আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
১২. দুগ্ধপান ইত্যাদি সংক্রান্ত অধ্যায়
হাদীস নং: ১১৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ১১৬৯
স্ত্রীলোকের একা একা সফর করা অপছন্দনীয়।
১১৭০. আহমদ ইবনে মানী (রাহঃ) ...... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে নারী আল্লাহ্ এবং শেষ দিনে ঈমান রাখে তার জন্য পিতা, ভ্রাতা, স্বামী, পুত্র বা যাকে বিয়ে করা হারাম এমন ব্যক্তির সঙ্গে ছাড়া তিন দিন বা ততোধিক দিনের সফর করা বিধেয় নয়। - ইবনে মাজাহ, বুখারি, মুসলিম
এই বিষয়ে আবু হুরায়রা, ইবনে আব্বাস, ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে তিনি বলেন, মুহাররাম (যার সঙ্গে বিবাহ হারাম) ছাড়া কারো সঙ্গে কোন মহিলা একদিন একরাত সফর করবে না। আলিমগণের এতদনুসারে আমল রয়েছে। তারা মুহাররাম পুরুষ সঙ্গী ছাড়া মহিলাদের সফর না জায়েয মনে করেন। কোন মহিলা যদি সম্পদশালীনী হন আর তার কোন মুহাররাম পুরুষ আত্মীয় না থাকে তবে তার হজ্জ করতে হবে কি-না এই বিষয়ে আলিমদের মতভেদ রয়েছে।
কোন কোন আলিম বলেন, তার উপর হজ্জ ফরয নয়। মুহাররাম পাওয়াও কুরআনে উল্লেখিত ‘পথের সামর্থ’ পাওয়ার শামিল। কারণ, আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, (হজ্জ তার উপর ফরয) যে পাথের সামর্থ্য রাখে। সুতরাং যদি মুহাররাম সঙ্গী না পায় তবে তার পথের সামর্থও হলো না। এ হলো, ইমাম সুফিয়ান ছাওরী ও কূফাবাসী আলিমদের অভিমত। কতক আলিম বলেন, পথ যদি নিরাপদ হয় তবে ঐ মহিলা অন্যান্য লোকদের সাথে হজ্জ করতে বের হবে। এ হলো, ইমাম মালিক ইবনে আনাস ও শাফিঈ (রাহঃ) এর অভিমত।
এই বিষয়ে আবু হুরায়রা, ইবনে আব্বাস, ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে তিনি বলেন, মুহাররাম (যার সঙ্গে বিবাহ হারাম) ছাড়া কারো সঙ্গে কোন মহিলা একদিন একরাত সফর করবে না। আলিমগণের এতদনুসারে আমল রয়েছে। তারা মুহাররাম পুরুষ সঙ্গী ছাড়া মহিলাদের সফর না জায়েয মনে করেন। কোন মহিলা যদি সম্পদশালীনী হন আর তার কোন মুহাররাম পুরুষ আত্মীয় না থাকে তবে তার হজ্জ করতে হবে কি-না এই বিষয়ে আলিমদের মতভেদ রয়েছে।
কোন কোন আলিম বলেন, তার উপর হজ্জ ফরয নয়। মুহাররাম পাওয়াও কুরআনে উল্লেখিত ‘পথের সামর্থ’ পাওয়ার শামিল। কারণ, আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, (হজ্জ তার উপর ফরয) যে পাথের সামর্থ্য রাখে। সুতরাং যদি মুহাররাম সঙ্গী না পায় তবে তার পথের সামর্থও হলো না। এ হলো, ইমাম সুফিয়ান ছাওরী ও কূফাবাসী আলিমদের অভিমত। কতক আলিম বলেন, পথ যদি নিরাপদ হয় তবে ঐ মহিলা অন্যান্য লোকদের সাথে হজ্জ করতে বের হবে। এ হলো, ইমাম মালিক ইবনে আনাস ও শাফিঈ (রাহঃ) এর অভিমত।
باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ أَنْ تُسَافِرَ الْمَرْأَةُ وَحْدَهَا بِغَيْرِ مَحْرَمٍ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُسَافِرَ سَفَرًا يَكُونُ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فَصَاعِدًا إِلاَّ وَمَعَهَا أَبُوهَا أَوْ أَخُوهَا أَوْ زَوْجُهَا أَوِ ابْنُهَا أَوْ ذُو مَحْرَمٍ مِنْهَا " . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَابْنِ عُمَرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَرُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " لاَ تُسَافِرُ الْمَرْأَةُ مَسِيرَةَ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ إِلاَّ مَعَ ذِي مَحْرَمٍ " . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ يَكْرَهُونَ لِلْمَرْأَةِ أَنْ تُسَافِرَ إِلاَّ مَعَ ذِي مَحْرَمٍ . وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي الْمَرْأَةِ إِذَا كَانَتْ مُوسِرَةً وَلَمْ يَكُنْ لَهَا مَحْرَمٌ هَلْ تَحُجُّ . فَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ يَجِبُ عَلَيْهَا الْحَجُّ لأَنَّ الْمَحْرَمَ مِنَ السَّبِيلِ لِقَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَِّ : ( لِمَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً ) فَقَالُوا إِذَا لَمْ يَكُنْ لَهَا مَحْرَمٌ فَلاَ تَسْتَطِيعُ إِلَيْهِ سَبِيلاً . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِذَا كَانَ الطَّرِيقُ آمِنًا فَإِنَّهَا تَخْرُجُ مَعَ النَّاسِ فِي الْحَجِّ . وَهُوَ قَوْلُ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَالشَّافِعِيِّ .


বর্ণনাকারী: