আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
১৪. ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যাবসা-বাণিজ্যের অধ্যায়
হাদীস নং: ১২১৩
আন্তর্জাতিক নং: ১২১৩
নির্ধারিত মেয়াদের শর্তে (বাকীতে) ক্রয়ের অনুমতি প্রসঙ্গে।
১২১৬. আবু হাফস আমর ইবনে আলী (রাহঃ) ...... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) এর লাল নকশাদার দুটি মোটা খসখসে কিতরী কাপড় ছিল। তিনি যখন বসতেন এবং ঘামতেন তখন এ দুটো তাঁর ভারীবোধ, হত। একবার শাম থেকে অমুক এক ইয়াহুদী ব্যবসায়ীর নিকট কিছু কাপড় এল। আমি নবী (ﷺ)-কে বললাম, কাউকে পাঠিয়ে এর কাছ থেকে স্বচ্ছলতার দিন পর্যন্ত মেয়াদ নির্ধারণ করে দুটি কাপড় যদি কিনে আনতেন। তারপর তিনি তার কাছে একজনকে পাঠালেন। কিন্তু ইয়াহুদীটি বলল, তিনি কি চান আমি জানি। তিনি চান আমার মাল কিংবা দিরহামগুলি নিয়ে চলে যেতে। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, সে মিথ্যা বলেছে। সে অবশ্য জানে, আমি তাদের মাঝে সর্বাধিক আল্লাহ্ভীরু এবং সর্বাধিক আমানত পরিশোধকারী।
এই বিষয়ে ইবনে আব্বাস, আনাস ও আসমা বিনতে ইয়াযীদ (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব। শু’বা (রাহঃ) ও এটিকে উমরা ইবনে আবু হাফসা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। মুহাম্মাদ ইবনে ফিরাস বসরী (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, তিনি আবু দাউদ তায়ালিসী (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছেন, শু’বা (রাহঃ)-কে একদিন এই হাদীসটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি বললেন তোমরা যতক্ষণ পর্যন্ত হারামী ইবনে উমরা-এর কাছে গিয়ে তার শির- চুম্বন না করেছ ততক্ষণ আমি তোমাদের আর এই হাদীস বর্ণনা করব না। রাবী বলেন, হারামীও তখন এই মজলিসে হাযির ছিলেন।
এই বিষয়ে ইবনে আব্বাস, আনাস ও আসমা বিনতে ইয়াযীদ (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব। শু’বা (রাহঃ) ও এটিকে উমরা ইবনে আবু হাফসা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। মুহাম্মাদ ইবনে ফিরাস বসরী (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, তিনি আবু দাউদ তায়ালিসী (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছেন, শু’বা (রাহঃ)-কে একদিন এই হাদীসটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি বললেন তোমরা যতক্ষণ পর্যন্ত হারামী ইবনে উমরা-এর কাছে গিয়ে তার শির- চুম্বন না করেছ ততক্ষণ আমি তোমাদের আর এই হাদীস বর্ণনা করব না। রাবী বলেন, হারামীও তখন এই মজলিসে হাযির ছিলেন।
باب مَا جَاءَ فِي الرُّخْصَةِ فِي الشِّرَاءِ إِلَى أَجَلٍ .
حَدَّثَنَا أَبُو حَفْصٍ، عُمَرُ بْنُ عَلِيٍّ أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، أَخْبَرَنَا عُمَارَةُ بْنُ أَبِي حَفْصَةَ، أَخْبَرَنَا عِكْرِمَةُ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَوْبَانِ قِطْرِيَّانِ غَلِيظَانِ فَكَانَ إِذَا قَعَدَ فَعَرِقَ ثَقُلاَ عَلَيْهِ فَقَدِمَ بَزٌّ مِنَ الشَّامِ لِفُلاَنٍ الْيَهُودِيِّ . فَقُلْتُ لَوْ بَعَثْتَ إِلَيْهِ فَاشْتَرَيْتَ مِنْهُ ثَوْبَيْنِ إِلَى الْمَيْسَرَةِ . فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ فَقَالَ قَدْ عَلِمْتُ مَا يُرِيدُ إِنَّمَا يُرِيدُ أَنْ يَذْهَبَ بِمَالِي أَوْ بِدَرَاهِمِي . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كَذَبَ قَدْ عَلِمَ أَنِّي مِنْ أَتْقَاهُمْ لِلَّهِ وَآدَاهُمْ لِلأَمَانَةِ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَأَنَسٍ وَأَسْمَاءَ بِنْتِ يَزِيدَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَاهُ شُعْبَةُ أَيْضًا عَنْ عُمَارَةَ بْنِ أَبِي حَفْصَةَ . قَالَ وَسَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ فِرَاسٍ الْبَصْرِيَّ يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا دَاوُدَ الطَّيَالِسِيَّ يَقُولُ سُئِلَ شُعْبَةُ يَوْمًا عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ لَسْتُ أُحَدِّثُكُمْ حَتَّى تَقُومُوا إِلَى حَرَمِيِّ بْنِ عُمَارَةَ بْنِ أَبِي حَفْصَةَ فَتُقَبِّلُوا رَأْسَهُ . قَالَ وَحَرَمِيٌّ فِي الْقَوْمِ . قَالَ أَبُو عِيسَى أَىْ إِعْجَابًا بِهَذَا الْحَدِيثِ .
