আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৯. হজ্ব - উমরার অধ্যায়
হাদীস নং: ৯১০
আন্তর্জাতিক নং: ৯১০
হজ্জের কুরবানীর পশু যদি চলতে অক্ষম হয়ে যায় তবে কি করা হবে।
৯১২. হারূণ ইবনে ইসাক হামদানী (রাহঃ) ..... নাজিয়া খুযাঈ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আরয করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার হজ্জের কুরবানীর পশু যদি চলতে অক্ষম হয়ে যায় এবং এর মৃত্যুর আশঙ্কা দেখা দেয় তবে আমি কী করব? তিনি বললেন, এটিকে যবেহ করে পাগুলো তার রক্তে রাঙ্গিয়ে দিবে। এরপর তা মানুষের জন্য রেখে দিবে যেন তা তারা খেতে পারে। - ইবনে মাজাহ
এই বিষয়ে যুওয়ায়ব আবী কাবীসা আল-খুযাঈ (রাযিঃ) থেকে হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, নাজিয়া বর্ণিত এই হাদীসটি হাসান- নহীহ্। আলিমগণ এতদনুসারে আমলের অভিমত দিয়েছেন। তারা বলেন, পশুটি যদি নফল কুরবানীর হয় তবে সেটি চলতে অক্ষম হয়ে গেলে (যবহের পর) সেটির গোশত সে নিজের বা তার সঙ্গীরা কেউই খেতে পারবে না। লোকদের জন্য তা ছেড়ে দিবে। যাতে তারা খেতে পারে। আর কুরবানী হিসাবে এটি তার জন্য যথেষ্ট হবে। এ হলো ইমাম শাফিঈ,আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) এর অভিমত। তাঁরা বলেন, যদি সে কিছু আহার করে তবে এটির বিনিময়ে আরেকটি কুরবানী দিতে হবে।
এই বিষয়ে যুওয়ায়ব আবী কাবীসা আল-খুযাঈ (রাযিঃ) থেকে হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, নাজিয়া বর্ণিত এই হাদীসটি হাসান- নহীহ্। আলিমগণ এতদনুসারে আমলের অভিমত দিয়েছেন। তারা বলেন, পশুটি যদি নফল কুরবানীর হয় তবে সেটি চলতে অক্ষম হয়ে গেলে (যবহের পর) সেটির গোশত সে নিজের বা তার সঙ্গীরা কেউই খেতে পারবে না। লোকদের জন্য তা ছেড়ে দিবে। যাতে তারা খেতে পারে। আর কুরবানী হিসাবে এটি তার জন্য যথেষ্ট হবে। এ হলো ইমাম শাফিঈ,আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) এর অভিমত। তাঁরা বলেন, যদি সে কিছু আহার করে তবে এটির বিনিময়ে আরেকটি কুরবানী দিতে হবে।
باب مَا جَاءَ إِذَا عَطِبَ الْهَدْىُ مَا يُصْنَعُ بِهِ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ نَاجِيَةَ الْخُزَاعِيِّ، صَاحِبِ بُدْنِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ أَصْنَعُ بِمَا عَطِبَ مِنَ الْبُدْنِ قَالَ " انْحَرْهَا ثُمَّ اغْمِسْ نَعْلَهَا فِي دَمِهَا ثُمَّ خَلِّ بَيْنَ النَّاسِ وَبَيْنَهَا فَيَأْكُلُوهَا " . وَفِي الْبَابِ عَنْ ذُؤَيْبٍ أَبِي قَبِيصَةَ الْخُزَاعِيِّ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ نَاجِيَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ قَالُوا فِي هَدْىِ التَّطَوُّعِ إِذَا عَطِبَ لاَ يَأْكُلُ هُوَ وَلاَ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ رُفْقَتِهِ وَيُخَلَّى بَيْنَهُ وَبَيْنَ النَّاسِ يَأْكُلُونَهُ وَقَدْ أَجْزَأَ عَنْهُ . وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ . وَقَالُوا إِنْ أَكَلَ مِنْهُ شَيْئًا غَرِمَ بِقَدْرِ مَا أَكَلَ مِنْهُ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِذَا أَكَلَ مِنْ هَدْىِ التَّطَوُّعِ شَيْئًا فَقَدْ ضَمِنَ الَّذِي أَكَلَ .


বর্ণনাকারী: