আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
১৫. শাসনকার্য পরিচালনা ও আদালত-বিচার অধ্যায়
হাদীস নং: ১৩৭১
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৭১
শরীক ব্যক্তি শুফ’আর হকদার।
১৩৭৫. ইউসুফ ইবনে ঈসা (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, শরীক শুফআ এর অধিকারী। আর প্রত্যেক বস্তুতেই শুফআর অধিকার রয়েছে।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আবু হামযা সুককারী (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াত ছাড়া হাদীসটি এইরূপভাবে অন্য কোন বর্ণনায় রয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। একাধিক রাবী হাদীসটিকে আব্দুল আযীয ইবনে রুফায়-ইবনে আবী মূলায়কা সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন। এটাই অধিকতর সহীহ। হানদার (রাহঃ) ......... ইবনে আলী মূলায়কা (রাহঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে উক্ত মর্মে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এই সনদে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর উল্লেখ নেই। আব্দুল আযীয ইবনে রুফায়‘ (রাহঃ) থেকে একাধিক রাবী অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এই সনদে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে একথার উল্লেখ নেই।
আবু হামযা (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াত (১৩৭৪ নং) থেকে এটি অধিকতর সহীহ। আবু হামযা (রাহঃ) নির্ভরযোগ্য (ছিকা) রাবী। সম্ভবত আবু হামযা (রাহঃ) ছাড়া অন্য কোন রাবী থেকে এই ভুলটা হয়েছে। হানদার (রাহঃ) ইবনে আলী মূলায়কা (রাহঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে আবু বকর ইবনে আইয়্যাশ-এর (১৩৭৪ নং) অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। অধিকাংশ আলিম বলেন, শুফআ-এর অধিকার রয়েছে বাড়ী ও ভূমিতে (অর্থাৎ স্থাবর সম্পত্তিতে)। সব জিনিসেই শুফআ নেই। কতক আলিম বলেন, সব জিনিসেই শুফআ-এর অধিকার রয়েছে। প্রথমোক্ত মতটিই অধিকতর সহীহ।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আবু হামযা সুককারী (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াত ছাড়া হাদীসটি এইরূপভাবে অন্য কোন বর্ণনায় রয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। একাধিক রাবী হাদীসটিকে আব্দুল আযীয ইবনে রুফায়-ইবনে আবী মূলায়কা সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন। এটাই অধিকতর সহীহ। হানদার (রাহঃ) ......... ইবনে আলী মূলায়কা (রাহঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে উক্ত মর্মে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এই সনদে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর উল্লেখ নেই। আব্দুল আযীয ইবনে রুফায়‘ (রাহঃ) থেকে একাধিক রাবী অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এই সনদে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে একথার উল্লেখ নেই।
আবু হামযা (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াত (১৩৭৪ নং) থেকে এটি অধিকতর সহীহ। আবু হামযা (রাহঃ) নির্ভরযোগ্য (ছিকা) রাবী। সম্ভবত আবু হামযা (রাহঃ) ছাড়া অন্য কোন রাবী থেকে এই ভুলটা হয়েছে। হানদার (রাহঃ) ইবনে আলী মূলায়কা (রাহঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে আবু বকর ইবনে আইয়্যাশ-এর (১৩৭৪ নং) অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। অধিকাংশ আলিম বলেন, শুফআ-এর অধিকার রয়েছে বাড়ী ও ভূমিতে (অর্থাৎ স্থাবর সম্পত্তিতে)। সব জিনিসেই শুফআ নেই। কতক আলিম বলেন, সব জিনিসেই শুফআ-এর অধিকার রয়েছে। প্রথমোক্ত মতটিই অধিকতর সহীহ।
باب مَا جَاءَ أَنَّ الشَّرِيكَ شَفِيعٌ
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ السُّكَّرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الشَّرِيكُ شَفِيعٌ وَالشُّفْعَةُ فِي كُلِّ شَيْءٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِثْلَ هَذَا إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي حَمْزَةَ السُّكَّرِيِّ . وَقَدْ رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً وَهَذَا أَصَحُّ .
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ وَلَيْسَ فِيهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَهَكَذَا رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ مِثْلَ هَذَا لَيْسَ فِيهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي حَمْزَةَ . وَأَبُو حَمْزَةَ ثِقَةٌ يُمْكِنُ أَنْ يَكُونَ الْخَطَأُ مِنْ غَيْرِ أَبِي حَمْزَةَ .
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ حَدِيثِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ . وَقَالَ أَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِنَّمَا تَكُونُ الشُّفْعَةُ فِي الدُّورِ وَالأَرَضِينَ وَلَمْ يَرَوُا الشُّفْعَةَ فِي كُلِّ شَيْءٍ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ الشُّفْعَةُ فِي كُلِّ شَيْءٍ . وَالْقَوْلُ الأَوَّلُ أَصَحُّ .
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ وَلَيْسَ فِيهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَهَكَذَا رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ مِثْلَ هَذَا لَيْسَ فِيهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي حَمْزَةَ . وَأَبُو حَمْزَةَ ثِقَةٌ يُمْكِنُ أَنْ يَكُونَ الْخَطَأُ مِنْ غَيْرِ أَبِي حَمْزَةَ .
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ حَدِيثِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ . وَقَالَ أَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِنَّمَا تَكُونُ الشُّفْعَةُ فِي الدُّورِ وَالأَرَضِينَ وَلَمْ يَرَوُا الشُّفْعَةَ فِي كُلِّ شَيْءٍ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ الشُّفْعَةُ فِي كُلِّ شَيْءٍ . وَالْقَوْلُ الأَوَّلُ أَصَحُّ .
