেকে তা বহন করবে। এতে যদি দিয়াতের পরিমাণ পূর্ণ হয়ে যায় তবে ভালই আর তা না হলে অধিকতর নিকটবর্তী বংশের প্রতি লক্ষ্য করা হবে এবং অবশিষ্ট পরিমাণ দিয়াত আদায় করতে তাদের বাধ্য করা হবে।
أبواب الديات عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ فِي الدِّيَةِ كَمْ هِيَ مِنَ الإِبِلِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ سَعِيدٍ الْكِنْدِيُّ الْكُوفِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنِ الْحَجَّاجِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ خِشْفِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ مَسْعُودٍ، قَالَ قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي دِيَةِ الْخَطَإِ عِشْرِينَ بِنْتَ مَخَاضٍ وَعِشْرِينَ بَنِي مَخَاضٍ ذُكُورًا وَعِشْرِينَ بِنْتَ لَبُونٍ وَعِشْرِينَ جَذَعَةً وَعِشْرِينَ حِقَّةً . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو .
حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ الرِّفَاعِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، وَأَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ عَنِ الْحَجَّاجِ بْنِ أَرْطَاةَ، نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ مَسْعُودٍ لاَ نَعْرِفُهُ مَرْفُوعًا إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ مَوْقُوفًا . وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِلَى هَذَا وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ . وَقَدْ أَجْمَعَ أَهْلُ الْعِلْمِ عَلَى أَنَّ الدِّيَةَ تُؤْخَذُ فِي ثَلاَثِ سِنِينَ فِي كُلِّ سَنَةٍ ثُلُثُ الدِّيَةِ وَرَأَوْا أَنَّ دِيَةَ الْخَطَإِ عَلَى الْعَاقِلَةِ . وَرَأَى بَعْضُهُمْ أَنَّ الْعَاقِلَةَ قَرَابَةُ الرَّجُلِ مِنْ قِبَلِ أَبِيهِ . وَهُوَ قَوْلُ مَالِكٍ وَالشَّافِعِيِّ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِنَّمَا الدِّيَةُ عَلَى الرِّجَالِ دُونَ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ مِنَ الْعَصَبَةِ يُحَمَّلُ كُلُّ رَجُلٍ مِنْهُمْ رُبُعَ دِينَارٍ . وَقَدْ قَالَ بَعْضُهُمْ إِلَى نِصْفِ دِينَارٍ فَإِنْ تَمَّتِ الدِّيَةُ وَإِلاَّ نُظِرَ إِلَى أَقْرَبِ الْقَبَائِلِ مِنْهُمْ فَأُلْزِمُوا ذَلِكَ .