আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৯. হজ্ব - উমরার অধ্যায়
হাদীস নং: ৮২৫
আন্তর্জাতিক নং: ৮২৫
তালবিয়া প্রসঙ্গে।
৮২৬. আহমাদ ইবনে মানী (রাহঃ) ..... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন নবী (ﷺ) এর তালবিয়া ছিলঃ لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ
আমি হাযির হে আল্লাহ! আমি হাযির; শরীক নাই কেউ তোমার,আমি, হাযির; সব হামদ ও সব নিআমত তো তোমারই আর সব সামরাজ্যও; কোন শরীক নাই তোমার। - ইবনে মাজাহ, বুখারি, মুসলিম
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন এই বিষয়ে ইবনে মাসউদ, জাবির, আয়িশা, ইবনে আব্বাস ও আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাযিঃ) বলেন, ইবনে উমর (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ্। সাহাবী ও অপরাপর আলেমগণ এই হাদীসটির উপর আমল করেছেন, এ হল সুফিয়ান সাওরী, শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রাহঃ) এর অভিমত। ইমাম শাফিঈ (রাহঃ) বলেন আল্লাহ তাআলার মহত্ব ব্যঞ্জক কোন শব্দ যদি কেউ তালবিয়াতে বৃদ্ধি করে তবে ইনশাআল্লাহ্ এতে কোন দোষ নেই। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পঠিত তালবিয়াতের উপর সীমাবদ্ধ থাকাই আমার নিকট অধিক প্রিয়।
ইমাম শাফিঈ (রাহঃ) বলেন আল্লাহ তাআলার মহত্ব ব্যঞ্জক কোন শব্দ তালবিয়াতে বৃদ্ধি ঘটালে কোন দোষ নাই। দলীল হল ইবনে উমর (রাযিঃ) এর এই রিওয়ায়াতটি। তিনি রাসূলুল্লাহ(ﷺ) থেকে তালবিয়ার শব্দ সংরক্ষণ করেছেন। এরপরও তিনি নিজের তরফ থেকে এতে বৃদ্ধি করেছেনঃ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ فِي يَدَيْكَ لَبَّيْكَ وَالرَّغْبَاءُ إِلَيْكَ
আমি হাযির হে আল্লাহ! আমি হাযির; শরীক নাই কেউ তোমার,আমি, হাযির; সব হামদ ও সব নিআমত তো তোমারই আর সব সামরাজ্যও; কোন শরীক নাই তোমার। - ইবনে মাজাহ, বুখারি, মুসলিম
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন এই বিষয়ে ইবনে মাসউদ, জাবির, আয়িশা, ইবনে আব্বাস ও আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাযিঃ) বলেন, ইবনে উমর (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ্। সাহাবী ও অপরাপর আলেমগণ এই হাদীসটির উপর আমল করেছেন, এ হল সুফিয়ান সাওরী, শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রাহঃ) এর অভিমত। ইমাম শাফিঈ (রাহঃ) বলেন আল্লাহ তাআলার মহত্ব ব্যঞ্জক কোন শব্দ যদি কেউ তালবিয়াতে বৃদ্ধি করে তবে ইনশাআল্লাহ্ এতে কোন দোষ নেই। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পঠিত তালবিয়াতের উপর সীমাবদ্ধ থাকাই আমার নিকট অধিক প্রিয়।
ইমাম শাফিঈ (রাহঃ) বলেন আল্লাহ তাআলার মহত্ব ব্যঞ্জক কোন শব্দ তালবিয়াতে বৃদ্ধি ঘটালে কোন দোষ নাই। দলীল হল ইবনে উমর (রাযিঃ) এর এই রিওয়ায়াতটি। তিনি রাসূলুল্লাহ(ﷺ) থেকে তালবিয়ার শব্দ সংরক্ষণ করেছেন। এরপরও তিনি নিজের তরফ থেকে এতে বৃদ্ধি করেছেনঃ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ فِي يَدَيْكَ لَبَّيْكَ وَالرَّغْبَاءُ إِلَيْكَ
باب مَا جَاءَ فِي التَّلْبِيَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ تَلْبِيَةَ النَّبِيِّ، صلى الله عليه وسلم كَانَتْ " لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَجَابِرٍ وَعَائِشَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ . قَالَ الشَّافِعِيُّ وَإِنْ زَادَ فِي التَّلْبِيَةِ شَيْئًا مِنْ تَعْظِيمِ اللَّهِ فَلاَ بَأْسَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ وَأَحَبُّ إِلَىَّ أَنْ يَقْتَصِرَ عَلَى تَلْبِيَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ الشَّافِعِيُّ وَإِنَّمَا قُلْنَا لاَ بَأْسَ بِزِيَادَةِ تَعْظِيمِ اللَّهِ فِيهَا لِمَا جَاءَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَهُوَ حَفِظَ التَّلْبِيَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ زَادَ ابْنُ عُمَرَ فِي تَلْبِيَتِهِ مِنْ قِبَلِهِ لَبَّيْكَ وَالرَّغْبَاءُ إِلَيْكَ وَالْعَمَلُ .
