আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

৯. হজ্ব - উমরার অধ্যায়

হাদীস নং: ৮৬২
আন্তর্জাতিক নং: ৮৬২
মারওয়ার আগে সাফা থেকে সাঈ শুরু করা।
৮৬৩. ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ..... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) মক্কায় এসে বায়তুল্লাহ শরীফ সাত তাওয়াফ করলেন। পরে মাকামে ইবরাহীমে এসে পাঠ করলেনঃ وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى তোমরা ইবরাহীমের দাঁড়াবার স্থানকেই নামাযের স্থানরূপে গ্রহণ কর। (সূরা বাকারা- ১২৫)। এরপর মাকামে ইবরাহীমের পেছনে দু‘রাকআত নামায আদায় করলেন। অতঃপর হাজরে আসওয়াদের কাছে এসে ইস্তিলাম করলেন। তারপর বললেনঃ আল্লাহ যেখান থেকে শুরু করেছেন আমরাও সেখান থেকে শুরু করি। অনন্তর সাফা থেকে সাঈ শুরু করলেন এবং পাঠ করলেনঃ إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শন সমূহের অন্যতম। (সূরা বাকারা- ১৫৮)। - ইবনে মাজাহ

ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। এতদনুসারে আলিমগণ আমলের অভিমত গ্রহণ করেছেন যে, মারওয়ার আগে সাফা থেকে ই সাঈ শুরু করা হবে। যদি সাফা এর আগে মারওয়া থেকে কেউ সাঈ শুরু করে তবে তা হবেনা বরং সাফা থেকেই শুরু করতে হবে। সাফা ও মারওয়ার সাঈ না করে কেবল বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করে কেউ যদি চলে আসে তবে এ সম্পর্কে আলিমগণের মতবিরোধ রয়েছে। কিছু সংখ্যক আলিম বলেন, সাফা ও মারওয়ার সাঈ না করে কেউ যদি মক্কা থেকে বের হয়ে যায় এবং মক্কার কাছাকাছি থাকা অবস্থায় যদি সে কথা তার মনে পড়ে যায় তবে সে ফিরে আসবে এবং সাফা ও মারওয়ার সাঈ সম্পন্ন করবে। আর যদি দেশে ফিরা পর্যন্ত তা মনে না পড়ে তবে হজ্জ হয়ে যাবে কিন্তু তাকে একটি দম (কুরবানী) দিতে হবে। এ হল ইমাম সুফিয়ান সাওরী এর অভিমত। কোন কোন আলিম বলেন, সাফা ও মারওয়ার সাঈ না করে যদি দেশে ফিরে আসে তবে হজ্জ হবে না। এ হল ইমাম শাফেঈ (রাহঃ) এর অভিমত। তিনি বলেন, সাফা ও মারওয়ার সাঈ হজ্জের অবশ্য করণীয় একটি আমল। সুতরাং তা ছাড়া হজ্জ হবে না।
باب مَا جَاءَ أَنَّهُ يَبْدَأُ بِالصَّفَا قَبْلَ الْمَرْوَةِ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم حِينَ قَدِمَ مَكَّةَ طَافَ بِالْبَيْتِ سَبْعًا وَأَتَى الْمَقَامَ فَقَرَأَ :( وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى ) فَصَلَّى خَلْفَ الْمَقَامِ ثُمَّ أَتَى الْحَجَرَ فَاسْتَلَمَهُ ثُمَّ قَالَ " نَبْدَأُ بِمَا بَدَأَ اللَّهُ بِهِ " . فَبَدَأَ بِالصَّفَا وَقَرَأَ : (إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّهُ يَبْدَأُ بِالصَّفَا قَبْلَ الْمَرْوَةِ فَإِنْ بَدَأَ بِالْمَرْوَةِ قَبْلَ الصَّفَا لَمْ يُجْزِهِ وَبَدَأَ بِالصَّفَا . وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِيمَنْ طَافَ بِالْبَيْتِ وَلَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ حَتَّى رَجَعَ فَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِنْ لَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ حَتَّى خَرَجَ مِنْ مَكَّةَ فَإِنْ ذَكَرَ وَهُوَ قَرِيبٌ مِنْهَا رَجَعَ فَطَافَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَإِنْ لَمْ يَذْكُرْ حَتَّى أَتَى بِلاَدَهُ أَجْزَأَهُ وَعَلَيْهِ دَمٌ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِنْ تَرَكَ الطَّوَافَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ حَتَّى رَجَعَ إِلَى بِلاَدِهِ فَإِنَّهُ لاَ يُجْزِيهِ . وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ . قَالَ الطَّوَافُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَاجِبٌ لاَ يَجُوزُ الْحَجُّ إِلاَّ بِهِ .
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
জামে' তিরমিযী - হাদীস নং ৮৬২ | মুসলিম বাংলা